জেএফ-১৭ ব্লক-থ্রি ফাইটার: ভারতের মোকাবেলায় পাকিস্তানকে যে বিমান নির্মাণে সহায়তা করছে চীন by সেবাস্তিয়ান রবলিন
মাত্র
কয়েক মাস আগেই পাকিস্তান তাদের ২৫টি জেএফ-১৭ বিমান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা
পার হয়ে ভারতের ভেতরে আক্রমণ করেছিল বলে দেশটি দাবি করেছে। পাকিস্তান
নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জয়শ-ই মোহাম্মদের কথিত জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে
ভারতের হামলার জবাবে ওই হামলা চালায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিমান বাহিনী দাবি করেছে যে, তাদের জেএফ-১৭ বিমানগুলো ভারতের দুটো বিমানকে ভূপাতিত করেছে, যেগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। তবে ভারতের একটি মিগ-২১ বাইসন বিমান ধ্বংসের তথ্য পরে নিশ্চিত করা হয় এবং বিমানের পাইলট ধরা পড়ে।
পাকিস্তানের বিমান বহরে বর্তমানে ১০০টি থান্ডার্স বিমান রয়েছে যেগুলো পাঁচটি অপারেশনাল স্কোয়াড্রনে বিভক্ত। এর সাথে রয়েছে একটি প্রশিক্ষণ ইউনিট। প্রথম থান্ডার্স পাকিস্তানের বহরে যুক্ত হয় ২০১০ সালে এবং ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রথম ওই বিমান ব্যবহার করা হয়। ইসলামাবাদ ২০১৮ সালে ১৮৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নাইজেরিয়ান বিমান বাহিনীর কাছে তিনটি জেএফ-১৭ বিমান বিক্রিও করে। এছাড়া মিয়ানমারের সাথে তাদের ১৮টি বিমান বিক্রির চুক্তি হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি এরই মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাকিস্তানী বিমান বাহিনী এখন ২০২৪ সালের মধ্যে আরও পঞ্চাশটি জেএফ-১৭এর আধুনিক ব্লক থ্রি ভার্সান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। ৫৮/৪২ শতাংশ অংশগ্রহণে পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে এটি তৈরি করবে। একইসাথে ২৬টি দুই আসনের জেএফ-১৭বি বিমান কেনারও পরিকল্পনা করছে তারা। পুরনো জেএফ-১৭ বিমানগুলোকেও ব্লক থ্রি পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
চীনে এফ-১৬ ও মিগ-২১ এর সংমিশ্রণ
পঞ্চাশের দশক থেকেই ইসলামাবাদ আর বেইজিং ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। শীতল যুদ্ধের সময় ভারত ছিল তাদের অভিন্ন প্রতিপক্ষ। পাকিস্তান একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে, কিন্তু একবিংশ শতকে এসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে ইসলামী চরমপন্থী সংগঠনগুলোর যোগাযোগের কারণে এই সম্পর্কটা আর টিকে থাকেনি।
এভাবেই, নব্বই দশকের শুরুতেই পাকিস্তান এফ-১৬ বিমানের বিকল্পের জন্য চীনের দ্বারস্থ হয় যাতে চীনের তৈরি জে-৭ ও এ-৬ জঙ্গিবিমানগুলোর বদলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়, যেগুলো আসলে মিগ-২১ ও মিগ-১৯ এর অনুকরণে তৈরি।
নতুন ব্লক থ্রি প্রতিটি বিমানের মূল্য হবে ৩২ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এই বিমানে হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে সিস্টেম যুক্ত হচ্ছে। এর মাধ্যমে কাছাকাছি অবস্থান থেকে যুদ্ধের ক্ষেত্রে স্বল্প পাল্লার মিসাইলগুলো ব্যবহারে সুবিধা হবে। জেটের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এবং উড্ডয়ন সক্ষমতা উন্নত করা হয়েছে এবং রাশিয়ার আরডি-৯৩ ইঞ্জিনের বদলে এক পর্যায়ে চীনে তৈরি ডাব্লিউএস-১৩ টার্বোফ্যান ব্যবহার করা হবে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্ব আপগ্রেড হলো অ্যাকটিভ ইলেক্ট্রনিক্যালি স্ক্যান্ড অ্যারে (এইএসএ) রাডার সিস্টেম সংযোজন। এগুলোর রেজল্যুশান অনেক বেশি, অনেক বেশি সুনির্দিষ্ট এবং আরও অধিক জ্যাম এড়াতে সক্ষম।
