শিগগিরই ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবি
দীর্ঘ
অপেক্ষার পর ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
ব্ল্যাকহোলের ছবি ধারণ করার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ইভেন্ট হরাইজন
টেলিস্কোপের (ইএইচটি) প্রথম ফলাফল এসে গেছে। আগামী বুধবার দুনিয়াজুড়ে
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একযোগে ‘ছয়টি প্রধান সংবাদ সম্মেলনের’ আয়োজন করে
টেলিস্কোপটির ধারণকৃত ছবি প্রকাশ করবেন।
ডার্ক এনার্জি বা গুপ্তশক্তি এবং ডার্ক ম্যাটার সবখানেই আমাদের ঘিরে রেখেছে। অথচ আমরা এর কোনো অস্তিত্ব টের পাই না। কারণ, ডার্ক ম্যাটার থেকে আলোর বিচ্ছুরণ, প্রতিফলন বা আলো তৈরি হয় না। অপর দিকে কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান, যেখান থেকে কোনো কিছু বের হয়ে আসতে পারে না। এখানে একবার যা পড়ে, তা চিরতরে হারিয়ে যায়। ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটারসহ মহাবিশ্বের অন্য কোনো অদৃশ্য শক্তি বা বস্তু ব্ল্যাকহোলের মতো এতটা কৌতূহলের সৃষ্টি করতে পারেনি। ব্ল্যাকহোলের গর্ভে বিশালাকার সব গ্রহ, তারকা, নক্ষত্র চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধূলিকণার মতো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে হারিয়ে যায়।
জ্যোতির্বিদেরা সেই অষ্টাদশ শতকের শুরু থেকে সর্বগ্রাসী ‘গুপ্ত তারকাদের’ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। তখন থেকে ধীরে ধীরে অসংখ্য পরোক্ষ প্রমাণের মাধ্যমে পুঞ্জীভূত হয়েছে তাদের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ব্ল্যাকহোল বিশেষজ্ঞ পল ম্যাকনামারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আজ থেকে অন্তত ৫০ বছর আগে আমাদের ছায়াপথে ভীষণ উজ্জ্বল কিছু একটা চোখে পড়ে বিজ্ঞানীদের। এর যথেষ্ট শক্তিশালী মহাকর্ষীয় টান তারকাদের নিজ কক্ষপথ কেন্দ্র করে খুব দ্রুত বেগে ঘুরতে বাধ্য করে। সে বেগ এতই দ্রুতগামী হয় যে মাত্র ২০ বছরেই কক্ষপথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়।’
বলে রাখা প্রয়োজন, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার কেন্দ্রে চক্রাকারে এই একই কক্ষপথ পার হতে আমাদের সৌরমণ্ডলের সময় লাগে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন বছর! পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, এই উজ্জ্বল বস্তুগুলোই ‘ব্ল্যাকহোল’। যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিদ জন আর্কিবাল্ড হুইলার ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই নামটি উদ্ভাবন করেন। ঘূর্ণমান উত্তপ্ত সফেদ গ্যাস এবং প্লাজমা ব্যান্ড ঘিরে রাখে ব্ল্যাকহোল। দীপ্তিমান অঞ্চলটির ভেতরের প্রান্তে কোনো জিনিস প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে গায়েব হয়ে যায়।
ম্যাকনামারা ব্যাখ্যা দেন, ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’ বা যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না, সেখানে কোনো শারীরিক বাধা কাজ করে না। এর মোকাবিলা করার কোনো উপায় নেই। একবার যদি আপনি কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে ঢুকে পড়েন, তাহলে বের হওয়ার জন্য অসীম শক্তি অর্জন করতে হবে, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
চাঁদের বুকে একটি গলফ বল
এত দিনের সব জল্পনা-কল্পনার সঙ্গে ইএইচটির ধারণ করা ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবিটির কোনো মিল নেই।
