আসামের ভোট যুদ্ধে এবার সুর ‘ইলু-ইলু’
নব্বই
দশকের গোরার দিকে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত হিন্দি গানের কলি ‘ইলু ইলু’ এখন
আসামের আকাশে-বাতাসে। সেই বিখ্যাত গানের লাইন, ‘ইলুকা মতলব আই লাভ ইউ।’
আসামে ভোট বাজারে এই বিখ্যাত গানের কলি বাজারে ছেড়ে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি
অমিত শাহ। তারপর থেকেই বেশ জমে উঠেছে, ইলু-ইলু কটাক্ষ।
যাঁকে নিয়ে এই কটাক্ষ তিনি আঁতর ব্যবসায়ী মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল। তাঁর দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)। বিজেপি বলছে, কংগ্রেসের সঙ্গে নাকি তাঁর ‘ইলু ইলু’ চলছে। আবার কংগ্রেস বলছে, বিজেপির সঙ্গেই চলছে আজমলের আসলি ইলু-ইলু। তবে যুযুধান দুই পক্ষই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোপনে ইলু-ইলু চালানোর প্রকাশ্য সমালোচনায় মত্ত।
এর পেছনে রয়েছে আসামে ভোটের অঙ্ক বা পার্টি গণিত। ২০১১-এর আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের ৩ কোটি ১১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭২ জনের মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৫ জনই মুসলিম। শতাংশের হিসাবে ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ। রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৯ টিতেই মুসলিমরা সংখ্যাগুরু। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে মুসলিম ভোটার। এই মুসলিম ভোট ব্যাংকই এখন লক্ষ্য কংগ্রেসের। কিন্তু ‘মুসলিমদের দল’ এআইইউডিএফের সঙ্গে জোট করলে থাকছে হিন্দু ভোট হারানোর ভয়। তাই কোনো জোটে যায়নি কংগ্রেস।
রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ প্রকাশ্যে বলছেন, ‘আজমল বিজেপির দালাল। কংগ্রেসের ভোট কাটতেই তাঁকে ব্যবহার করছে বিজেপি।’। আবার বিজেপির নির্বাচন পরিচালক হীমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগ, ‘কংগ্রেস গোপনে আঁতাত করেছে আজমলে সঙ্গে। দিনে কুস্তি, রাতে দোস্তি।’ যুযুধান দুই পক্ষের মুখেই এখন ইলু-ইলু। সামনেই আসামের প্রধান উৎসব রাঙালি বিহু। তার আগে ফের হিন্দি গানের সুর ফিরে এসেছে মুখে মুখে। কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েরই হুংকার, আজমলকে আসামের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ণ করে দেবে।
বিরোধীরা তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করলেও আজমল বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। আতরের গন্ধে সব সমালোচনা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। প্রথম আলোকে তিনি বললেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য, সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে পরাস্ত করা। না হলে আসামের উন্নতি হবে না। কিন্তু কংগ্রেস বেইমানি করছে।’ কংগ্রেস তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেও আজমল কিন্তু রাজ্যের ১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছেন। তাঁর দলের সাংসদ সংখ্যাও ৩। তিনি নিজে নিজের পুরোনো কেন্দ্র ধুবড়ি থেকে লড়াই করছেন। ভাই, গতবারের সাংসদকে বরপেটায় এবং রাধেশ্যাম বিশ্বাসকে করিমগঞ্জে প্রার্থী করেছেন।
