২০২০ সালে কে হবেন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী?
গত
বছর লন্ডনে ঝটিকা সফরকালে ট্রাম্প একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। জানিয়ে
দিয়েছিলেন, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ফের অংশ নিতে চান।
স্বভাববিরুদ্ধ বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, ‘সবাই চায় আমি
দাঁড়াই। তবে অনেক কিছুই বিবেচনা করতে হবে। স্বাস্থ্য তার মধ্যে অন্যতম।’
অধিকাংশ বিশ্লেষকের একমত, নাটকীয় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে আগামী নির্বাচনে
ট্রাম্পই হবেন তার দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সিনেটর জেফ ফ্লেকের মতো
রিপাবলিকান পার্টির কোনো কোনো ট্রাম্পবিরোধী রাজনীতিক ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা
ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তবে দলের সমর্থকদের দশজনের ন’জনই ট্রাম্পের
কাজে সন্তুষ্ট। তারা যে ট্রাম্পকেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে দেখতে
চাইবেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট ২১ জন বাছাইপর্বে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে সকলের চেয়ে এগিয়ে ৭৬ বছরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বয়সের এই মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবন্ধকতাটুকু অতিক্রম করতে পারলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন, এ কথা অধিকাংশ ডেমোক্র্যাটিক নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তিনি নিজেকে বারাক ওবামার যোগ্য উত্তরসূরি বলে ভাবেন। সেই কারণে ওবামার সময়ে যে গণতান্ত্রিক কোয়ালিশন গঠিত হয়েছিল, তারা তাকেই সমর্থন জোগাবেন। এই অঙ্ক কষে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তিনি অগ্রসর হচ্ছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বঘোষিত সমাজতন্ত্রী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তার প্রতি ডেমোক্র্যাটিক ভোটারদের সমর্থন রয়েছে ২১ শতাংশ। এই দু’জন ছাড়া অন্য কারো ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি জনসমর্থন নেই। বাইডেনের এগিয়ে থাকার কারণ বাছাইপর্বে ডেমোক্র্যাটিক ভোটাররা এমন একজনকে খুঁজছেন, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন। লড়াই যেন হয় সেয়ানে-সেয়ানে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে স্যান্ডার্স তার প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আমেরিকার নবীন ভোটারদের নজর কেড়েছিলেন। তাদের সমর্থনেই অভাবিত তহবিল সংগ্রহে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এবারে অবস্থা ভিন্ন। ডেমোক্র্যাটদের মূল লক্ষ্য যেভাবেই হোক ট্রাম্পকে পরাজিত করা। এর জন্য তারা মধ্যপন্থী বাইডেনের নানা অতীত দুর্বলতা উপেক্ষা করতেও প্রস্তুত। জনমতে এই মুহূর্তে এগিয়ে থাকলেও স্যান্ডার্সকে উপেক্ষা করা অবশ্য বাইডেনের পক্ষে সম্ভব হবে না। তরুণদের চোখে তিনি এখনো বিদ্রোহী নায়ক। বাছাইপর্বের নির্বাচনে নিজের অবস্থান সংহত করতে স্যান্ডার্স কিছুটা অপ্রত্যাশিত তীব্রতায় বাইডেনের সমালোচনা করে চলছেন। বাইডেন এর আগে ত্রিদেশীয় বাণিজ্য চুক্তি নাফটা ও চীনের সঙ্গে স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি সমর্থন করেছিলেন। স্যান্ডার্সের অভিযোগ, এই দুই চুক্তির ফলে আমেরিকার শ্রমিকশ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্ভবত ৪০ লাখের মতো কর্মসংস্থান খোয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিমার প্রশ্নে বাইডেনের প্রস্তাবেরও সমালোচনা করেছেন স্যান্ডার্স। এই পরিকল্পনা মোটেই বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য তার।