গ্রিনোবলের ইনস্টিটিউট ফর মিলিমেট্রিক রেডিও অ্যাস্ট্রোনমির জ্যোতির্বিদ মাইকেল ব্রিমার এএফপিকে বলেন, ‘দৈত্যকার টেলিস্কোপ বানানোর ঝামেলায় আমরা জড়াইনি। নিজের ওজনে নিজেই বিধ্বস্ত হওয়ার উপক্রম হয় ওগুলো। আমরা বরং আলাদা আলাদা কয়েকটি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সমন্বয়ে বিশাল একটি আয়না তৈরি করেছি।’ ২০১৭ সালের এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে আটটি এ রকম রেডিও টেলিস্কোপ বিক্ষিপ্তভাবে স্থাপন করা হয়। হাওয়াই, অ্যারিজোনা, স্পেন, মেক্সিকো, চিলি ও দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত এই টেলিস্কোপগুলো বিভিন্ন দিক থেকে দুটি ব্ল্যাকহোলের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে প্রকাশিতব্য দুটি ব্ল্যাকহোলের যেকোনো একটি ছবিতে জুম করা হতে পারে। ফলাফলপ্রত্যাশীরা চাইছেন ধনু রাশির এ* ছবিটি প্রকাশিত হোক। আমাদের নিজস্ব উপবৃত্তকার সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রে অবস্থিত এই ব্ল্যাকহোলটি প্রথম জ্যোতির্বিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ধনু রাশির এ*–এর ভর আমাদের সূর্যের ভরের ৪ কোটি গুণ বেশি। তার মানে এই ব্ল্যাকহোলটি প্রায় ৪৪ কোটি কিলোমিটারজুড়ে!
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, পৃথিবী থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টেলিস্কোপটি যেন চাঁদের বুকে একটি গলফ বলের ছবি তোলার চেষ্টা করছে!
আইনস্টাইনের পরীক্ষা
ব্ল্যাকহোলের অপর প্রতিনিধিকে দানব বললেও ভুল হবে না। ধনু রাশির এ*–এর চেয়ে দেড় হাজার গুণ বেশি ভরের কৃষ্ণগহ্বরটি এম৮৭ নামক একটি উপবৃত্তকার সৌরমণ্ডলে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব যথেষ্ট বেশি হলেও দূরত্ব আর আকারের ভারসাম্য একে গবেষণার কাজে ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ম্যাকনামারা বলেন, ‘নিজেদের সৌরমণ্ডলে আয়েশ করে বসে আছি আমরা। এর কেন্দ্রে পৌঁছাতে হলে একগাদা তারকা আর ধূলিকণা ভেদ করতে হবে।’
টেলিস্কোপটির সংগৃহীত তথ্যের সঙ্গে এখনো তথ্য সংগ্রহ ও মিলিয়ে দেখার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। দলটি তাদের ওয়েবসাইটে জানান, ‘ব্ল্যাকহোলের পূর্ণাঙ্গ ছবি তৈরির জন্য ইমেজিং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে যে তথ্যগুলো মেলানো যাচ্ছিল না, তার শূন্যস্থান পূরণের কাজ চলছে।’
ম্যাকনামারাসহ এই প্রকল্পে অংশ না নেওয়া জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে, কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাম্প্রতিক তথ্য আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে কি না, তা জানতে চান তাঁরা। এ রকম বৃহত্তর পরিসরে কখনোই তত্ত্বটি পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। ২০১৫ সালে এক সাথে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়া দুটি ব্ল্যাকহোলের হদিস পেতে তরঙ্গ শনাক্তকরণ পন্থা অবলম্বন করা হয়। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা সে বছর নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
ম্যাকনামারা বলেন, ‘আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুযায়ী ঠিক এমনই হওয়ার কথা।’ তবে সেগুলো ছিল একেবারেই ছোট ব্ল্যাকহোল, সূর্যের চেয়ে যার ভর মাত্র ৬০ গুণ বেশি ছিল। ইএইচটি পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকহোলগুলোর সঙ্গে এর কোনো তুলনাই চলে না।
