মোদি-মমতার তরজায় পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার জমজমাট
পশ্চিমবঙ্গে
পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার দুপুরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে এবং বিকালে কলকাতায় দুটি
জনসভার মাধ্যমে এই প্রচার অভিযান শুরু করেছেন তিনি। একই দিনে তৃণমূল
কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন কোচবিহারের দিনহাটায় এক জনসভা
করে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। মোদি ও মমতার তরজায় পশ্চিমবঙ্গের
নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে অনেক
বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি।
রাজ্য থেকে যত বেশি সম্ভব আসন নিজেদের দখলে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। বিজেপির দুটি জনসভাতেই সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে মোদি আপ্লুত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই জনসমাগমই বুঝিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে দিদির নৌকা ডুবতে চলেছে।
তিনি নিজে শুধু চৌকিদার নন, সকলেই যে চৌকিদার সে কথাও সকলকে দিয়ে কবুল করিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটার সভায় মোদিকে এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করে বলেছেন, আগে তোমাকে বধ করবো। তোমরা বিনাশকারীর দল। চিটিংবাজের দল। ডাকাতের দল। নোটবন্দির দল। তোমরা আমাদের শেখাবে? মনে রাখবেন ইলেকশনটা দিল্লির, এটা বাংলার ইলেকশন নয়। ৪২-৪২ জিতবে বাংলা। মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারেরও তোপ দেগেছেন মমতা। মমতার মতে, বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনার, আমার, তফসিলি, আদিবাসী, শিখ, খ্রিষ্টান কারও অধিকার থাকবে না। দেশে আর নির্বাচন হবে না।
আর গণতন্ত্র থাকবে না। দেশটাকে দখল করে নেবে ভয় দেখিয়ে। তবে বিজেপির জনসভায় মোদি এদিন অভিযোগ করেছেন, দিদি গরিবদের লুট করছেন। দিদি গরিবের পক্ষে নেই। গরিবি খতম হলে দিদির রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। মোদির মতে, পিসি আর ভাইপো বাংলাকে লুট করছে। বিজেপিকে ভোট দিয়ে বাংলায় পরিবারতন্ত্র শেষ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দিদি বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও স্লোগান দিয়ে হুঙ্কার দিয়েছেন, মোদিকে দিল্লিতে বধ করবে বাংলাই। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুটি ভাষণের প্রায় পুরোটাতেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শিলিগুড়ির সভায় তিনি বলেছেন, রাজ্যে দিদিই উন্নয়নের পথে স্পিডব্রেকার। তিনি বলেছেন, যে গতিতে দেশের অন্য রাজ্যে কাজ করেছি, এ রাজ্যে সেই গতিতে কাজ হয়নি। এর কারণ কি জানেন? পশ্চিমবঙ্গে এক স্পিডব্রেকার আছে। এখানকার লোক তাকে দিদি বলে জানেন। আপনাদের উন্নয়নের স্পিডব্রেকার হচ্ছেন দিদি।
কেন্দ্রীয় সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্পে দিদি বাধা দিচ্ছেন। এর সঙ্গে তিনি বলেছেন, আপনাদের ভালোবাসা দিদির ঘুম ছুটিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে, আমি মাথা নত করে প্রণাম করি। মোদি এদিন অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলার পর তিনি বলেছেন, এই চৌকিদার পশ্চিমবঙ্গে কাজ করতে চায়। জানিয়েছেন, আপনাদের চা-ওয়ালা উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। আপনাদের চৌকিদার, আপনাদের স্বপ্নপূরণে বদ্ধপরিকর। এদিন বিকালে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় তিনি বলেছেন, রাজনীতির জমি টলে গিয়েছে বলেই দেশবিরোধী কথা বলছেন দিদি। সেই সঙ্গে তিনি বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা দেয়া নিয়ে বিরোধীরা যে সব কথা বলেছেন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই সভা থেকে কংগ্রেসেরও প্রবল সমালোচনা করে মোদি বলেছেন, কংগ্রেস যা করছে, তাতে আমাদের জওয়ানদের মনোবল নষ্ট করছে।