বাছাইপর্ব অনেকটা দূরপাল্লার দৌড়। আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আইওয়ায় প্রথম বাছাইপর্বের নির্বাচন হবে। এই সময়ের মধ্যে অবস্থা অনেকটা বদলেও যেতে পারে। অতীতে দেখা গেছে, প্রথমে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন অনেকে। তবে এই মুহূর্তের নির্বাচনী হাওয়া থেকে এমন ভাবা অসম্ভব নয় যে বাইডেন ও স্যান্ডার্সের মধ্যেই ডেমোক্র্যাটিক বাছাইপর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের অনেকে আশা করেছিলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে মহিলা ও সংখ্যালঘু প্রার্থীরা অনেক বেশি নজর কাড়বেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে ২১ জন প্রার্থী বাছাইপর্বে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন, তাদের মধ্যে সিনেটর কমলা হ্যারিস ও সিনেটর কোরি বুকার এই যোগ্যতার মাপকাঠিতে উতরে যান। কিন্তু দু’জনের কেউ এখনো তেমন জনসমর্থন আদায় করতে পারেননি। এই অবস্থায় বাস্তবতা স্বীকার করে কেউ কেউ কমলা হ্যারিসকে জো বাইডেনের রানিংমেট হিসেবে দেখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৫৪ বছরের হ্যারিস শুধু একজন আফ্রিকান-আমেরিকানই নন, তিনি বাইডেনের তুলনায় অনেক বেশি প্রগতিশীল। ফলে, দলের বামঘেঁষা অংশ, যারা বাইডেনের ব্যাপারে সন্দিহান, তারা হ্যারিসকে বাইডেনের পাশে দেখলে হয়তো কিছুটা আশ্বস্ত হবে। এই মনোভাব ব্যক্ত করে ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেস সদস্য অ্যান্থনি ব্রাউন বলেছেন, এঁরা দুজনে একজোট হলে সবদিক দিয়েই ‘ভারসাম্য’ অর্জিত হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও আগাম ঘোষণা করে দিয়েছেন, ২০২০ সালে তাকে বাইডেনের সঙ্গেই লড়তে হবে। একাধিক সূত্রে বলা হয়েছে, মধ্যপন্থী ও শ্রমজীবী শ্বেতকায় আমেরিকানদের মধ্যে বাইডেনের বিপুল জনসমর্থনে ট্রাম্প কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। বাইডেন ইতিমধ্যে একাধিক শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থন অর্জন করেছেন। ২০১৬ সালে এদের অনেকেই ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। আগামী বছর হোয়াইট হাউস দখল করতে হলে ডেমোক্র্যাটদের তাদের এই হারিয়ে যাওয়া সমর্থকদের ফের নিজদের শিবিরে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেকেই বলছেন, কাজটা এই মুহূর্তে অন্য যে–কারো চেয়ে বাইডেনের পক্ষেই সম্ভব।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ম্যাসাচুসেটস থেকে নির্বাচিত প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিত সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। ৬৯ বছরের ডেমোক্র্যাট ওয়ারেন তার কঠোর ট্রাম্পবিরোধী অবস্থানের কারণে দলের প্রগতিশীলদের কাছে প্রিয়পাত্র। মহিলাদের কাছে তিনি পছন্দের। হিলারি প্রেসিডেন্ট হতে না পারায় যারা মনঃকষ্টে রয়েছেন, ওয়ারেন তাদের জন্য সান্ত্বনার কারণ হতে পারেন। এই মুহূর্তে তার প্রধান লক্ষ্য, আগামী বছর নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক শুরুর আগে যতটা সম্ভব চাঁদার বাক্স ভরে তোলা। দলকে এক করার ব্যাপারেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি নেভাডায় এক সভায় ওয়ারেন বলেন, ‘ট্রাম্প আমলে যে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে, তা পরিষ্কার করতে চায় ঐক্যবদ্ধ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আমি সেই কাজেই মনোনিবেশ করতে চাই।’ ওয়ারেনের এই মন্তব্য উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস টিপ্পনী কেটেছে, সে জঞ্জাল পরিষ্কারে তিনিই যে সেরা প্রার্থী, শুধু সে কথাটা বলাই বাদ রেখেছেন।