আশাবাদী ম্যাকনামারা জানান, ‘হতে পারে কোটি কোটি গুণ বড় ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো ফলাফল আসবে। আমরা আসলে এখনো কিছু জানি না।’
ডার্ক এনার্জি বা গুপ্তশক্তি এবং ডার্ক ম্যাটার সবখানেই আমাদের ঘিরে রেখেছে। অথচ আমরা এর কোনো অস্তিত্ব টের পাই না। কারণ, ডার্ক ম্যাটার থেকে আলোর বিচ্ছুরণ, প্রতিফলন বা আলো তৈরি হয় না। অপর দিকে কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান, যেখান থেকে কোনো কিছু বের হয়ে আসতে পারে না। এখানে একবার যা পড়ে, তা চিরতরে হারিয়ে যায়। ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটারসহ মহাবিশ্বের অন্য কোনো অদৃশ্য শক্তি বা বস্তু ব্ল্যাকহোলের মতো এতটা কৌতূহলের সৃষ্টি করতে পারেনি। ব্ল্যাকহোলের গর্ভে বিশালাকার সব গ্রহ, তারকা, নক্ষত্র চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধূলিকণার মতো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে হারিয়ে যায়।
জ্যোতির্বিদেরা সেই অষ্টাদশ শতকের শুরু থেকে সর্বগ্রাসী ‘গুপ্ত তারকাদের’ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। তখন থেকে ধীরে ধীরে অসংখ্য পরোক্ষ প্রমাণের মাধ্যমে পুঞ্জীভূত হয়েছে তাদের অস্তিত্বের প্রতি বিশ্বাস। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ব্ল্যাকহোল বিশেষজ্ঞ পল ম্যাকনামারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আজ থেকে অন্তত ৫০ বছর আগে আমাদের ছায়াপথে ভীষণ উজ্জ্বল কিছু একটা চোখে পড়ে বিজ্ঞানীদের। এর যথেষ্ট শক্তিশালী মহাকর্ষীয় টান তারকাদের নিজ কক্ষপথ কেন্দ্র করে খুব দ্রুত বেগে ঘুরতে বাধ্য করে। সে বেগ এতই দ্রুতগামী হয় যে মাত্র ২০ বছরেই কক্ষপথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়।’
বলে রাখা প্রয়োজন, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার কেন্দ্রে চক্রাকারে এই একই কক্ষপথ পার হতে আমাদের সৌরমণ্ডলের সময় লাগে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন বছর! পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, এই উজ্জ্বল বস্তুগুলোই ‘ব্ল্যাকহোল’। যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিদ জন আর্কিবাল্ড হুইলার ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে এই নামটি উদ্ভাবন করেন। ঘূর্ণমান উত্তপ্ত সফেদ গ্যাস এবং প্লাজমা ব্যান্ড ঘিরে রাখে ব্ল্যাকহোল। দীপ্তিমান অঞ্চলটির ভেতরের প্রান্তে কোনো জিনিস প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে গায়েব হয়ে যায়।
ম্যাকনামারা ব্যাখ্যা দেন, ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’ বা যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না, সেখানে কোনো শারীরিক বাধা কাজ করে না। এর মোকাবিলা করার কোনো উপায় নেই। একবার যদি আপনি কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে ঢুকে পড়েন, তাহলে বের হওয়ার জন্য অসীম শক্তি অর্জন করতে হবে, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
চাঁদের বুকে একটি গলফ বল
এত দিনের সব জল্পনা-কল্পনার সঙ্গে ইএইচটির ধারণ করা ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবিটির কোনো মিল নেই।