পাকিস্তানের বিমান বাহিনী দাবি করেছে যে, তাদের জেএফ-১৭ বিমানগুলো ভারতের দুটো বিমানকে ভূপাতিত করেছে, যেগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। তবে ভারতের একটি মিগ-২১ বাইসন বিমান ধ্বংসের তথ্য পরে নিশ্চিত করা হয় এবং বিমানের পাইলট ধরা পড়ে।
পাকিস্তানের বিমান বহরে বর্তমানে ১০০টি থান্ডার্স বিমান রয়েছে যেগুলো পাঁচটি অপারেশনাল স্কোয়াড্রনে বিভক্ত। এর সাথে রয়েছে একটি প্রশিক্ষণ ইউনিট। প্রথম থান্ডার্স পাকিস্তানের বহরে যুক্ত হয় ২০১০ সালে এবং ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রথম ওই বিমান ব্যবহার করা হয়। ইসলামাবাদ ২০১৮ সালে ১৮৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নাইজেরিয়ান বিমান বাহিনীর কাছে তিনটি জেএফ-১৭ বিমান বিক্রিও করে। এছাড়া মিয়ানমারের সাথে তাদের ১৮টি বিমান বিক্রির চুক্তি হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি এরই মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাকিস্তানী বিমান বাহিনী এখন ২০২৪ সালের মধ্যে আরও পঞ্চাশটি জেএফ-১৭এর আধুনিক ব্লক থ্রি ভার্সান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। ৫৮/৪২ শতাংশ অংশগ্রহণে পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে এটি তৈরি করবে। একইসাথে ২৬টি দুই আসনের জেএফ-১৭বি বিমান কেনারও পরিকল্পনা করছে তারা। পুরনো জেএফ-১৭ বিমানগুলোকেও ব্লক থ্রি পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
চীনে এফ-১৬ ও মিগ-২১ এর সংমিশ্রণ
পঞ্চাশের দশক থেকেই ইসলামাবাদ আর বেইজিং ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। শীতল যুদ্ধের সময় ভারত ছিল তাদের অভিন্ন প্রতিপক্ষ। পাকিস্তান একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে, কিন্তু একবিংশ শতকে এসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে ইসলামী চরমপন্থী সংগঠনগুলোর যোগাযোগের কারণে এই সম্পর্কটা আর টিকে থাকেনি।
এভাবেই, নব্বই দশকের শুরুতেই পাকিস্তান এফ-১৬ বিমানের বিকল্পের জন্য চীনের দ্বারস্থ হয় যাতে চীনের তৈরি জে-৭ ও এ-৬ জঙ্গিবিমানগুলোর বদলে সেগুলো ব্যবহার করা যায়, যেগুলো আসলে মিগ-২১ ও মিগ-১৯ এর অনুকরণে তৈরি।
নতুন ব্লক থ্রি প্রতিটি বিমানের মূল্য হবে ৩২ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এই বিমানে হেলমেট-মাউন্টেড ডিসপ্লে সিস্টেম যুক্ত হচ্ছে। এর মাধ্যমে কাছাকাছি অবস্থান থেকে যুদ্ধের ক্ষেত্রে স্বল্প পাল্লার মিসাইলগুলো ব্যবহারে সুবিধা হবে। জেটের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে এবং উড্ডয়ন সক্ষমতা উন্নত করা হয়েছে এবং রাশিয়ার আরডি-৯৩ ইঞ্জিনের বদলে এক পর্যায়ে চীনে তৈরি ডাব্লিউএস-১৩ টার্বোফ্যান ব্যবহার করা হবে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্ব আপগ্রেড হলো অ্যাকটিভ ইলেক্ট্রনিক্যালি স্ক্যান্ড অ্যারে (এইএসএ) রাডার সিস্টেম সংযোজন। এগুলোর রেজল্যুশান অনেক বেশি, অনেক বেশি সুনির্দিষ্ট এবং আরও অধিক জ্যাম এড়াতে সক্ষম।
No comments