ফ্ল্যাগ গার্লের টার্গেট by কাজল ঘোষ
পাখির
মতো উড়তে চাইতেন শিশু বয়সেই। সেই পাখির মতোই উড়ছেন তিনি। এভাবে উড়তে উড়তে
তিনি খ্যাতি পেয়ে যান ফ্ল্যাগ গার্ল হিসেবে। অনন্য ইতিহাস তার খাতায়। আর এ
ইতিহাস গড়তে তাকে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে অনেক। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন
একাধিকবার। সৃষ্টিকর্তা সহায় তার। পাহাড়, পর্বত, বন, জঙ্গলে বিচিত্র
অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এভাবে তিনি ১৩৫ দেশে উড়িয়েছেন লাল সবুজের পতাকা।
নিজের অদম্য আকাঙ্ক্ষা আর ইচ্ছা শক্তি মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার জীবন্ত সাক্ষী লক্ষ্মীপুরের মেয়ে নাজমুন নাহার। ছোটবেলায় মা-বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন সোহাগী। সেদিনের সেই কিশোরী সোহাগীই আজকের বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার। প্রমাণ করেছেন, মনীষীর বাণী ট্রাভেল ইজ অনলি থিং ইউ বাই দ্যাট ম্যাকস রিচার কিংবা গ্রেট থিংস নেভার কাম ফ্রম কমফোর্ট জোন। শুরুটা হয়েছিল ভারতের ভুপালের পাঁচমারি দিয়ে। সময়টা ২০০০ সাল। সে বছর ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে বিশ্বের ৮০টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন তিনি। আর থামেন নি। ঊনিশ বছরে তিনি শেষ করেছেন ১৩৫টি দেশ ভ্রমণ। সর্বত্র উড়িয়েছেন লাল সবুজের পতাকা। একের পর এক দেশ ভ্রমণ তালিকার কলেবর বাড়িয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। কেমন তার এই অভিজ্ঞতার ঝুলি? যাচ্ছিলেন আফ্রিকার দেশ গিনি। এলাকাটি কোনাক্রি। জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল। গভীর রাত। পুরনো জীর্ণ একটি গাড়িতে ৯ জন যাত্রী। গাড়ি চলছে গহিন জঙ্গলের মধ্যদিয়ে। যাত্রীদের মধ্যে একমাত্র পর্যটক নাজমুন। হঠাৎ গভীর জঙ্গলে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। কোনো লোকালয় নেই। চারধার থেকে মাঝেমধ্যেই বন্যপশুর আওয়াজ ভেসে আসছিল। কি করবেন? গাড়ি থেকে নেমে অচেনা আগন্তুকদের সঙ্গে তিনিও হাঁটা শুরু করেন। চারধারে কোনো মানববসতি নেই। ঘুটঘুটে অন্ধকার। দীর্ঘক্ষণ হাঁটার পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে একটি খোলা ঘরে আশ্রয় নেন। সকালে আদিবাসী নারীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে। ভাষাগত সমস্যায় আটকে যান। অনেক কষ্টে বোঝাতে পারেন তিনি বিপদে পড়েছেন, খাবার দরকার, পানি দরকার। খাবার বলতে কাঁচা বাদাম আর তৃষ্ণা মেটালেন গাছ থেকে রসালো ফল খেয়ে। নেই ফোন। নেই বিদ্যুৎ। এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে নিজেকে উদ্ধার করেন ২৬ ঘণ্টা পর।
মরুঝড়ে মৃত্যুর পথ থেকেও ফিরে এসেছেন প্রাণ নিয়ে। মৌরিতানিয়ার সাহারা মরুভূমিতে এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। ঝড়ের কবলে ধারালো বালির আঘাতে রক্তাক্ত হন। একইভাবে আফ্রিকার সেনেগালের রোজ লেকে যাওয়ার পথে প্রত্যন্ত গ্রামে পথ হারিয়ে ফেলেন। গভীর জঙ্গলে পথ হারিয়ে তিন ঘণ্টা নিরুদ্দেশ যাত্রার পর লোকালয় খুঁজে পান। একইভাবে মধ্যরাতে ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে আটকা পড়েছেন, বিষাক্ত পোকা মাকড়ের কামড় খেয়েছেন আফ্রিকার জংলি পথে, তিন মাস আফ্রিকাতে আলু খেয়ে বেঁচেছিলেন, কখনো না খেয়ে কখনো খেয়ে পরখ করেছেন বিচিত্র জীবন, সভ্যতার নানান রূপ।
