মাছ ও মুরগিকে আমরা কী খাওয়াচ্ছি? by দীপু মালাকার
প্রথম আলো, ২৯ জুন ২০১৯: পোলট্রি (হাঁস-মুরগি) ও মাছের বিষাক্ত খাবার তৈরির দায়ে গত ২৯ জুন শনিবার রাজধানীর
ডেমরার মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চামড়াশিল্পের (ট্যানারি) বর্জ্যের সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ ও টেক্সটাইলে
ব্যবহৃত রং দিয়ে খাবার তৈরি করায় ১৬ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই অপরাধে
তিনটি কারখানা সিলগালা করে তাদের মোট ৩২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৬ হাজার টন
বিষাক্ত পোলট্রি ও ফিশ ফিড জব্দ করা হয়। এসব পোলট্রি, ফিশ ও ডেইরি ফিড তৈরি
কারখানা থেকে উৎপাদিত বিষাক্ত ফিড সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন কোম্পানির
কাছে। র্যাব-১০, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায়
পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার
আলম।
ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোলট্রি খাবার তৈরির সব কারখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাঁরা ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোলট্রি খাবার তৈরি এবং বিপণন করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অথচ গুদামে বস্তাভর্তি চামড়াশিল্পের (ট্যানারি) বর্জ্য। |
শনিবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর ডেমরা এলাকায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। |
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হতো এসব পোলট্রি ও ফিশ ফিড। |
জব্দ করা হয় মেয়াদোত্তীর্ণ ও টেক্সটাইলে ব্যবহৃত রং, যা ব্যবহার করা হতো পোলট্রি (হাঁস-মুরগি) ও মাছের বিষাক্ত খাবার তৈরিতে। |
একটি কারখানায় পাওয়া যায় বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের মোড়ক। |
সিটি করপোরেশন ময়লা রোড এলাকার একটি কারখানায় চামড়াশিল্পের (ট্যানারি) বর্জ্যের গুদাম। এ কারখানাও সিলগালা করা হয়। |
No comments