রংপুরের তারাগঞ্জ: রাস্তার পাশে পুকুর খনন করে বালুর ব্যবসা
রংপুরের
তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট-ঘোনপাড়া রাস্তার পাশে পুকুর খনন করে বালু
তুলছেন এক ব্যক্তি। এসব বালু আবার ট্রাক ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন স্থানে
পাঠানো হচ্ছে। এতে ধুলা ওড়ায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ছয়টি গ্রামের
মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি বালু তোলায় গভীর খাদ সৃষ্টি হওয়ায়
রাস্তার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাস্তাটি রক্ষা এবং নিজেদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ওই ছয় গ্রামের ৬৩ জন বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ২৮ মার্চ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে ইউএনও আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বৈদ্যনাথপুর, রঘুনাথপুর, পূর্ব রহিমাপুর, খানপাড়, বাঙালিপুর, ঘোনপাড়াসহ ছয়টি গ্রাম। গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে চলে গেছে বুড়িরহাট-ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন ছাড়াও ছয়টি গ্রামের মানুষ বুড়িরহাট বাজার ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু ১৫ দিন ধরে রহিমাপুর গ্রামে যাদু মিয়া তাঁর বাড়ির পাশে তিন একর জমিতে ওই রাস্তার গা ঘেঁষে পুকুর খনন করে বালু তুলে ট্রাক ও ট্রলিতে করে ওই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে রাস্তাটি নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বেপরোয়াভাবে ট্রাক-ট্রলিগুলো চলাচল করায় ধুলায় ছেয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। ধুলার কারণে রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ওই ছয় গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ঘোনপাড়া গ্রামের হবিবার রহমান অভিযোগ করেন, ‘ওই রাস্তা দিয়ে দিনরাত ৩০-৩৫টি ট্রাক-ট্রলি খোলা অবস্থায় বালু বহন করছে। এতে ওই আট গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাইসাইকেল-রিকশা তো দূরের কথা, হেঁটেও ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ধুলোয় পুরো শরীর সাদা হয়ে যায়।’
সরেজমিনে দেখা যায়, বালু বহন করায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ও দেবে গেছে। রাস্তার পাশে খনন করা হচ্ছে পুকুর। মাটি ভর্তি ট্রাক ও ট্রলিগুলো ওই রাস্তা দিয়ে চলছে। ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করায় ধুলা উড়ছে। ধুলা থেকে রক্ষা পেতে পথচারীরা চোখ, মুখ ও নাক ঢেকে চলাচল করছে।
কুর্শা কাজীপাড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আনিছুল হক অভিযোগ করেন, আবাসিক এলাকায় রাস্তার পাশে পুকুর খননের নিয়ম না থাকলেও রহিমাপুর গ্রামের যাদু মিয়া পুকুর খনন করছেন। বাধা দেওয়ার পরেও তিনি শুনছেন না। এতে ওই রাস্তাসহ তাঁর দুই একরের লিচুবাগান ও গ্রামের আরও অনেকের জমি হুমকির মুখে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তা ও লিচুবাগান ওই পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রহিমাপুর গ্রামের বাসিন্দা মনমোহন রায় বলেন, ‘পুকুরটি আমার বসতঘরের ১০০ গজ সামনে খনন করা হচ্ছে। ট্রাক ও ট্রলির শব্দে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর থেকে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত লোকজন আমাকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন।’
পূর্ব রহিমাপুর গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন, রাস্তার ধারে যাদের বাড়ি, ধুলার কারণে তারা ঘরের জানালা খুলতে পারে না। জানালা খুললে ঘরের কাপড়চোপড় ও আসবাব ধুলায় নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বলেন, বুড়িরহাট-ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। দিনরাত মাটি-বালু বোঝাই ট্রাক-ট্রলি চলাচল করায় রাস্তা বেহাল হয়ে গেছে। পাঁচ দিন আগে ওই ছয় গ্রামের অর্ধশতাধিক বাসিন্দা তাঁর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি ইউএনও ও পুলিশকে জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাস্তাটি রক্ষা এবং নিজেদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ওই ছয় গ্রামের ৬৩ জন বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ২৮ মার্চ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে ইউএনও আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বৈদ্যনাথপুর, রঘুনাথপুর, পূর্ব রহিমাপুর, খানপাড়, বাঙালিপুর, ঘোনপাড়াসহ ছয়টি গ্রাম। গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে চলে গেছে বুড়িরহাট-ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন ছাড়াও ছয়টি গ্রামের মানুষ বুড়িরহাট বাজার ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু ১৫ দিন ধরে রহিমাপুর গ্রামে যাদু মিয়া তাঁর বাড়ির পাশে তিন একর জমিতে ওই রাস্তার গা ঘেঁষে পুকুর খনন করে বালু তুলে ট্রাক ও ট্রলিতে করে ওই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে রাস্তাটি নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া বেপরোয়াভাবে ট্রাক-ট্রলিগুলো চলাচল করায় ধুলায় ছেয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। ধুলার কারণে রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ওই ছয় গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ঘোনপাড়া গ্রামের হবিবার রহমান অভিযোগ করেন, ‘ওই রাস্তা দিয়ে দিনরাত ৩০-৩৫টি ট্রাক-ট্রলি খোলা অবস্থায় বালু বহন করছে। এতে ওই আট গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাইসাইকেল-রিকশা তো দূরের কথা, হেঁটেও ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ধুলোয় পুরো শরীর সাদা হয়ে যায়।’
সরেজমিনে দেখা যায়, বালু বহন করায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ও দেবে গেছে। রাস্তার পাশে খনন করা হচ্ছে পুকুর। মাটি ভর্তি ট্রাক ও ট্রলিগুলো ওই রাস্তা দিয়ে চলছে। ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করায় ধুলা উড়ছে। ধুলা থেকে রক্ষা পেতে পথচারীরা চোখ, মুখ ও নাক ঢেকে চলাচল করছে।
কুর্শা কাজীপাড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আনিছুল হক অভিযোগ করেন, আবাসিক এলাকায় রাস্তার পাশে পুকুর খননের নিয়ম না থাকলেও রহিমাপুর গ্রামের যাদু মিয়া পুকুর খনন করছেন। বাধা দেওয়ার পরেও তিনি শুনছেন না। এতে ওই রাস্তাসহ তাঁর দুই একরের লিচুবাগান ও গ্রামের আরও অনেকের জমি হুমকির মুখে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তা ও লিচুবাগান ওই পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রহিমাপুর গ্রামের বাসিন্দা মনমোহন রায় বলেন, ‘পুকুরটি আমার বসতঘরের ১০০ গজ সামনে খনন করা হচ্ছে। ট্রাক ও ট্রলির শব্দে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর থেকে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত লোকজন আমাকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন।’
পূর্ব রহিমাপুর গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন, রাস্তার ধারে যাদের বাড়ি, ধুলার কারণে তারা ঘরের জানালা খুলতে পারে না। জানালা খুললে ঘরের কাপড়চোপড় ও আসবাব ধুলায় নষ্ট হয়ে যায়।
স্থানীয় সয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বলেন, বুড়িরহাট-ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। দিনরাত মাটি-বালু বোঝাই ট্রাক-ট্রলি চলাচল করায় রাস্তা বেহাল হয়ে গেছে। পাঁচ দিন আগে ওই ছয় গ্রামের অর্ধশতাধিক বাসিন্দা তাঁর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি ইউএনও ও পুলিশকে জানিয়েছেন।
No comments