শততম দেশটি ছিল পূর্ব আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে। পহেলা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে শুরু হয় নতুন প্রান্তিক। এবার আরো একশ’টি দেশ জয়ের টার্গেট নিয়ে নেমেছেন নাজমুন নাহার। সবশেষ গত আট মাসে তিনি ৩৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। ১২৫তম দেশ ছিল নাইজেরিয়ার লাগোস। ১৩০তম দেশ কানাডা। চলতি বছরের ২৪শে সেপ্টেম্বর তিনি ১৩৫তম দেশ হিসেবে ভ্রমণ করেন কোস্টারিকা। আর বেশির ভাগ সময়ই ভ্রমণ করেছেন সড়কপথে। সঙ্গী বলতে নিজের সাহস। এরইমধ্যে সড়কপথে পূূর্ব আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও যুগোশ্লাভিয়ার প্রতিটি দেশ, ইউরোপ ও এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ ভ্রমণ করেছেন। এখানেই থামতে চান না তিনি। তার টার্গেট ২০০ দেশ।
নাজমুন নাহার বলেন, ছোটবেলায় বাড়ির পাশের মাঠে পাখি ধরতে চাইলেই পাখি উড়ে যেতো আকাশে। তখন আমার মনে হতো আমিও যদি এভাবে উড়তে পারতাম। ছোট থেকেই আমি মানচিত্র দেখলে তাকিয়ে থাকতাম। কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশ লেগে আছে তা দেখতাম। কোথাকার মুদ্রার নাম কি? রাজধানী কোন্টা? এগুলো দেখে দেখে ভেতরে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হতো যে একদিন আমি বিশ্বভ্রমণে যাবো। এভাবে আমার স্বপ্নই ছিল বিশ্ব ভ্রমণ করা। ছোটবেলায় স্বপ্নের মধ্যেও পাখিদের মতো উড়তাম। সেই ইচ্ছাই আজকে আমাকে এখানে নিয়ে আসছে।
লক্ষ্য একটাই, আর তা হলো- ২০০টি দেশে বাংলাদেশের পতাকাকে পৌঁছে দিয়ে এক অনন্য রেকর্ড গড়ার। তিনি বলেন, পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে তুলে ধরতে চাই। নাজমুন ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দাদা ও বাবার কাছ থেকে। নাজমুন বলেন, সাহস পেয়েছি বাবার কাছ থেকেই। পরীক্ষায় খারাপ করলেও মাথা মুছে দিয়ে বলতেন পরের বার ভালো করবে, মন খারাপ করো না। প্রতিটি মুহূর্তে তার যত্ন, তার খেয়াল, তার উৎসাহ ছিল অনেক বেশি। তিনি অনেক গল্প শুনাতেন, সাফল্যময় মানুষের গল্প, বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের গল্প। এ ছাড়াও আমার দাদা মৌলভী আহাম্মদ উল্লাহ ভ্রমণপিয়াসু মানুষ ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর সদরের গঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন ও তাহেরা আমিনের আট সন্তানের মধ্যে সবার ছোট নাজমুন। তিনি লেখাপড়া করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান সুইডেনে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় মানবাধিকার বিষয়েও কোর্স করেছেন তিনি। তার পেশা গবেষণা। এ থেকে যা আয় হয় সবই ব্যয় করেন ভ্রমণে।
নাজমুন তার অভিযানের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ২০১৮তে পান ‘তারুণ্যের আইকন’ উপাধি, অনন্যা সম্মাননা ২০১৯। একই বছরের পহেলা জুন জাম্বিয়া সরকারের কাছ থেকে পান ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি। পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। নিউ ইয়র্কের ‘মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড’, গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা-২০১৯, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, তিন বাংলা সম্মাননা-২০১৯, রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ তার ঝুলিতে।