তবে এই রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের একটি অজ্ঞাত উপাদান হবেন বারাক ওবামা। কে না জানে, ওবামাই এখনো ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। ফলে, শেষ পর্যন্ত ওবামা যার পাশে দাঁড়াবেন তার পাল্লাই হবে ভারি।
অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট ২১ জন বাছাইপর্বে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে সকলের চেয়ে এগিয়ে ৭৬ বছরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বয়সের এই মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবন্ধকতাটুকু অতিক্রম করতে পারলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন, এ কথা অধিকাংশ ডেমোক্র্যাটিক নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তিনি নিজেকে বারাক ওবামার যোগ্য উত্তরসূরি বলে ভাবেন। সেই কারণে ওবামার সময়ে যে গণতান্ত্রিক কোয়ালিশন গঠিত হয়েছিল, তারা তাকেই সমর্থন জোগাবেন। এই অঙ্ক কষে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তিনি অগ্রসর হচ্ছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বঘোষিত সমাজতন্ত্রী সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তার প্রতি ডেমোক্র্যাটিক ভোটারদের সমর্থন রয়েছে ২১ শতাংশ। এই দু’জন ছাড়া অন্য কারো ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি জনসমর্থন নেই। বাইডেনের এগিয়ে থাকার কারণ বাছাইপর্বে ডেমোক্র্যাটিক ভোটাররা এমন একজনকে খুঁজছেন, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন। লড়াই যেন হয় সেয়ানে-সেয়ানে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে স্যান্ডার্স তার প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আমেরিকার নবীন ভোটারদের নজর কেড়েছিলেন। তাদের সমর্থনেই অভাবিত তহবিল সংগ্রহে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এবারে অবস্থা ভিন্ন। ডেমোক্র্যাটদের মূল লক্ষ্য যেভাবেই হোক ট্রাম্পকে পরাজিত করা। এর জন্য তারা মধ্যপন্থী বাইডেনের নানা অতীত দুর্বলতা উপেক্ষা করতেও প্রস্তুত। জনমতে এই মুহূর্তে এগিয়ে থাকলেও স্যান্ডার্সকে উপেক্ষা করা অবশ্য বাইডেনের পক্ষে সম্ভব হবে না। তরুণদের চোখে তিনি এখনো বিদ্রোহী নায়ক। বাছাইপর্বের নির্বাচনে নিজের অবস্থান সংহত করতে স্যান্ডার্স কিছুটা অপ্রত্যাশিত তীব্রতায় বাইডেনের সমালোচনা করে চলছেন। বাইডেন এর আগে ত্রিদেশীয় বাণিজ্য চুক্তি নাফটা ও চীনের সঙ্গে স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি সমর্থন করেছিলেন। স্যান্ডার্সের অভিযোগ, এই দুই চুক্তির ফলে আমেরিকার শ্রমিকশ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্ভবত ৪০ লাখের মতো কর্মসংস্থান খোয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিমার প্রশ্নে বাইডেনের প্রস্তাবেরও সমালোচনা করেছেন স্যান্ডার্স। এই পরিকল্পনা মোটেই বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য তার।
