ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অস্থিরতা, সংঘাত
অস্থিরতা
চলছে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভিসির বিরুদ্ধে অনাস্থা
জানিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অচল বরিশাল
বিশ্ববিদ্যালয়। নেতাদের নামে মামলা দেয়া ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে
ছাত্রলীগের আন্দোলন ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে গতকাল। এতে বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করার
অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ
করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিরতা তৈরি হয়।
নির্বাচন ফল বাতিল ও পুনরায় নির্বাচন দাবি করে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে চবি রণক্ষেত্র
ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, রাবার বুলেট ও ২৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সকাল ১১টা ৩০ থেকে শুরু হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে দুপুর ২টায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ছাত্রলীগ বলেছে, সংঘর্ষে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়।
গতকাল সকাল ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় শাখা ছাত্রলীগের আটককৃত ৬ নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান করে এবং ষোলশহর স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে অপহরণ করে পরে ছেড়ে দেয়। এর আগে তারা ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়। সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ জলকামান নিয়ে আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানত্যাগ না করলে পৌনে ১২টার দিকে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এসময় ছাত্রলীগের বিক্ষিপ্ত নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। একইসাথে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এর আগে গত ৩১শে মার্চ থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ৩রা এপ্রিল উভয় গ্রুপের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৪ তারিখ (বৃহস্পতিবার) পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে হাটহাজারী থানায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দায়ের হয়।
ঘটনা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানান, তাদের নামে যে অস্ত্র মামলা হয়েছে বলা হচ্ছে সেটা আসলে দেশীয় অস্ত্রের মামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নয়। আগ্নেয়াস্ত্র মামলা হয়েছে বলে তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই মামলায় তাদের ছাত্রত্ব হুমকির মুখে পড়বে না। পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেছে সেটা তাদের জন্যই করেছে। তাদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক। তাহলে তারা আমাদের কাছে আসুক, আলোচনা করুক। তারা সেটা করেনি। এ ধরণের পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কিভাবে নির্বিকার থাকবে। তারা অহিংস আন্দোলন করবে বললেও বিভিন্ন উস্কানিমূলক কর্মকান্ড করেছে।
এ বিষয়ে উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, আমরা তাদের সমস্ত দাবি মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলাম। নেতাদের সাথে কথাও হয়েছিল। কিন্তু তারা আন্দোলন অহিংস রাখেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিস্কৃত উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্রের উস্কানীতে এ ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশের সাথে হাতাহাতি করে ঝামেলা বাঁধায়।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এনামুল হক আরাফাত বলেন, আমাদের নেতা কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল। পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
বশেমুরবিপ্রবিতে যৌন হয়রানি, উত্তাল ক্যাম্পাস
নির্বাচন ফল বাতিল ও পুনরায় নির্বাচন দাবি করে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে চবি রণক্ষেত্র
ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, রাবার বুলেট ও ২৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সকাল ১১টা ৩০ থেকে শুরু হয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে দুপুর ২টায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ছাত্রলীগ বলেছে, সংঘর্ষে ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়।
গতকাল সকাল ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় শাখা ছাত্রলীগের আটককৃত ৬ নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান করে এবং ষোলশহর স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে অপহরণ করে পরে ছেড়ে দেয়। এর আগে তারা ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়। সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ জলকামান নিয়ে আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানত্যাগ না করলে পৌনে ১২টার দিকে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এসময় ছাত্রলীগের বিক্ষিপ্ত নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। একইসাথে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এর আগে গত ৩১শে মার্চ থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ৩রা এপ্রিল উভয় গ্রুপের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৪ তারিখ (বৃহস্পতিবার) পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে হাটহাজারী থানায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দায়ের হয়।
ঘটনা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানান, তাদের নামে যে অস্ত্র মামলা হয়েছে বলা হচ্ছে সেটা আসলে দেশীয় অস্ত্রের মামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নয়। আগ্নেয়াস্ত্র মামলা হয়েছে বলে তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই মামলায় তাদের ছাত্রত্ব হুমকির মুখে পড়বে না। পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেছে সেটা তাদের জন্যই করেছে। তাদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক। তাহলে তারা আমাদের কাছে আসুক, আলোচনা করুক। তারা সেটা করেনি। এ ধরণের পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কিভাবে নির্বিকার থাকবে। তারা অহিংস আন্দোলন করবে বললেও বিভিন্ন উস্কানিমূলক কর্মকান্ড করেছে।
এ বিষয়ে উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, আমরা তাদের সমস্ত দাবি মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলাম। নেতাদের সাথে কথাও হয়েছিল। কিন্তু তারা আন্দোলন অহিংস রাখেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিস্কৃত উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্রের উস্কানীতে এ ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশের সাথে হাতাহাতি করে ঝামেলা বাঁধায়।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এনামুল হক আরাফাত বলেন, আমাদের নেতা কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল। পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
বশেমুরবিপ্রবিতে যৌন হয়রানি, উত্তাল ক্যাম্পাস
দুই
শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো, আক্কাস আলীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান
পদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি
দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মো. আক্কাসকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়।
এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন গত ডিসেম্বরে। তারা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু, তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করা হয় বলে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন। সমপ্রতি যৌন নির্যাতনের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলে আলোচনায় আসে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। যৌন নির্যাতনের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষি শিক্ষকের শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দেলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক আক্কাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্সের শিকার হতে হয়েছে। একই বিভাগের অন্য শিক্ষকের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধান হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলে আসছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে শিক্ষার্থী দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান করে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ববির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
সমঝোতা বৈঠকের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শহীদ আব্দুর রাব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত।
তিনি বলেন, তারা বিভাগীয় কমিশনারের আমন্ত্রণে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে রোববার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং ভিসিকে অবসরে পাঠিয়ে নতুন ভিসি দেয়া হবে। তারা সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে পারেনি। এজন্য সবার সিদ্ধান্ত হলো, ভিসির পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার বিষয়টি লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ ধারাবাহিকতায় রোববার ১৩ তম দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন গত ডিসেম্বরে। তারা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু, তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করা হয় বলে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন। সমপ্রতি যৌন নির্যাতনের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলে আলোচনায় আসে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। যৌন নির্যাতনের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষি শিক্ষকের শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দেলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক আক্কাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্সের শিকার হতে হয়েছে। একই বিভাগের অন্য শিক্ষকের সঙ্গে বিভাগীয় প্রধান হওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলে আসছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে শিক্ষার্থী দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান করে এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ববির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
সমঝোতা বৈঠকের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শহীদ আব্দুর রাব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত।
তিনি বলেন, তারা বিভাগীয় কমিশনারের আমন্ত্রণে বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে রোববার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং ভিসিকে অবসরে পাঠিয়ে নতুন ভিসি দেয়া হবে। তারা সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে পারেনি। এজন্য সবার সিদ্ধান্ত হলো, ভিসির পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার বিষয়টি লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এ ধারাবাহিকতায় রোববার ১৩ তম দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
No comments