ইউরেশিয়ার ৫ দেশ বাংলাদেশের রপ্তানির সম্ভাব্য বাজার by ফখরুল ইসলাম
রপ্তানি
বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের চোখ এবার ইউরেশিয়ার দিকে। তারই অংশ হিসেবে ইউরেশীয়
অর্থনৈতিক কমিশনের (ইইসি) সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে গত ৩১ মে ইইসির সদর দপ্তরে এ চুক্তি সই হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ইইসির মন্ত্রী
পদমর্যাদার সদস্য তাতিয়ানা ভলোভিয়া।
পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ রাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তানের সমন্বয়ে গঠিত ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন (ইইইউ)। এই ইইইউ ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। অনেকটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আদলে গড়া এই ইইইউর সদস্যদেশগুলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ।
তবে বর্তমানে তারা কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেটসের সদস্য। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১-৯৩ সময়ে যে ১১টি দেশ হয়, এগুলোকে একসঙ্গে বলা হয় কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেটস (সিআইএস)। ইইইউভুক্ত পাঁচটি দেশ একই সঙ্গে সিআইএসভুক্ত দেশও।
ইইইউর কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষই হচ্ছে ইইসি। ইইইউর আওতায় সদস্যদেশগুলোর মধ্যে কাস্টমস সীমান্ত নেই। ফলে বাধাহীনভাবে শুল্ক-কর পরিশোধ ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য যাতায়াত করতে পারে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ইইইউর সব সদস্যদেশ একই শুল্ক হার এবং অভিন্ন বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করে থাকে।
জানা গেছে, ইইইউর আওতায় মোট ২ কোটি বর্গকিলোমিটার এলাকার এই পাঁচ দেশে ১৮ কোটি ২৭ লাখ মানুষ বসবাস করে। এ অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ২৭ হাজার মার্কিন ডলার। বিশ্বের চাষযোগ্য জমির ১৪ শতাংশ এ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। গম, তুলা ও ভুট্টা যেমন এ অঞ্চলে ব্যাপক উৎপাদিত হয়; ইউরিয়া সার, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ও রাসায়নিক পণ্য এ অঞ্চলের আর্থিক ভিত্তির অন্যতম উৎস।
ইইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, ওষুধ, আলু ও সবজি রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে রাশিয়ায় তৈরি পোশাক, পাট, হিমায়িত চিংড়ি, আলু ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি হলেও বাজার অনুযায়ী পরিমাণ খুব বেশি নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশ পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা চেয়ে আসছে বহু বছর। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি না থাকায় এবং রাশিয়া ইইইউর আওতায় গঠিত কাস্টমস ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় এককভাবে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দিতে পারছে না। ইইসির সঙ্গে এবারের চুক্তি শুধু রাশিয়া নয়, ইইইউর সব সদস্যদেশেই বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক হিসেবে কাজ করবে। কারণ সহযোগিতা স্মারকের আওতায় শিগগিরই একটি কার্যদল গঠিত হবে, যার মূল কাজ হবে বাংলাদেশ ও ইইইউর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত ১৯টি খাতের উন্নয়নে কাজ করা।
গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়া বলেছিল, ইইইউভুক্ত দেশগুলোতে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের উচিত হবে ইইসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশ সে আবেদন এখনো করেনি বলে জানা গেছে। যদিও এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশকে এখনো ইইইউভুক্ত দেশগুলো শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। তবে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্যে দেয় না। কমিশন অনুমোদন করলে তৈরি পোশাক, চামড়া, সিরামিক ইত্যাদি পণ্যের বড় বাজার হবে ইইইউভুক্ত দেশগুলো।