ভোটব্যাংকের জন্য কংগ্রেস সবসময় সন্ত্রাসবাদের প্রতি নরম থেকেছে। মোদির অভিযোগ, কিছু লোক মোদির বিরোধিতা করতে করতে ভারত মায়ের বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। মোদি অবশ্য জনতার উদ্দেশে এদিন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক, মহাকাশে স্ট্রাইক কিংবা কলকাতা থেকে বারানসী পর্যন্ত সংযোগ তৈরি করাই হোক, এগুলো কার জন্য সম্ভব হয়েছে? পাঁচ বছরে এসব কে করেছে? উত্তরটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত নিজেই দিয়েছেন। বলেছেন, এই মোদিই করেছেন।
রাজ্য থেকে যত বেশি সম্ভব আসন নিজেদের দখলে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। বিজেপির দুটি জনসভাতেই সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে মোদি আপ্লুত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই জনসমাগমই বুঝিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে দিদির নৌকা ডুবতে চলেছে।
তিনি নিজে শুধু চৌকিদার নন, সকলেই যে চৌকিদার সে কথাও সকলকে দিয়ে কবুল করিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটার সভায় মোদিকে এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী বলে উল্লেখ করে বলেছেন, আগে তোমাকে বধ করবো। তোমরা বিনাশকারীর দল। চিটিংবাজের দল। ডাকাতের দল। নোটবন্দির দল। তোমরা আমাদের শেখাবে? মনে রাখবেন ইলেকশনটা দিল্লির, এটা বাংলার ইলেকশন নয়। ৪২-৪২ জিতবে বাংলা। মোদির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারেরও তোপ দেগেছেন মমতা। মমতার মতে, বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনার, আমার, তফসিলি, আদিবাসী, শিখ, খ্রিষ্টান কারও অধিকার থাকবে না। দেশে আর নির্বাচন হবে না।
আর গণতন্ত্র থাকবে না। দেশটাকে দখল করে নেবে ভয় দেখিয়ে। তবে বিজেপির জনসভায় মোদি এদিন অভিযোগ করেছেন, দিদি গরিবদের লুট করছেন। দিদি গরিবের পক্ষে নেই। গরিবি খতম হলে দিদির রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। মোদির মতে, পিসি আর ভাইপো বাংলাকে লুট করছে। বিজেপিকে ভোট দিয়ে বাংলায় পরিবারতন্ত্র শেষ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দিদি বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও স্লোগান দিয়ে হুঙ্কার দিয়েছেন, মোদিকে দিল্লিতে বধ করবে বাংলাই। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুটি ভাষণের প্রায় পুরোটাতেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শিলিগুড়ির সভায় তিনি বলেছেন, রাজ্যে দিদিই উন্নয়নের পথে স্পিডব্রেকার। তিনি বলেছেন, যে গতিতে দেশের অন্য রাজ্যে কাজ করেছি, এ রাজ্যে সেই গতিতে কাজ হয়নি। এর কারণ কি জানেন? পশ্চিমবঙ্গে এক স্পিডব্রেকার আছে। এখানকার লোক তাকে দিদি বলে জানেন। আপনাদের উন্নয়নের স্পিডব্রেকার হচ্ছেন দিদি।
কেন্দ্রীয় সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্পে দিদি বাধা দিচ্ছেন। এর সঙ্গে তিনি বলেছেন, আপনাদের ভালোবাসা দিদির ঘুম ছুটিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে, আমি মাথা নত করে প্রণাম করি। মোদি এদিন অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলার পর তিনি বলেছেন, এই চৌকিদার পশ্চিমবঙ্গে কাজ করতে চায়। জানিয়েছেন, আপনাদের চা-ওয়ালা উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। আপনাদের চৌকিদার, আপনাদের স্বপ্নপূরণে বদ্ধপরিকর। এদিন বিকালে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় তিনি বলেছেন, রাজনীতির জমি টলে গিয়েছে বলেই দেশবিরোধী কথা বলছেন দিদি। সেই সঙ্গে তিনি বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা দেয়া নিয়ে বিরোধীরা যে সব কথা বলেছেন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই সভা থেকে কংগ্রেসেরও প্রবল সমালোচনা করে মোদি বলেছেন, কংগ্রেস যা করছে, তাতে আমাদের জওয়ানদের মনোবল নষ্ট করছে।
ভোটব্যাংকের জন্য কংগ্রেস সবসময় সন্ত্রাসবাদের প্রতি নরম থেকেছে। মোদির অভিযোগ, কিছু লোক মোদির বিরোধিতা করতে করতে ভারত মায়ের বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। মোদি অবশ্য জনতার উদ্দেশে এদিন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক, মহাকাশে স্ট্রাইক কিংবা কলকাতা থেকে বারানসী পর্যন্ত সংযোগ তৈরি করাই হোক, এগুলো কার জন্য সম্ভব হয়েছে? পাঁচ বছরে এসব কে করেছে? উত্তরটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত নিজেই দিয়েছেন। বলেছেন, এই মোদিই করেছেন।
No comments