‘কাশ্মীর পুড়ছে’: লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ
লন্ডনে
ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা
যে সব ব্যানার নিয়ে এসেছিলো, সেগুলোতে লেখা ছিল: ‘কাশ্মীর পুড়ছে’,
‘কাশ্মীরকে মুক্ত করো’ এবং ‘মোদি: চা বানাও, যুদ্ধ নয়’। সাবেক ব্রিটিশ এমপি
জর্জ গ্যালোওয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসী পাকিস্তানি বিষয়ক বিশেষ সহকারী
সাইয়েদ জুলফি বুখারি বিক্ষোভে বক্তৃতা করেন এবং বিজেপি সরকার কর্তৃক ৩৭০
অনুচ্ছেদ বাতিলের তীব্র নিন্দা জানান।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শান্ত থাকার জন্য অধিকার কর্মীদের এই আহ্বান এটাই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকেও বিশ্ব সম্প্রদায় ক্রুদ্ধ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল যখন পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য তিনি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সময় বেলা একটায় বিক্ষোভ সমাবেশের কথা থাকলেও তার আগেই শত শত মানুষ ভবনের ডান পাশে জড়ো হয়। লন্ডনের পাকিস্তান-পন্থী অধিকার কর্মীরা এতে বক্তৃতা করেন। তারা ভারতীয় আগ্রাসনের নিন্দা জানান এবং কাশ্মীরের মুক্তি দাবি করেন।
স্থানীয় কাশ্মীর কাউন্সিলের অধিকার কর্মী এবং বক্তারাও সমাবেশে কথা বলেন। তারা কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্বের অবসান চান। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিখ সমর্থকও খালিস্তানের ব্যানার নিয়ে তাদেরকে সমর্থন জানান।
সাবেক ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালোওয়ে এ উপলক্ষ্যে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, “মোদি পুরো বিশ্বকে একটা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন – এটা পারমাণবিক যুদ্ধ – এবং সে কারণে এটা পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে বিঘ্নিত করবে”।
ইংল্যান্ডের অন্যান্য শহর থেকেও বহু বিক্ষোভকারী চার্টার্ড বাসে রাজধানী লন্ডনে হাজির হন। কাশ্মীরী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ পেনশনভোগী আমিন তাহির এ ধরনের একটি বাসে এসেছিলেন বার্মিংহাম থেকে। তিনি বললেন, “আমাদের কাশ্মীরী ভাইদের সাথে আমরা একাত্মতা জানাতে চাই”।
তিনি বলেন, “১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীর ভারত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। এখন কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসনের অবসানের জন্য মোদি জোর করে আইন পরিবর্তন করেছেন”।
প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসী পাকিস্তানী বিষয়ক বিশেষ সহকারী সাইয়েদ জুলফি বুখারিও বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন, যিনি সক্রিয়ভাবে সবাইকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করে এই উপস্থিতি রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আমি মনে করি, এটা কাশ্মীরের জনগণ এবং অন্যদের মনোভাবকে ব্যক্ত করেছে যে, তারা আগ্রাসনের বিরোধী, তারা দস্যুতার বিরোধী। আমি মনে করি, এটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ধরনের সোচ্চার কণ্ঠ উচ্চকিত হওয়া অব্যাহত থাকুক”।
পরে সোশাল মিডিয়ায় ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত সরকারের অপকর্মের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। পাকিস্তান অব্যাহতভাবে কাশ্মীরীদের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একাধিকবার বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরবতা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল ও এর বাইরেও আরও মারাত্মক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শান্ত থাকার জন্য অধিকার কর্মীদের এই আহ্বান এটাই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকেও বিশ্ব সম্প্রদায় ক্রুদ্ধ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল যখন পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য তিনি প্রায় প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ সময় বেলা একটায় বিক্ষোভ সমাবেশের কথা থাকলেও তার আগেই শত শত মানুষ ভবনের ডান পাশে জড়ো হয়। লন্ডনের পাকিস্তান-পন্থী অধিকার কর্মীরা এতে বক্তৃতা করেন। তারা ভারতীয় আগ্রাসনের নিন্দা জানান এবং কাশ্মীরের মুক্তি দাবি করেন।
স্থানীয় কাশ্মীর কাউন্সিলের অধিকার কর্মী এবং বক্তারাও সমাবেশে কথা বলেন। তারা কাশ্মীরে ভারতের দখলদারিত্বের অবসান চান। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিখ সমর্থকও খালিস্তানের ব্যানার নিয়ে তাদেরকে সমর্থন জানান।
সাবেক ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালোওয়ে এ উপলক্ষ্যে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, “মোদি পুরো বিশ্বকে একটা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন – এটা পারমাণবিক যুদ্ধ – এবং সে কারণে এটা পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে বিঘ্নিত করবে”।
ইংল্যান্ডের অন্যান্য শহর থেকেও বহু বিক্ষোভকারী চার্টার্ড বাসে রাজধানী লন্ডনে হাজির হন। কাশ্মীরী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ পেনশনভোগী আমিন তাহির এ ধরনের একটি বাসে এসেছিলেন বার্মিংহাম থেকে। তিনি বললেন, “আমাদের কাশ্মীরী ভাইদের সাথে আমরা একাত্মতা জানাতে চাই”।
তিনি বলেন, “১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মীর ভারত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। এখন কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসনের অবসানের জন্য মোদি জোর করে আইন পরিবর্তন করেছেন”।
প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসী পাকিস্তানী বিষয়ক বিশেষ সহকারী সাইয়েদ জুলফি বুখারিও বিক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন, যিনি সক্রিয়ভাবে সবাইকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি মনে করে এই উপস্থিতি রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আমি মনে করি, এটা কাশ্মীরের জনগণ এবং অন্যদের মনোভাবকে ব্যক্ত করেছে যে, তারা আগ্রাসনের বিরোধী, তারা দস্যুতার বিরোধী। আমি মনে করি, এটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ধরনের সোচ্চার কণ্ঠ উচ্চকিত হওয়া অব্যাহত থাকুক”।
পরে সোশাল মিডিয়ায় ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত সরকারের অপকর্মের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। পাকিস্তান অব্যাহতভাবে কাশ্মীরীদের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একাধিকবার বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরবতা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল ও এর বাইরেও আরও মারাত্মক চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
No comments