সৌদি নিষেধাজ্ঞায় ইয়েমেনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ধস: কষ্ট পাচ্ছে সাধারণ মানুষ
জ্বালানিবাহী
জাহাজ প্রবেশে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইয়েমেনের হাসপাতাল ও চিকিৎসা
কেন্দ্রগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা
দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক মাসে সৌদি আরব ইয়েমেনি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সৌদি দুটি তেল স্থাপনায় ইয়েমেনিদের ড্রোন হামলা এবং এর কিছুদিন পর 'নাসরুম মিনাল্লাহি' অর্থাৎ 'আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য' নামে ইয়েমেনিদের অভিযানে সৌদিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি এ দেশটির ওপর স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পথে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে।
সৌদি এই অবরোধ ও আগ্রাসনের ফলে পশ্চিম এশিয়ার দরিদ্র এ দেশটিতে নেমে এসেছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বোমা হামলা নিহত হয়েছে ১৬ হাজার মানুষ এবং অবরোধের ফলে সৃষ্ট রোগ ও দুর্ভিক্ষসহ নানা কারণে নিহত হয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ।
সৌদি আরবের সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ইয়েমেনে খাদ্য, জ্বালানি ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রবেশ করতে পারছে না। এভাবে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে ইয়েমেনিদেরকে নতি শিকারে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি আরব। সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ অন্যান্য বড় শহরে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সফল অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জনগণ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে।
গত দুই মাসে ইয়েমেনিদের ধারাবাহিক হামলায় সৌদি আরবের রাজনৈতিক মর্যাদা ধুলার সাথে মিশে গেছে এবং তাদের সামরিক শক্তির দাবিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সৌদি আরব কেবল বিমান হামলা চালিয়ে ও অবরোধ আরোপ করে ইয়েমেনে সাধারণ মানুষ হত্যা ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে যা কাপুরুষতার লক্ষণ। এ বাইরে ইয়েমেনের ব্যাপারে সৌদি আরবের কোনো সামরিক বা রাজনৈতিক লক্ষই অর্জিত হয়নি। সৌদি আরব অতি জরুরি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ইয়েমেনের হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রায় ভেঙে পড়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউসুফ আল হাজেরি বলেছেন, "বর্তমানে ১২০টির বেশি হাসপাতাল ও তিন হাজারটির বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ শেষ হয়ে এসেছে, রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে এবং ব্লাড ব্যাংকের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে রোগীদের জীবন নাশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।"
গত প্রায় চাড়ে চার বছর ধরে এ অবস্থা চলে এলেও গত মাসে ইয়েমেনিদের সফল হামলার পর সৌদি আরব আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইয়েমেনের তেল কোম্পানি জানিয়েছে, গত ৫০ দিনে জ্বালানিবাহী একটি জাহাজও ইয়েমেনে প্রবেশ করতে পারেনি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে সৌদি আগ্রাসনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব রয়েছে। এ কারণে সৌদি আরব আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক মাসে সৌদি আরব ইয়েমেনি যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সৌদি দুটি তেল স্থাপনায় ইয়েমেনিদের ড্রোন হামলা এবং এর কিছুদিন পর 'নাসরুম মিনাল্লাহি' অর্থাৎ 'আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য' নামে ইয়েমেনিদের অভিযানে সৌদিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি এ দেশটির ওপর স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পথে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে।
সৌদি এই অবরোধ ও আগ্রাসনের ফলে পশ্চিম এশিয়ার দরিদ্র এ দেশটিতে নেমে এসেছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বোমা হামলা নিহত হয়েছে ১৬ হাজার মানুষ এবং অবরোধের ফলে সৃষ্ট রোগ ও দুর্ভিক্ষসহ নানা কারণে নিহত হয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ।
সৌদি আরবের সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ইয়েমেনে খাদ্য, জ্বালানি ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রবেশ করতে পারছে না। এভাবে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে ইয়েমেনিদেরকে নতি শিকারে বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি আরব। সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ অন্যান্য বড় শহরে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সফল অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জনগণ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে।
গত দুই মাসে ইয়েমেনিদের ধারাবাহিক হামলায় সৌদি আরবের রাজনৈতিক মর্যাদা ধুলার সাথে মিশে গেছে এবং তাদের সামরিক শক্তির দাবিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সৌদি আরব কেবল বিমান হামলা চালিয়ে ও অবরোধ আরোপ করে ইয়েমেনে সাধারণ মানুষ হত্যা ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে যা কাপুরুষতার লক্ষণ। এ বাইরে ইয়েমেনের ব্যাপারে সৌদি আরবের কোনো সামরিক বা রাজনৈতিক লক্ষই অর্জিত হয়নি। সৌদি আরব অতি জরুরি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ইয়েমেনের হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রায় ভেঙে পড়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউসুফ আল হাজেরি বলেছেন, "বর্তমানে ১২০টির বেশি হাসপাতাল ও তিন হাজারটির বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ শেষ হয়ে এসেছে, রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে এবং ব্লাড ব্যাংকের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে রোগীদের জীবন নাশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।"
গত প্রায় চাড়ে চার বছর ধরে এ অবস্থা চলে এলেও গত মাসে ইয়েমেনিদের সফল হামলার পর সৌদি আরব আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইয়েমেনের তেল কোম্পানি জানিয়েছে, গত ৫০ দিনে জ্বালানিবাহী একটি জাহাজও ইয়েমেনে প্রবেশ করতে পারেনি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে সৌদি আগ্রাসনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব রয়েছে। এ কারণে সৌদি আরব আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
No comments