চীনা জাহাজের উপর নজর রাখতে মোজাম্বিকের সঙ্গে চুক্তি করছে ভারত
ভারত
মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের অবস্থান আরো জোরদার করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি
করতে যাচ্ছে ভারত। এই চুক্তি হলে মহাসাগরের রুট ধরে যাতায়াতকারী
জাহাজগুলোর উপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখা যাবে। ভারতীয় নৌবাহিনী এরই মধ্যে বলেছে
যে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি বড়
চ্যালেঞ্জ।
দক্ষিণ আফ্রিকান রাষ্ট্র মোজাম্বিকে তিন দিনের সফরের আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শুক্রবার জানিয়েছেন যে দুই দেশ ‘এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের উপর নজরদারি, হোয়াইট শিপিং ইনফরমেশন বিনিময় ও হাইড্রোগ্রাফি’ ক্ষেত্রে চুক্তি সই করবে’
হোয়াইট শিপিং ইনফরমেশন চুক্তি অনুযায়ী ভারত অসামরিক বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচল ও পরিচয় সম্পর্কে আগাম তথ্য লাভ করবে।
চীনা জাহাজের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য এই তথ্য বেশ সুবিধাজনক হবে। অতীতে জলদস্যুতা দমনের জন্য ওই অঞ্চলে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, সাবমেরিন ও ফ্রিগেট মোতায়েনের দাবি করেছিলো চীন।
এরপরও ভারতীয় নৌবাহিনী এই অঞ্চলের এক ডজনেরও বেশি দেশে রাডার স্টেশন ও সারভেইল্যান্ডস সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি পুরোপুরি মেরিটাইম ডোমেইন এওয়ারনেস (এমডিএ) গঠনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মোজাম্বিকের সঙ্গে চুক্তি দুটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য জলদস্যু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরো বেশি সহায়ক হবে।
২৮ জুলাই থেকে এই সফর শুরু হয়েছে। এ সময় ভারত এসএজিএআর (সিকিউরিটি এন্ড গ্রোথ ফর অল ইন দি রিজিয়ন) উদ্যোগ এগিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করবে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সিং বলেন. এই চুক্তিগুলো সই হলে ভারত মহাসাগরের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত আফ্রিকান দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হবে।
চীন তার নৌবাহিনীর ব্যয় সম্পর্কিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের একদিন পর গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল করমবীর সিং বলেছিলেন, নৌবাহিনীর প্রতি চীনের মনযোগ নতুন কিছু নয়। এখন ভারতীয় নৌবাহিনীকে দেখতে হবে তার সীমিত বাজেট ও সম্পদ নিয়ে কিভাবে চীনের ‘আকাঙ্ক্ষার’ সমকক্ষ হওয়া যায়।
চীনের শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে: পিএলএ সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা উন্নত করছে এবং বিদেশে চীনা স্বার্থগুলোর সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট ম্যাকানিজম পরিমার্জন করছে। বিদেশে অপারেশন ও সহায়তায় ঘাটতি দূর করতে দূর সাগরে মোতায়েনযোগ্য বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। বিদেশে লজিস্টিক্যাল ফ্যাসিলিটি নির্মাণ করছে চীন এবং বিচিত্র সামরিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সামর্থ বাড়াচ্ছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী বিভিন্ন সময়ে স্বীকার করেছে যে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এই অঞ্চলে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েনের উপর ভারত ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে।
দক্ষিণ আফ্রিকান রাষ্ট্র মোজাম্বিকে তিন দিনের সফরের আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শুক্রবার জানিয়েছেন যে দুই দেশ ‘এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের উপর নজরদারি, হোয়াইট শিপিং ইনফরমেশন বিনিময় ও হাইড্রোগ্রাফি’ ক্ষেত্রে চুক্তি সই করবে’
হোয়াইট শিপিং ইনফরমেশন চুক্তি অনুযায়ী ভারত অসামরিক বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচল ও পরিচয় সম্পর্কে আগাম তথ্য লাভ করবে।
চীনা জাহাজের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য এই তথ্য বেশ সুবিধাজনক হবে। অতীতে জলদস্যুতা দমনের জন্য ওই অঞ্চলে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, সাবমেরিন ও ফ্রিগেট মোতায়েনের দাবি করেছিলো চীন।
এরপরও ভারতীয় নৌবাহিনী এই অঞ্চলের এক ডজনেরও বেশি দেশে রাডার স্টেশন ও সারভেইল্যান্ডস সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি পুরোপুরি মেরিটাইম ডোমেইন এওয়ারনেস (এমডিএ) গঠনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মোজাম্বিকের সঙ্গে চুক্তি দুটি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য জলদস্যু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরো বেশি সহায়ক হবে।
২৮ জুলাই থেকে এই সফর শুরু হয়েছে। এ সময় ভারত এসএজিএআর (সিকিউরিটি এন্ড গ্রোথ ফর অল ইন দি রিজিয়ন) উদ্যোগ এগিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করবে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সিং বলেন. এই চুক্তিগুলো সই হলে ভারত মহাসাগরের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত আফ্রিকান দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত হবে।
চীন তার নৌবাহিনীর ব্যয় সম্পর্কিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের একদিন পর গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল করমবীর সিং বলেছিলেন, নৌবাহিনীর প্রতি চীনের মনযোগ নতুন কিছু নয়। এখন ভারতীয় নৌবাহিনীকে দেখতে হবে তার সীমিত বাজেট ও সম্পদ নিয়ে কিভাবে চীনের ‘আকাঙ্ক্ষার’ সমকক্ষ হওয়া যায়।
চীনের শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে: পিএলএ সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা উন্নত করছে এবং বিদেশে চীনা স্বার্থগুলোর সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট ম্যাকানিজম পরিমার্জন করছে। বিদেশে অপারেশন ও সহায়তায় ঘাটতি দূর করতে দূর সাগরে মোতায়েনযোগ্য বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। বিদেশে লজিস্টিক্যাল ফ্যাসিলিটি নির্মাণ করছে চীন এবং বিচিত্র সামরিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সামর্থ বাড়াচ্ছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী বিভিন্ন সময়ে স্বীকার করেছে যে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এই অঞ্চলে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েনের উপর ভারত ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে।
No comments