নিজের অদম্য আকাঙ্ক্ষা আর ইচ্ছা শক্তি মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার জীবন্ত সাক্ষী লক্ষ্মীপুরের মেয়ে নাজমুন নাহার। ছোটবেলায় মা-বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন সোহাগী। সেদিনের সেই কিশোরী সোহাগীই আজকের বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার। প্রমাণ করেছেন, মনীষীর বাণী ট্রাভেল ইজ অনলি থিং ইউ বাই দ্যাট ম্যাকস রিচার কিংবা গ্রেট থিংস নেভার কাম ফ্রম কমফোর্ট জোন। শুরুটা হয়েছিল ভারতের ভুপালের পাঁচমারি দিয়ে। সময়টা ২০০০ সাল। সে বছর ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে বিশ্বের ৮০টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন তিনি। আর থামেন নি। ঊনিশ বছরে তিনি শেষ করেছেন ১৩৫টি দেশ ভ্রমণ। সর্বত্র উড়িয়েছেন লাল সবুজের পতাকা। একের পর এক দেশ ভ্রমণ তালিকার কলেবর বাড়িয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। কেমন তার এই অভিজ্ঞতার ঝুলি? যাচ্ছিলেন আফ্রিকার দেশ গিনি। এলাকাটি কোনাক্রি। জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল। গভীর রাত। পুরনো জীর্ণ একটি গাড়িতে ৯ জন যাত্রী। গাড়ি চলছে গহিন জঙ্গলের মধ্যদিয়ে। যাত্রীদের মধ্যে একমাত্র পর্যটক নাজমুন। হঠাৎ গভীর জঙ্গলে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। কোনো লোকালয় নেই। চারধার থেকে মাঝেমধ্যেই বন্যপশুর আওয়াজ ভেসে আসছিল। কি করবেন? গাড়ি থেকে নেমে অচেনা আগন্তুকদের সঙ্গে তিনিও হাঁটা শুরু করেন। চারধারে কোনো মানববসতি নেই। ঘুটঘুটে অন্ধকার। দীর্ঘক্ষণ হাঁটার পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে একটি খোলা ঘরে আশ্রয় নেন। সকালে আদিবাসী নারীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে। ভাষাগত সমস্যায় আটকে যান। অনেক কষ্টে বোঝাতে পারেন তিনি বিপদে পড়েছেন, খাবার দরকার, পানি দরকার। খাবার বলতে কাঁচা বাদাম আর তৃষ্ণা মেটালেন গাছ থেকে রসালো ফল খেয়ে। নেই ফোন। নেই বিদ্যুৎ। এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে নিজেকে উদ্ধার করেন ২৬ ঘণ্টা পর।
মরুঝড়ে মৃত্যুর পথ থেকেও ফিরে এসেছেন প্রাণ নিয়ে। মৌরিতানিয়ার সাহারা মরুভূমিতে এ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। ঝড়ের কবলে ধারালো বালির আঘাতে রক্তাক্ত হন। একইভাবে আফ্রিকার সেনেগালের রোজ লেকে যাওয়ার পথে প্রত্যন্ত গ্রামে পথ হারিয়ে ফেলেন। গভীর জঙ্গলে পথ হারিয়ে তিন ঘণ্টা নিরুদ্দেশ যাত্রার পর লোকালয় খুঁজে পান। একইভাবে মধ্যরাতে ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে আটকা পড়েছেন, বিষাক্ত পোকা মাকড়ের কামড় খেয়েছেন আফ্রিকার জংলি পথে, তিন মাস আফ্রিকাতে আলু খেয়ে বেঁচেছিলেন, কখনো না খেয়ে কখনো খেয়ে পরখ করেছেন বিচিত্র জীবন, সভ্যতার নানান রূপ।
