পাথর হাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে কাশ্মিরি জনতা!
পুলিশ
ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রবল উপস্থিতি সত্ত্বেও ভারতের পক্ষে
জম্মু-কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ব্রিটিশ বার্তা
সংস্থা রয়টার্সের খবর থেকে জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার দুই দিন পাথর হাতে
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে কাশ্মিরি জনতা। পুলিশ ও
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে রয়টার্স জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর স্থানীয়দের
পাথর নিক্ষেপের ঘটনার পর বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযানের সময় তাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নিপীড়ন চালানো
হয়েছে। অবশ্য পাথর নিক্ষেপকে ‘বড় কোনও ঘটনা’ মনে করছেন না স্থানীয় পুলিশ
প্রধান। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষের পর
শ্রীনগরের কিছু এলাকায় পুনরায় বিধিনিষেধ কঠোর করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার শতাধিক স্থানীয় নেতাকে। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা সীমিত রয়েছে। চলাচলেও রয়েছে বিধিনিষেধ। তা সত্ত্বেও ক্ষোভে ফুঁসছে সেখানকার সাধারণ মানুষ।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও একদল প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মিরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শ্রীনগরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর কাশ্মিরিদের পাথর নিক্ষেপের পর পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্য সরকার কিংবা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কেউই বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাথর নিক্ষেপ, তল্লাশি অভিযান, গ্রেফতার কিংবা হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কেও কোনও তথ্য দেয়নি তারা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় শুক্রবার সকালে কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। এই অভিযানের সময় তারা পাথর ও রড দিয়ে কয়েকটি বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। সে সময় কমপক্ষে ছয় ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায় তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর পাথর নিক্ষেপের পর বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একদল মানুষ। তবে জম্মু-কাশ্মিরের পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং বলেছেন, উপত্যকার এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে এবং সেখানকার মানুষ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে তিনি বলেন, দুই/একজন দুষ্কৃতকারী যদি নিরাপত্তা বাহিনীকে পাথর ছুড়েও থাকে, তো সেটা ‘বড় কোনও ঘটনা’ নয়।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে হজের প্রথম বহর কাশ্মিরে ফেরার একদিন আগে শনিবার রাতে শ্রীনগরের বেশ কিছু এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। সে সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। তবে আহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের পর ওইসব এলাকায় রবিবার শ্রীনগরের কিছু অঞ্চলে বিধিনিষেধ দ্বিগুণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এদিকে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার শতাধিক স্থানীয় নেতাকে। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা সীমিত রয়েছে। চলাচলেও রয়েছে বিধিনিষেধ। তা সত্ত্বেও ক্ষোভে ফুঁসছে সেখানকার সাধারণ মানুষ।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও একদল প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় জম্মু-কাশ্মিরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শ্রীনগরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর কাশ্মিরিদের পাথর নিক্ষেপের পর পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্য সরকার কিংবা বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কেউই বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযানের অভিযোগ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাথর নিক্ষেপ, তল্লাশি অভিযান, গ্রেফতার কিংবা হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কেও কোনও তথ্য দেয়নি তারা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় শুক্রবার সকালে কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। এই অভিযানের সময় তারা পাথর ও রড দিয়ে কয়েকটি বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। সে সময় কমপক্ষে ছয় ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায় তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর পাথর নিক্ষেপের পর বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একদল মানুষ। তবে জম্মু-কাশ্মিরের পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং বলেছেন, উপত্যকার এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চলে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে এবং সেখানকার মানুষ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা দিচ্ছে। সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে তিনি বলেন, দুই/একজন দুষ্কৃতকারী যদি নিরাপত্তা বাহিনীকে পাথর ছুড়েও থাকে, তো সেটা ‘বড় কোনও ঘটনা’ নয়।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে হজের প্রথম বহর কাশ্মিরে ফেরার একদিন আগে শনিবার রাতে শ্রীনগরের বেশ কিছু এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। সে সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। তবে আহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের পর ওইসব এলাকায় রবিবার শ্রীনগরের কিছু অঞ্চলে বিধিনিষেধ দ্বিগুণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
No comments