জানা গেছে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার বড় সুযোগ থাকলেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাংক যোগাযোগই নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনতে সুষ্ঠু ব্যাংক লেনদেন জরুরি, যা বর্তমানে নেই। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা রাশিয়াসহ সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করতে অনেকটা নিরুৎসাহিত বোধ করেন। ব্যাংক লেনদেন চালু হলে তৃতীয় দেশ অর্থাৎ তুরস্ক, পোল্যান্ডের মতো দেশের ওপর আর নির্ভর করতে হবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশের ৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগেরবারের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। আর একই সময়ে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের আমদানি হয়েছে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগেরবারের চেয়ে দশমিক ৬ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উজবেকিস্তানে রপ্তানি হয় প্রায় ৩ কোটি ডলার, ইউক্রেনে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আর্মেনিয়ায় ২৮ লাখ ৯২ হাজার ডলার ও বেলারুশে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। এ ছাড়া মালদোভায় ২৩ লাখ ৫৬ হাজার, আজারবাইজানে ৭ লাখ ১৭ হাজার, তাজিকিস্তানে ৭ লাখ, কাজাখস্তানে ৬ লাখ, কিরগিজস্তানে ৩ লাখ এবং তুর্কমেনিস্তানে ২ লাখ ডলার দামের পণ্য রপ্তানি করা হয়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিআইএসভুক্ত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে উচ্চ শুল্ক। শুল্কায়নের জটিলতাও আছে। তার চেয়েও বড় কথা দেশগুলোর সঙ্গে আধুনিক ব্যাংক যোগাযোগ নেই বাংলাদেশের। আবার বাণিজ্য করতে হয় তৃতীয় দেশের মাধ্যমে এবং মান্ধাতার আমলের টেলিগ্রাফিক লেনদেন (টিটি) পদ্ধতিতে।
এ ছাড়া ব্যাংক যোগাযোগের বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েও আবার পিছিয়ে গেছে উভয় দেশ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল যে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও রাশিয়ার স্পুতনিক ব্যাংক—উভয় দেশের ব্যাংক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে এবং উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে ঠিক করবে ব্যাংক যোগাযোগ কীভাবে হবে। সে ব্যাপারেও কোনো অগ্রগতি নেই।
কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেটসের বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখন ১৫০ কোটি ডলারের মতো। অথচ কিছু পদক্ষেপ নিলে আগামী তিন বছরের মধ্যেই এ বাণিজ্য ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ রাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, আর্মেনিয়া ও কিরগিজস্তানের সমন্বয়ে গঠিত ইউরেশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন (ইইইউ)। এই ইইইউ ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। অনেকটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আদলে গড়া এই ইইইউর সদস্যদেশগুলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ।
তবে বর্তমানে তারা কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেটসের সদস্য। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১-৯৩ সময়ে যে ১১টি দেশ হয়, এগুলোকে একসঙ্গে বলা হয় কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেটস (সিআইএস)। ইইইউভুক্ত পাঁচটি দেশ একই সঙ্গে সিআইএসভুক্ত দেশও।
ইইইউর কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষই হচ্ছে ইইসি। ইইইউর আওতায় সদস্যদেশগুলোর মধ্যে কাস্টমস সীমান্ত নেই। ফলে বাধাহীনভাবে শুল্ক-কর পরিশোধ ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য যাতায়াত করতে পারে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ইইইউর সব সদস্যদেশ একই শুল্ক হার এবং অভিন্ন বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করে থাকে।
জানা গেছে, ইইইউর আওতায় মোট ২ কোটি বর্গকিলোমিটার এলাকার এই পাঁচ দেশে ১৮ কোটি ২৭ লাখ মানুষ বসবাস করে। এ অঞ্চলের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ২৭ হাজার মার্কিন ডলার। বিশ্বের চাষযোগ্য জমির ১৪ শতাংশ এ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। গম, তুলা ও ভুট্টা যেমন এ অঞ্চলে ব্যাপক উৎপাদিত হয়; ইউরিয়া সার, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ও রাসায়নিক পণ্য এ অঞ্চলের আর্থিক ভিত্তির অন্যতম উৎস।
ইইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, ওষুধ, আলু ও সবজি রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে রাশিয়ায় তৈরি পোশাক, পাট, হিমায়িত চিংড়ি, আলু ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি হলেও বাজার অনুযায়ী পরিমাণ খুব বেশি নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশ পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা চেয়ে আসছে বহু বছর। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি না থাকায় এবং রাশিয়া ইইইউর আওতায় গঠিত কাস্টমস ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় এককভাবে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দিতে পারছে না। ইইসির সঙ্গে এবারের চুক্তি শুধু রাশিয়া নয়, ইইইউর সব সদস্যদেশেই বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক হিসেবে কাজ করবে। কারণ সহযোগিতা স্মারকের আওতায় শিগগিরই একটি কার্যদল গঠিত হবে, যার মূল কাজ হবে বাংলাদেশ ও ইইইউর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত ১৯টি খাতের উন্নয়নে কাজ করা।
গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়া বলেছিল, ইইইউভুক্ত দেশগুলোতে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের উচিত হবে ইইসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশ সে আবেদন এখনো করেনি বলে জানা গেছে। যদিও এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশকে এখনো ইইইউভুক্ত দেশগুলো শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়। তবে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্যে দেয় না। কমিশন অনুমোদন করলে তৈরি পোশাক, চামড়া, সিরামিক ইত্যাদি পণ্যের বড় বাজার হবে ইইইউভুক্ত দেশগুলো।
জানা গেছে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার বড় সুযোগ থাকলেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাংক যোগাযোগই নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনতে সুষ্ঠু ব্যাংক লেনদেন জরুরি, যা বর্তমানে নেই। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা রাশিয়াসহ সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করতে অনেকটা নিরুৎসাহিত বোধ করেন। ব্যাংক লেনদেন চালু হলে তৃতীয় দেশ অর্থাৎ তুরস্ক, পোল্যান্ডের মতো দেশের ওপর আর নির্ভর করতে হবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশের ৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগেরবারের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। আর একই সময়ে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশের আমদানি হয়েছে ৭৬ কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য, যা আগেরবারের চেয়ে দশমিক ৬ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উজবেকিস্তানে রপ্তানি হয় প্রায় ৩ কোটি ডলার, ইউক্রেনে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলার, আর্মেনিয়ায় ২৮ লাখ ৯২ হাজার ডলার ও বেলারুশে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। এ ছাড়া মালদোভায় ২৩ লাখ ৫৬ হাজার, আজারবাইজানে ৭ লাখ ১৭ হাজার, তাজিকিস্তানে ৭ লাখ, কাজাখস্তানে ৬ লাখ, কিরগিজস্তানে ৩ লাখ এবং তুর্কমেনিস্তানে ২ লাখ ডলার দামের পণ্য রপ্তানি করা হয়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিআইএসভুক্ত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে উচ্চ শুল্ক। শুল্কায়নের জটিলতাও আছে। তার চেয়েও বড় কথা দেশগুলোর সঙ্গে আধুনিক ব্যাংক যোগাযোগ নেই বাংলাদেশের। আবার বাণিজ্য করতে হয় তৃতীয় দেশের মাধ্যমে এবং মান্ধাতার আমলের টেলিগ্রাফিক লেনদেন (টিটি) পদ্ধতিতে।
এ ছাড়া ব্যাংক যোগাযোগের বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েও আবার পিছিয়ে গেছে উভয় দেশ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল যে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও রাশিয়ার স্পুতনিক ব্যাংক—উভয় দেশের ব্যাংক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে এবং উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে ঠিক করবে ব্যাংক যোগাযোগ কীভাবে হবে। সে ব্যাপারেও কোনো অগ্রগতি নেই।
কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্টস স্টেটসের বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখন ১৫০ কোটি ডলারের মতো। অথচ কিছু পদক্ষেপ নিলে আগামী তিন বছরের মধ্যেই এ বাণিজ্য ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
No comments