মহাকাশ নিয়ে শীতল যুদ্ধ!
তবে
কি নতুন করে মহাকাশ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে! সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ
গবেষণা সংস্থা নাসার একটি ঘোষণার পর এ আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে। নাসা বলেছে,
আগামী ৫ বছরের মধ্যে আবার তারা মানুষ পাঠাবে চাঁদে। ২০২৪ সাল নাগাদ
পৃথিবীর মানুষ আবার চাঁদের বুকে পা রাখবে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত
সময়কালের পর চাঁদে আর কোনো মানুষকে পা রাখার কথা শোনা যায় নি। এত দীর্ঘ
বিরতির পর কেন এখন এই উদ্যোগ! প্রশ্নটা সেখানেই। নাসার অ্যাপোলো-১১ মিশনের
নভোচারী বাজ অলড্রিন (যিনি এডওয়ার্ড অলড্রিন নামেও পরিচিত) প্রথম চাঁদের
বুকে পা রাখেন ১৯৬৯ সালের ২০ শে জুলাই। তারপর থেকে এই ক্ষেত্রে, বিশেষ করে
মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একক প্রাধান্য বিস্তার করে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু সম্প্রতি সেখানে খোঁচা মারা শুরু করেছে চীন।
তারাও একই রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। আছে ইউরোপীয় কিছু মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক সংস্থা। যুক্ত হয়েছে ভারতের নাম। ফলে কার আগে কে এখন চাঁদের গায়ে পৌঁছে, আর ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়Ñ তা নিয়ে যেন এক অঘোষিত লড়াই চলছে দেশগুলোর মধ্যে।
শুধু জাতীয় পর্যায়ের মহাকাশ বিষয়ক এজেন্সিই নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেসরকারি খাতের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেস এক্স। এ সংস্থার কাছে আছে বিপ্লব সৃষ্টিকারী রকেট লঞ্চার। এর ফলে তা নতুন করে ব্যবহার করার সুযোগ আছে। খরচও কমে আসে। প্রতিযোগিতায় আছেন বিলিয়নিয়ার অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও ভার্জিন গ্রুপের রিচার্ড ব্রানসন। তাদের রয়েছে মহাকাশ বিষয়ক ফ্লাইট কোম্পানি। জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিন। আর রিচার্ড ব্রানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক।
কয়েকটি দশক গেছে এ খাতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ ছিল না। কিন্তু চূড়ান্ত দফায় এমন প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে মহাকাশ গবেষণায় একক আধিপত্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার সুনাম অনেকাংশে হারানোর পথে। এ বছরের প্রথম দিকে চাঁদের গায়ে রোভার অবতরণ করিয়েছে চীন। এর মধ্য দিয়ে তারা এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ২০৩০ এর দশকে চাঁদে মানুষ পাঠানোর টার্গেট নির্ধারণ করেছে তারা। সম্প্রতি স্যাটেলাইট বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে যেসব দেশ সেই অভিজাত ক্লাবে যুক্ত হয়েছে ভারত।
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে যে তিনটি দেশ সামনের সারিতে, তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাষ্ট্র স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেটের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর কাজ করতে যাচ্ছে। গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান কর্মসূচিতে এটা হলো নাসার ভারি যন্ত্র। ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদে মনুষ্যবিহীন একটি মিশন পাঠাবে নাসা। তার মাধ্যমে যাচাই করা হবে তাদের সক্ষমতা যে, তারা কোনো মনুষ্যবাহী মিশন পাঠাতে সক্ষম কিনা। ২০২২ সালের মধ্যে মনুষ্যবাহী ফ্লাইট যাবে চাঁদের আশপাশে। এ বছরেই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি স্পেসশিপ স্থাপন শুরু কবে। ২০২৩ সালে একটি রোভার পাঠানো হবে চাঁদের মাটিতে, যাতে মানুষ অনুসন্ধান করতে পারে। ২০২৪ সালে জ্যোতির্বিদরা চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন। আর ২০৩০ এর দশকে মানুষ পা রাখবে মঙ্গলগ্রহে।
তারাও একই রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। আছে ইউরোপীয় কিছু মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক সংস্থা। যুক্ত হয়েছে ভারতের নাম। ফলে কার আগে কে এখন চাঁদের গায়ে পৌঁছে, আর ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়Ñ তা নিয়ে যেন এক অঘোষিত লড়াই চলছে দেশগুলোর মধ্যে।
শুধু জাতীয় পর্যায়ের মহাকাশ বিষয়ক এজেন্সিই নয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেসরকারি খাতের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে ইলোন মাস্কের স্পেস এক্স। এ সংস্থার কাছে আছে বিপ্লব সৃষ্টিকারী রকেট লঞ্চার। এর ফলে তা নতুন করে ব্যবহার করার সুযোগ আছে। খরচও কমে আসে। প্রতিযোগিতায় আছেন বিলিয়নিয়ার অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও ভার্জিন গ্রুপের রিচার্ড ব্রানসন। তাদের রয়েছে মহাকাশ বিষয়ক ফ্লাইট কোম্পানি। জেফ বেজোসের কোম্পানি ব্লু অরিজিন। আর রিচার্ড ব্রানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক।
কয়েকটি দশক গেছে এ খাতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ ছিল না। কিন্তু চূড়ান্ত দফায় এমন প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে মহাকাশ গবেষণায় একক আধিপত্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার সুনাম অনেকাংশে হারানোর পথে। এ বছরের প্রথম দিকে চাঁদের গায়ে রোভার অবতরণ করিয়েছে চীন। এর মধ্য দিয়ে তারা এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ২০৩০ এর দশকে চাঁদে মানুষ পাঠানোর টার্গেট নির্ধারণ করেছে তারা। সম্প্রতি স্যাটেলাইট বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা করেছে যেসব দেশ সেই অভিজাত ক্লাবে যুক্ত হয়েছে ভারত।
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে যে তিনটি দেশ সামনের সারিতে, তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাষ্ট্র স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেটের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর কাজ করতে যাচ্ছে। গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান কর্মসূচিতে এটা হলো নাসার ভারি যন্ত্র। ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদে মনুষ্যবিহীন একটি মিশন পাঠাবে নাসা। তার মাধ্যমে যাচাই করা হবে তাদের সক্ষমতা যে, তারা কোনো মনুষ্যবাহী মিশন পাঠাতে সক্ষম কিনা। ২০২২ সালের মধ্যে মনুষ্যবাহী ফ্লাইট যাবে চাঁদের আশপাশে। এ বছরেই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি স্পেসশিপ স্থাপন শুরু কবে। ২০২৩ সালে একটি রোভার পাঠানো হবে চাঁদের মাটিতে, যাতে মানুষ অনুসন্ধান করতে পারে। ২০২৪ সালে জ্যোতির্বিদরা চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন। আর ২০৩০ এর দশকে মানুষ পা রাখবে মঙ্গলগ্রহে।
No comments