বাছাইপর্ব অনেকটা দূরপাল্লার দৌড়। আগামী বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আইওয়ায় প্রথম বাছাইপর্বের নির্বাচন হবে। এই সময়ের মধ্যে অবস্থা অনেকটা বদলেও যেতে পারে। অতীতে দেখা গেছে, প্রথমে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন অনেকে। তবে এই মুহূর্তের নির্বাচনী হাওয়া থেকে এমন ভাবা অসম্ভব নয় যে বাইডেন ও স্যান্ডার্সের মধ্যেই ডেমোক্র্যাটিক বাছাইপর্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের অনেকে আশা করেছিলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে মহিলা ও সংখ্যালঘু প্রার্থীরা অনেক বেশি নজর কাড়বেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে ২১ জন প্রার্থী বাছাইপর্বে নিজেদের নাম ঘোষণা করেছেন, তাদের মধ্যে সিনেটর কমলা হ্যারিস ও সিনেটর কোরি বুকার এই যোগ্যতার মাপকাঠিতে উতরে যান। কিন্তু দু’জনের কেউ এখনো তেমন জনসমর্থন আদায় করতে পারেননি। এই অবস্থায় বাস্তবতা স্বীকার করে কেউ কেউ কমলা হ্যারিসকে জো বাইডেনের রানিংমেট হিসেবে দেখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৫৪ বছরের হ্যারিস শুধু একজন আফ্রিকান-আমেরিকানই নন, তিনি বাইডেনের তুলনায় অনেক বেশি প্রগতিশীল। ফলে, দলের বামঘেঁষা অংশ, যারা বাইডেনের ব্যাপারে সন্দিহান, তারা হ্যারিসকে বাইডেনের পাশে দেখলে হয়তো কিছুটা আশ্বস্ত হবে। এই মনোভাব ব্যক্ত করে ম্যারিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেস সদস্য অ্যান্থনি ব্রাউন বলেছেন, এঁরা দুজনে একজোট হলে সবদিক দিয়েই ‘ভারসাম্য’ অর্জিত হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও আগাম ঘোষণা করে দিয়েছেন, ২০২০ সালে তাকে বাইডেনের সঙ্গেই লড়তে হবে। একাধিক সূত্রে বলা হয়েছে, মধ্যপন্থী ও শ্রমজীবী শ্বেতকায় আমেরিকানদের মধ্যে বাইডেনের বিপুল জনসমর্থনে ট্রাম্প কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। বাইডেন ইতিমধ্যে একাধিক শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থন অর্জন করেছেন। ২০১৬ সালে এদের অনেকেই ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। আগামী বছর হোয়াইট হাউস দখল করতে হলে ডেমোক্র্যাটদের তাদের এই হারিয়ে যাওয়া সমর্থকদের ফের নিজদের শিবিরে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেকেই বলছেন, কাজটা এই মুহূর্তে অন্য যে–কারো চেয়ে বাইডেনের পক্ষেই সম্ভব।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ম্যাসাচুসেটস থেকে নির্বাচিত প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিত সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। ৬৯ বছরের ডেমোক্র্যাট ওয়ারেন তার কঠোর ট্রাম্পবিরোধী অবস্থানের কারণে দলের প্রগতিশীলদের কাছে প্রিয়পাত্র। মহিলাদের কাছে তিনি পছন্দের। হিলারি প্রেসিডেন্ট হতে না পারায় যারা মনঃকষ্টে রয়েছেন, ওয়ারেন তাদের জন্য সান্ত্বনার কারণ হতে পারেন। এই মুহূর্তে তার প্রধান লক্ষ্য, আগামী বছর নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক শুরুর আগে যতটা সম্ভব চাঁদার বাক্স ভরে তোলা। দলকে এক করার ব্যাপারেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি নেভাডায় এক সভায় ওয়ারেন বলেন, ‘ট্রাম্প আমলে যে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে, তা পরিষ্কার করতে চায় ঐক্যবদ্ধ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। আমি সেই কাজেই মনোনিবেশ করতে চাই।’ ওয়ারেনের এই মন্তব্য উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস টিপ্পনী কেটেছে, সে জঞ্জাল পরিষ্কারে তিনিই যে সেরা প্রার্থী, শুধু সে কথাটা বলাই বাদ রেখেছেন।
তবে এই রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের একটি অজ্ঞাত উপাদান হবেন বারাক ওবামা। কে না জানে, ওবামাই এখনো ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। ফলে, শেষ পর্যন্ত ওবামা যার পাশে দাঁড়াবেন তার পাল্লাই হবে ভারি।
No comments