ব্রুনেইয়ে কঠোর ইসলামি শরিয়াহ আইন কার্যকর
বিশ্বের
বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র
ব্রুনেইতে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক একাধিক কঠোর আইন কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল
বুধবার ওই সব আইন কার্যকর হয়। আইনগুলোর একটিতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও
সমকামিতার জন্য পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে।
বোর্নিও দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ব্রুনেইয়ের এক পাশে মালয়েশিয়া ও অপর প্রান্তে দক্ষিণ চীন সাগর। প্রাকৃতিক সম্পদশালী এই দেশটির বেশির ভাগ মানুষই মুসলমান। দেশটির সব ক্ষমতার অধিকারী সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ। কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রণয়নের কথাবার্তা হচ্ছিল। তখন থেকেই বিশ্বের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, তারকা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রকম আইনের বিরোধিতা করে তা প্রণয়ন না করতে ব্রুনেই কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল। অবশেষে গতকাল ওই সব আইন কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্রুনেইয়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
নতুন আইনের দণ্ডবিধিতে চুরির অপরাধে অঙ্গচ্ছেদের (হাত-পা কেটে নেওয়া) বিধান রয়েছে। ধর্ষণ ও ডাকাতির সাজা মৃত্যুদণ্ড। আইনগুলোর আরেকটিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এটা মুসলমান বা অমুসলমান উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে এই রকম শরিয়াহ আইন বলবৎ থাকলেও পূর্ব অথবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্রুনেইতেই প্রথম।
ব্রুনেইতে শরিয়াহ আইন কার্যকরের আগেই তা নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্কের ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ এই আইনকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘অমানবিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা জর্জ ক্লুনি, পপ তারকা এলটন জনসহ বিশ্বের প্রথম সারির তারকাও শরিয়াহ আইনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার সহকারী পরিচালক ফিল রবার্টসন এই আইনকে পুরোপুরি ‘বর্বরতা’ হিসেবে আখ্যা দেন। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এই আইন নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রও এ আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো বলেছেন, শরিয়াহ আইনের দণ্ডবিধির ২ ও ৩ নম্বর ধারা বাস্তবায়নে ব্রুনেইয়ের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইনের একেবারেই বিপরীত।
তবে পাঁচ দশক ধরে সিংহাসনে থাকা সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ এই শরিয়াহ আইনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গতকাল পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে রাজধানীর বন্দর সেরি বেগওয়ান থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি দেশটিতে ইসলামিক অনুশাসন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
বোর্নিও দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ব্রুনেইয়ের এক পাশে মালয়েশিয়া ও অপর প্রান্তে দক্ষিণ চীন সাগর। প্রাকৃতিক সম্পদশালী এই দেশটির বেশির ভাগ মানুষই মুসলমান। দেশটির সব ক্ষমতার অধিকারী সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ। কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রণয়নের কথাবার্তা হচ্ছিল। তখন থেকেই বিশ্বের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, তারকা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রকম আইনের বিরোধিতা করে তা প্রণয়ন না করতে ব্রুনেই কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল। অবশেষে গতকাল ওই সব আইন কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্রুনেইয়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
নতুন আইনের দণ্ডবিধিতে চুরির অপরাধে অঙ্গচ্ছেদের (হাত-পা কেটে নেওয়া) বিধান রয়েছে। ধর্ষণ ও ডাকাতির সাজা মৃত্যুদণ্ড। আইনগুলোর আরেকটিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি বা অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখা হয়েছে। এটা মুসলমান বা অমুসলমান উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে এই রকম শরিয়াহ আইন বলবৎ থাকলেও পূর্ব অথবা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্রুনেইতেই প্রথম।
ব্রুনেইতে শরিয়াহ আইন কার্যকরের আগেই তা নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্কের ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ এই আইনকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘অমানবিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা জর্জ ক্লুনি, পপ তারকা এলটন জনসহ বিশ্বের প্রথম সারির তারকাও শরিয়াহ আইনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার সহকারী পরিচালক ফিল রবার্টসন এই আইনকে পুরোপুরি ‘বর্বরতা’ হিসেবে আখ্যা দেন। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, এই আইন নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রও এ আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো বলেছেন, শরিয়াহ আইনের দণ্ডবিধির ২ ও ৩ নম্বর ধারা বাস্তবায়নে ব্রুনেইয়ের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইনের একেবারেই বিপরীত।
তবে পাঁচ দশক ধরে সিংহাসনে থাকা সুলতান হাসান-আল বলকিয়াহ এই শরিয়াহ আইনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গতকাল পবিত্র শবে মিরাজ উপলক্ষে রাজধানীর বন্দর সেরি বেগওয়ান থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি দেশটিতে ইসলামিক অনুশাসন শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
No comments