চীনকে বিবেচনায় রেখে প্রথম মহাকাশ যুদ্ধ মহড়া শুরু করছে ভারত by রজিত পন্ডিত
ভারতের
সশস্ত্র বাহিনী দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিমুলেটেড মহাকাশ যুদ্ধ
মহড়ায় অংশ নেয়ার সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করেছে। চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য এই
মহড়ার মাধ্যমে পৃথিবীর বাইরের হুমকিগুলোকে চিহ্নিত করা হবে এবং ভবিষ্যৎ
যুদ্ধের জন্য যৌথ মহাকাশ নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন বাহিনীর ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (আইডিএস) বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনের এই ‘ইন্ডস্পেসএক্স’ মহড়ায় অংশ নিবে, যেখান সকল সামরিক ও বৈজ্ঞানিক পক্ষগুলো উপস্থিত থাকবে।
এমন সময় এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে, যখন চীন দ্রুত তাদের মহাকাশ যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
চীন বিভিন্ন ধরনের এ-স্যাট অস্ত্র তৈরি করে চলেছে – যার মধ্যে রয়েছে দ্রুতগতির কো-অরবিটাল ঘাতক স্যাটেলাইট ও ডিরেক্ট অ্যাসেন্ট মিসাইল এবং নন-কাইনেটিক অস্ত্র যেমন লেসার ও ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক পালস অস্ত্রাদি। এ অবস্থায় কর্মকর্তারা বলছেন যে, মহাকাশে নিজেদের সম্পদকে রক্ষা করতে চাইলে প্রতিরোধ সক্ষমতার উন্নয়ন করা ছাড়া ভারতের কোন উপায় নেই।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে, মার্চের এ-স্যাট পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো ভারতকে আরও শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ করে তোলা এবং শান্তি ও শৃঙ্খলা আরও নিশ্চিত করা। এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মিল রেখেই প্রধান চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করার জন্য ইন্ডস্পেসএক্স মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করতে একটা নেতৃস্থানীয় আইআইটিও এখানে যুক্ত হয়েছে”।
ভারতের যদিও দীর্ঘদিন ধরে বেসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি রয়েছে, যেটা সোমবার চন্দ্রায়ন-২ মিশন সফলভাবে চালুর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত মহাকাশ প্রযুক্তিকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ, নজরদারি, যোগাযোগ ও বিমান চলাচলের কাজে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, “যুদ্ধের চূড়ান্ত ফ্রন্টিয়ারের কার্যকর কৌশলগত, আভিযানিক ও পদ্ধতিগত বিষয়গুলো যাচাই ও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। চীন যেখানে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমরা চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবো না, কিন্তু আমাদেরকে আমাদের মহাকাশ সম্পদ রক্ষার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে”।
মহাকাশে প্রতিকূল কোন অস্ত্র ভারতের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ সম্পদকে শুধু অকেজোই করতে পারবে না, বরং ভারতের স্যাটেলাইটগুলোকে ধ্বংস বা অচল করে দিয়ে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে তারা ‘অন্ধ ও বধির’ করে দিতে পারে, কারণ এগুলো ব্যবহার করেই নজরদারি, যোগাযোগ, মিসাইলের আগাম সতর্কতা ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়। তিনি আরও বলেন, “চীন এ পর্যন্ত কোমল ও কঠিন সব ধরনের মহাকাশ অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে”।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন বাহিনীর ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (আইডিএস) বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনের এই ‘ইন্ডস্পেসএক্স’ মহড়ায় অংশ নিবে, যেখান সকল সামরিক ও বৈজ্ঞানিক পক্ষগুলো উপস্থিত থাকবে।
এমন সময় এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে, যখন চীন দ্রুত তাদের মহাকাশ যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।
চীন বিভিন্ন ধরনের এ-স্যাট অস্ত্র তৈরি করে চলেছে – যার মধ্যে রয়েছে দ্রুতগতির কো-অরবিটাল ঘাতক স্যাটেলাইট ও ডিরেক্ট অ্যাসেন্ট মিসাইল এবং নন-কাইনেটিক অস্ত্র যেমন লেসার ও ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক পালস অস্ত্রাদি। এ অবস্থায় কর্মকর্তারা বলছেন যে, মহাকাশে নিজেদের সম্পদকে রক্ষা করতে চাইলে প্রতিরোধ সক্ষমতার উন্নয়ন করা ছাড়া ভারতের কোন উপায় নেই।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে, মার্চের এ-স্যাট পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো ভারতকে আরও শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ করে তোলা এবং শান্তি ও শৃঙ্খলা আরও নিশ্চিত করা। এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মিল রেখেই প্রধান চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করার জন্য ইন্ডস্পেসএক্স মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান বের করতে একটা নেতৃস্থানীয় আইআইটিও এখানে যুক্ত হয়েছে”।
ভারতের যদিও দীর্ঘদিন ধরে বেসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি রয়েছে, যেটা সোমবার চন্দ্রায়ন-২ মিশন সফলভাবে চালুর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত মহাকাশ প্রযুক্তিকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ, নজরদারি, যোগাযোগ ও বিমান চলাচলের কাজে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, “যুদ্ধের চূড়ান্ত ফ্রন্টিয়ারের কার্যকর কৌশলগত, আভিযানিক ও পদ্ধতিগত বিষয়গুলো যাচাই ও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। চীন যেখানে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমরা চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবো না, কিন্তু আমাদেরকে আমাদের মহাকাশ সম্পদ রক্ষার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে”।
মহাকাশে প্রতিকূল কোন অস্ত্র ভারতের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ সম্পদকে শুধু অকেজোই করতে পারবে না, বরং ভারতের স্যাটেলাইটগুলোকে ধ্বংস বা অচল করে দিয়ে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে তারা ‘অন্ধ ও বধির’ করে দিতে পারে, কারণ এগুলো ব্যবহার করেই নজরদারি, যোগাযোগ, মিসাইলের আগাম সতর্কতা ও নিখুঁত লক্ষ্যভেদের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়। তিনি আরও বলেন, “চীন এ পর্যন্ত কোমল ও কঠিন সব ধরনের মহাকাশ অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে”।
No comments