লিবিয়ার শহরে পানির জন্য হাহাকার
লিবিয়ার
উত্তরাঞ্চলীয় জিনতান শহরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা শত শত নীল রঙের
পাইপের দেখা মেলে। ২০১১ সালের ‘আরব বসন্ত’ বিপ্লবে এই শহরের বিশ্বের
বৃহত্তম জলসেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে এখানকার মানুষ পানির তীব্র
সংকটে ভুগছে। পানির অভাবে এখন তারা শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
এএফপির খবরে জানানো হয়, আল-সিদ চানতা নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘জিনতান শহরে আমাদের কিছুই নেই।’ পাইপগুলো অকেজো থাকায় তাঁকে দিনে আটবার একই এলাকায় পানি সরবরাহ করতে হয়। শুধু মানুষের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণে তিনি কাজটি করছেন। তিনি জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে অন্তত ৪০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারি সেবার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জিনতান আগে লিবিয়ার গ্রেট ম্যান-মেড রিভার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিশ্বের বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্পে সাহারা মরুভূমির গভীর থেকে পানি তুলে পরিশোধন করে উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করা হতো। ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে ওই এলাকার মানুষ সেকেলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
জিনতান শহরের নাফুসা পাহাড়তলির জলাশয় থেকে ট্রাকে করে খুব কষ্ট করে সাধারণ মানুষের কাছে পানি পৌঁছানো হয়। এভাবে যেটুকু পানি সরবরাহ করা হয়, তা স্থানীয় ৬০ হাজার মানুষের পানির চাহিদার অর্ধেকেরও কম। শহরের সব বাসায় পানি পৌঁছায় না। যেসব নাগরিকের বাসায় পানি পৌঁছায়, তা তাঁদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এ জন্য ট্রাকভাড়া বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়ে যায়।
সিটি হলের পানি বিভাগের পরিচালক আবদুল্লাহ আল-রাম্মাহ পানির ‘তীব্র সংকটের’ কথা স্বীকার করে বলেন, পানি বিতরণ ব্যবস্থা এখনো সত্তরের দশকেই পড়ে আছে। পাহাড়ের আশপাশের অন্যান্য অঞ্চলেও এভাবেই পানি সরবরাহ করা হয়। জিনতানের জনসাধারণের জন্য পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নেই। সাধারণ মানুষ ব্যবহারের পর ময়লা পানি সেপটিক ট্যাংকের ভিতর ফেলে, যা ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে। পরে ওই দূষিত পানি তুলে পুনরায় ব্যবহার করে। এর ফলে অনেক মানুষ বিশেষ করে শিশুরা হেপাটাইটিস সি–এর সংক্রামণে আক্রান্ত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অঞ্চলের একজন চিকিৎসক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শহরের মেয়র মুস্তফা আল-বেরুনি বলেন, তাঁর শহরের সঙ্গে ‘অন্যায়’ আচরণ করা হয়েছে। দশকের পর দশক ধরে কোণঠাসা করে রাখ হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু শহরে কিছু মৌলিক সেবা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তা, বন্দর বা চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে। অন্য সবে কিছুই নেই।
এএফপির খবরে জানানো হয়, আল-সিদ চানতা নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘জিনতান শহরে আমাদের কিছুই নেই।’ পাইপগুলো অকেজো থাকায় তাঁকে দিনে আটবার একই এলাকায় পানি সরবরাহ করতে হয়। শুধু মানুষের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণে তিনি কাজটি করছেন। তিনি জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে অন্তত ৪০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারি সেবার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জিনতান আগে লিবিয়ার গ্রেট ম্যান-মেড রিভার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিশ্বের বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্পে সাহারা মরুভূমির গভীর থেকে পানি তুলে পরিশোধন করে উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করা হতো। ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে ওই এলাকার মানুষ সেকেলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
জিনতান শহরের নাফুসা পাহাড়তলির জলাশয় থেকে ট্রাকে করে খুব কষ্ট করে সাধারণ মানুষের কাছে পানি পৌঁছানো হয়। এভাবে যেটুকু পানি সরবরাহ করা হয়, তা স্থানীয় ৬০ হাজার মানুষের পানির চাহিদার অর্ধেকেরও কম। শহরের সব বাসায় পানি পৌঁছায় না। যেসব নাগরিকের বাসায় পানি পৌঁছায়, তা তাঁদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এ জন্য ট্রাকভাড়া বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়ে যায়।
সিটি হলের পানি বিভাগের পরিচালক আবদুল্লাহ আল-রাম্মাহ পানির ‘তীব্র সংকটের’ কথা স্বীকার করে বলেন, পানি বিতরণ ব্যবস্থা এখনো সত্তরের দশকেই পড়ে আছে। পাহাড়ের আশপাশের অন্যান্য অঞ্চলেও এভাবেই পানি সরবরাহ করা হয়। জিনতানের জনসাধারণের জন্য পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নেই। সাধারণ মানুষ ব্যবহারের পর ময়লা পানি সেপটিক ট্যাংকের ভিতর ফেলে, যা ভূগর্ভস্থ পানিকে দূষিত করে। পরে ওই দূষিত পানি তুলে পুনরায় ব্যবহার করে। এর ফলে অনেক মানুষ বিশেষ করে শিশুরা হেপাটাইটিস সি–এর সংক্রামণে আক্রান্ত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অঞ্চলের একজন চিকিৎসক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শহরের মেয়র মুস্তফা আল-বেরুনি বলেন, তাঁর শহরের সঙ্গে ‘অন্যায়’ আচরণ করা হয়েছে। দশকের পর দশক ধরে কোণঠাসা করে রাখ হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু শহরে কিছু মৌলিক সেবা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তা, বন্দর বা চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে। অন্য সবে কিছুই নেই।
No comments