গ্রিনোবলের ইনস্টিটিউট ফর মিলিমেট্রিক রেডিও অ্যাস্ট্রোনমির জ্যোতির্বিদ মাইকেল ব্রিমার এএফপিকে বলেন, ‘দৈত্যকার টেলিস্কোপ বানানোর ঝামেলায় আমরা জড়াইনি। নিজের ওজনে নিজেই বিধ্বস্ত হওয়ার উপক্রম হয় ওগুলো। আমরা বরং আলাদা আলাদা কয়েকটি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের সমন্বয়ে বিশাল একটি আয়না তৈরি করেছি।’ ২০১৭ সালের এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে আটটি এ রকম রেডিও টেলিস্কোপ বিক্ষিপ্তভাবে স্থাপন করা হয়। হাওয়াই, অ্যারিজোনা, স্পেন, মেক্সিকো, চিলি ও দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত এই টেলিস্কোপগুলো বিভিন্ন দিক থেকে দুটি ব্ল্যাকহোলের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে প্রকাশিতব্য দুটি ব্ল্যাকহোলের যেকোনো একটি ছবিতে জুম করা হতে পারে। ফলাফলপ্রত্যাশীরা চাইছেন ধনু রাশির এ* ছবিটি প্রকাশিত হোক। আমাদের নিজস্ব উপবৃত্তকার সৌরমণ্ডলের কেন্দ্রে অবস্থিত এই ব্ল্যাকহোলটি প্রথম জ্যোতির্বিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ধনু রাশির এ*–এর ভর আমাদের সূর্যের ভরের ৪ কোটি গুণ বেশি। তার মানে এই ব্ল্যাকহোলটি প্রায় ৪৪ কোটি কিলোমিটারজুড়ে!
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, পৃথিবী থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টেলিস্কোপটি যেন চাঁদের বুকে একটি গলফ বলের ছবি তোলার চেষ্টা করছে!
আইনস্টাইনের পরীক্ষা
ব্ল্যাকহোলের অপর প্রতিনিধিকে দানব বললেও ভুল হবে না। ধনু রাশির এ*–এর চেয়ে দেড় হাজার গুণ বেশি ভরের কৃষ্ণগহ্বরটি এম৮৭ নামক একটি উপবৃত্তকার সৌরমণ্ডলে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব যথেষ্ট বেশি হলেও দূরত্ব আর আকারের ভারসাম্য একে গবেষণার কাজে ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ম্যাকনামারা বলেন, ‘নিজেদের সৌরমণ্ডলে আয়েশ করে বসে আছি আমরা। এর কেন্দ্রে পৌঁছাতে হলে একগাদা তারকা আর ধূলিকণা ভেদ করতে হবে।’
টেলিস্কোপটির সংগৃহীত তথ্যের সঙ্গে এখনো তথ্য সংগ্রহ ও মিলিয়ে দেখার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। দলটি তাদের ওয়েবসাইটে জানান, ‘ব্ল্যাকহোলের পূর্ণাঙ্গ ছবি তৈরির জন্য ইমেজিং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে যে তথ্যগুলো মেলানো যাচ্ছিল না, তার শূন্যস্থান পূরণের কাজ চলছে।’
ম্যাকনামারাসহ এই প্রকল্পে অংশ না নেওয়া জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে, কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাম্প্রতিক তথ্য আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে কি না, তা জানতে চান তাঁরা। এ রকম বৃহত্তর পরিসরে কখনোই তত্ত্বটি পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। ২০১৫ সালে এক সাথে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়া দুটি ব্ল্যাকহোলের হদিস পেতে তরঙ্গ শনাক্তকরণ পন্থা অবলম্বন করা হয়। এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা সে বছর নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
ম্যাকনামারা বলেন, ‘আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুযায়ী ঠিক এমনই হওয়ার কথা।’ তবে সেগুলো ছিল একেবারেই ছোট ব্ল্যাকহোল, সূর্যের চেয়ে যার ভর মাত্র ৬০ গুণ বেশি ছিল। ইএইচটি পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকহোলগুলোর সঙ্গে এর কোনো তুলনাই চলে না।
আশাবাদী ম্যাকনামারা জানান, ‘হতে পারে কোটি কোটি গুণ বড় ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো ফলাফল আসবে। আমরা আসলে এখনো কিছু জানি না।’
No comments