শততম দেশটি ছিল পূর্ব আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে। পহেলা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে শুরু হয় নতুন প্রান্তিক। এবার আরো একশ’টি দেশ জয়ের টার্গেট নিয়ে নেমেছেন নাজমুন নাহার। সবশেষ গত আট মাসে তিনি ৩৫টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। ১২৫তম দেশ ছিল নাইজেরিয়ার লাগোস। ১৩০তম দেশ কানাডা। চলতি বছরের ২৪শে সেপ্টেম্বর তিনি ১৩৫তম দেশ হিসেবে ভ্রমণ করেন কোস্টারিকা। আর বেশির ভাগ সময়ই ভ্রমণ করেছেন সড়কপথে। সঙ্গী বলতে নিজের সাহস। এরইমধ্যে সড়কপথে পূূর্ব আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও যুগোশ্লাভিয়ার প্রতিটি দেশ, ইউরোপ ও এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ ভ্রমণ করেছেন। এখানেই থামতে চান না তিনি। তার টার্গেট ২০০ দেশ।
নাজমুন নাহার বলেন, ছোটবেলায় বাড়ির পাশের মাঠে পাখি ধরতে চাইলেই পাখি উড়ে যেতো আকাশে। তখন আমার মনে হতো আমিও যদি এভাবে উড়তে পারতাম। ছোট থেকেই আমি মানচিত্র দেখলে তাকিয়ে থাকতাম। কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশ লেগে আছে তা দেখতাম। কোথাকার মুদ্রার নাম কি? রাজধানী কোন্টা? এগুলো দেখে দেখে ভেতরে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হতো যে একদিন আমি বিশ্বভ্রমণে যাবো। এভাবে আমার স্বপ্নই ছিল বিশ্ব ভ্রমণ করা। ছোটবেলায় স্বপ্নের মধ্যেও পাখিদের মতো উড়তাম। সেই ইচ্ছাই আজকে আমাকে এখানে নিয়ে আসছে।
লক্ষ্য একটাই, আর তা হলো- ২০০টি দেশে বাংলাদেশের পতাকাকে পৌঁছে দিয়ে এক অনন্য রেকর্ড গড়ার। তিনি বলেন, পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে তুলে ধরতে চাই। নাজমুন ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দাদা ও বাবার কাছ থেকে। নাজমুন বলেন, সাহস পেয়েছি বাবার কাছ থেকেই। পরীক্ষায় খারাপ করলেও মাথা মুছে দিয়ে বলতেন পরের বার ভালো করবে, মন খারাপ করো না। প্রতিটি মুহূর্তে তার যত্ন, তার খেয়াল, তার উৎসাহ ছিল অনেক বেশি। তিনি অনেক গল্প শুনাতেন, সাফল্যময় মানুষের গল্প, বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের গল্প। এ ছাড়াও আমার দাদা মৌলভী আহাম্মদ উল্লাহ ভ্রমণপিয়াসু মানুষ ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর সদরের গঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন ও তাহেরা আমিনের আট সন্তানের মধ্যে সবার ছোট নাজমুন। তিনি লেখাপড়া করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান সুইডেনে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় মানবাধিকার বিষয়েও কোর্স করেছেন তিনি। তার পেশা গবেষণা। এ থেকে যা আয় হয় সবই ব্যয় করেন ভ্রমণে।
নাজমুন তার অভিযানের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ২০১৮তে পান ‘তারুণ্যের আইকন’ উপাধি, অনন্যা সম্মাননা ২০১৯। একই বছরের পহেলা জুন জাম্বিয়া সরকারের কাছ থেকে পান ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি। পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। নিউ ইয়র্কের ‘মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড’, গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা-২০১৯, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, তিন বাংলা সম্মাননা-২০১৯, রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ তার ঝুলিতে।
No comments