ভারতের পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে জেগে উঠার আহ্বান ইমরানের
ভারত
ও পাকিস্তানের নেতাদের মধ্যে বাকযুদ্ধের মধ্যে বিশ্ববাসীকে ভারতের
পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার তিনি দিল্লিতে ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘রেসিস্ট’
সরকারের অধীনে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার আহ্বান
জানান। ভারত ইস্যুতে ধারাবাহিক টুইট করেন তিনি। একটি টুইটে ইমরান বলেছেন,
ফ্যাসিস্ট, রেসিস্ট হিন্দু আধিপত্যবাদী মোদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা
ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই বিশ্বকে
গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। এটি এমন একটি ইস্যু যা শুধু আঞ্চলিক নয়,
পুরো বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
আরেক টুইটে ইমরান খান বলেছেন, হিন্দু আধিপত্যবাদী সরকার শুধু ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য হুমকি নয়, নেহরু ও গান্ধীর ভারতের জন্যও হুমকি, একই সঙ্গে তা পাকিস্তানের জন্যও হুমকি। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির কট্টর মনোভাব ও তাদের আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতীয় মুসলিমদের দুর্দশা সম্পর্কে ইমরান লিখেছেন, এরই মধ্যে ৪০ লাখ ভারতীয় মুসলিম বন্দিশিবিরে আটক থাকার মুখে পড়েছেন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হচ্ছে। দৈত্য যখন বোতলের বাইরে বেরিয়ে এসেছে এবং ঘৃণা-গণহত্যার তত্ত্ব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, আরএসএসের দৃর্বৃত্তরা তান্ডব চালাচ্ছে, তখন অবশ্যই বিষয়টি আমলে নিতে হবে বিশ্বকে। আর যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা বন্ধ করতে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এ ধারার বিস্তার ঘটতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট আকস্মিকভাবে কাশ্মীরকে দেয়া স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারত। এমনিতেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চিরদিনের। সেই উত্তেজনায় যেন ঘি ঢেলেছে এই কাশ্মীর ইস্যু। চীনের সমর্থনে ইস্যুটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে গেছে পাকিস্তান। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ১৫ সদস্যের পরিষদ কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সব পক্ষকে সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। ওই একই দিনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লাইমলাইটে নিয়ে আসেন ভারতের পারমাণবিক ইস্যু। তিনি ইঙ্গিত দেন ভারত তার পারমাণবিক ইস্যু প্রথম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতির পরিবর্তন করতে পারে।
সঙ্গে সঙ্গে এমন মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানায় পাকিস্তান। তারা এমন মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও অভিহিত করে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সর্বশেষ মন্তব্য এটাই বলে যে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনোই আলোচনা নয়, যদিও বহু দেশ এমন আলোচনাকে উৎসাহিত করেছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতেই হয় কখনো, তাহলে তা হতে পারে আজাদ কাশ্মীর নিয়ে। উল্লেখ্য, আজাদ কাশ্মীর হলো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর।
রাজনাথ সিং এ সম্পর্কে যে টুইট করেছেন তা এরকম: কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন এবং বলেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু পাকিস্তান যতদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ না করবে, ততদিন কিছুই হবে না। যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় তাহলে তা হবে আজাদ কাশ্মীর নিয়ে।
রাজনাথ সিংয়ের এমন মন্তব্যকে ভারতের মনোভাবের সঙ্কট বলে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে এটা হলো বিতর্কিত ও অবৈধ মন্তব্য। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা আমরা দেখেছি।
আরেক টুইটে ইমরান খান বলেছেন, হিন্দু আধিপত্যবাদী সরকার শুধু ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য হুমকি নয়, নেহরু ও গান্ধীর ভারতের জন্যও হুমকি, একই সঙ্গে তা পাকিস্তানের জন্যও হুমকি। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির কট্টর মনোভাব ও তাদের আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতীয় মুসলিমদের দুর্দশা সম্পর্কে ইমরান লিখেছেন, এরই মধ্যে ৪০ লাখ ভারতীয় মুসলিম বন্দিশিবিরে আটক থাকার মুখে পড়েছেন। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হচ্ছে। দৈত্য যখন বোতলের বাইরে বেরিয়ে এসেছে এবং ঘৃণা-গণহত্যার তত্ত্ব ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, আরএসএসের দৃর্বৃত্তরা তান্ডব চালাচ্ছে, তখন অবশ্যই বিষয়টি আমলে নিতে হবে বিশ্বকে। আর যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা বন্ধ করতে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এ ধারার বিস্তার ঘটতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট আকস্মিকভাবে কাশ্মীরকে দেয়া স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারত। এমনিতেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চিরদিনের। সেই উত্তেজনায় যেন ঘি ঢেলেছে এই কাশ্মীর ইস্যু। চীনের সমর্থনে ইস্যুটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে গেছে পাকিস্তান। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ১৫ সদস্যের পরিষদ কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সব পক্ষকে সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। ওই একই দিনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লাইমলাইটে নিয়ে আসেন ভারতের পারমাণবিক ইস্যু। তিনি ইঙ্গিত দেন ভারত তার পারমাণবিক ইস্যু প্রথম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতির পরিবর্তন করতে পারে।
সঙ্গে সঙ্গে এমন মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানায় পাকিস্তান। তারা এমন মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও অভিহিত করে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সর্বশেষ মন্তব্য এটাই বলে যে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনোই আলোচনা নয়, যদিও বহু দেশ এমন আলোচনাকে উৎসাহিত করেছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতেই হয় কখনো, তাহলে তা হতে পারে আজাদ কাশ্মীর নিয়ে। উল্লেখ্য, আজাদ কাশ্মীর হলো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর।
রাজনাথ সিং এ সম্পর্কে যে টুইট করেছেন তা এরকম: কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন এবং বলেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু পাকিস্তান যতদিন পর্যন্ত সন্ত্রাসে সমর্থন দেয়া বন্ধ না করবে, ততদিন কিছুই হবে না। যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে হয় তাহলে তা হবে আজাদ কাশ্মীর নিয়ে।
রাজনাথ সিংয়ের এমন মন্তব্যকে ভারতের মনোভাবের সঙ্কট বলে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে এটা হলো বিতর্কিত ও অবৈধ মন্তব্য। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা আমরা দেখেছি।
No comments