তাঁর সাফ কথা, ‘কংগ্রেস বেইমানি করেছে। আমার বিরুদ্ধেও প্রার্থী দিয়েছে। আমরা কিন্তু বিজেপিকে হারাতে মাত্র তিনটি কেন্দ্রেই নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছি।’ অন্য কেন্দ্রগুলোতে আপনাদের কী ভূমিকা হবে? বিজেপিকে হারাতে যে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি সক্ষম বলে মনে হবে তাঁকেই তাঁরা সমর্থন করবেন। সেটা কংগ্রেস হলেও আপত্তি নেই। জানিয়ে দিলেন আজমল। অসমিয়া মিডিয়ার খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে আজমলের। কিন্তু মমতা ধুবড়িতে তাঁর বিরুদ্ধে সভা করায় সেই সমঝোতার রাস্তাও বন্ধ বলে আজমলই জানালেন।
আজমল মনে করেন, বিজেপি এলেই এনআরসি (নাগরিক পঞ্জি) আর সিএবি (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) নিয়ে সমস্যা বাড়বে মুসলিমদের। তাই বিজেপিকে হারানো জরুরি। তাই ইলু-ইলুতে কান না দিয়ে নিজের প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া আঁতর ব্যবসায়ী। দলের একমাত্র তারকা প্রচারক তিনি। তাই হেলিকপ্টার ভাড়া করে তিন কেন্দ্রেই উড়ে বেড়াচ্ছেন আজমল। বোঝাবার চেষ্টা করছেন, বিজেপিকে হারানো কতোটা জরুরি। আর কংগ্রেস আর বিজেপি ব্যস্ত ‘গোপনে ইলু-ইলু’ নিয়ে একে অন্যকে কটাক্ষে।
যাঁকে নিয়ে এই কটাক্ষ তিনি আঁতর ব্যবসায়ী মৌলানা বদরুদ্দিন আজমল। তাঁর দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)। বিজেপি বলছে, কংগ্রেসের সঙ্গে নাকি তাঁর ‘ইলু ইলু’ চলছে। আবার কংগ্রেস বলছে, বিজেপির সঙ্গেই চলছে আজমলের আসলি ইলু-ইলু। তবে যুযুধান দুই পক্ষই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোপনে ইলু-ইলু চালানোর প্রকাশ্য সমালোচনায় মত্ত।
এর পেছনে রয়েছে আসামে ভোটের অঙ্ক বা পার্টি গণিত। ২০১১-এর আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের ৩ কোটি ১১ লাখ ৬৯ হাজার ২৭২ জনের মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৫ জনই মুসলিম। শতাংশের হিসাবে ৩৪ দশমিক ২২ শতাংশ। রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৯ টিতেই মুসলিমরা সংখ্যাগুরু। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে মুসলিম ভোটার। এই মুসলিম ভোট ব্যাংকই এখন লক্ষ্য কংগ্রেসের। কিন্তু ‘মুসলিমদের দল’ এআইইউডিএফের সঙ্গে জোট করলে থাকছে হিন্দু ভোট হারানোর ভয়। তাই কোনো জোটে যায়নি কংগ্রেস।
রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ প্রকাশ্যে বলছেন, ‘আজমল বিজেপির দালাল। কংগ্রেসের ভোট কাটতেই তাঁকে ব্যবহার করছে বিজেপি।’। আবার বিজেপির নির্বাচন পরিচালক হীমন্ত বিশ্বশর্মার অভিযোগ, ‘কংগ্রেস গোপনে আঁতাত করেছে আজমলে সঙ্গে। দিনে কুস্তি, রাতে দোস্তি।’ যুযুধান দুই পক্ষের মুখেই এখন ইলু-ইলু। সামনেই আসামের প্রধান উৎসব রাঙালি বিহু। তার আগে ফের হিন্দি গানের সুর ফিরে এসেছে মুখে মুখে। কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েরই হুংকার, আজমলকে আসামের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ণ করে দেবে।
বিরোধীরা তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করলেও আজমল বিন্দুমাত্র বিচলিত নন। আতরের গন্ধে সব সমালোচনা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। প্রথম আলোকে তিনি বললেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য, সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে পরাস্ত করা। না হলে আসামের উন্নতি হবে না। কিন্তু কংগ্রেস বেইমানি করছে।’ কংগ্রেস তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেও আজমল কিন্তু রাজ্যের ১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছেন। তাঁর দলের সাংসদ সংখ্যাও ৩। তিনি নিজে নিজের পুরোনো কেন্দ্র ধুবড়ি থেকে লড়াই করছেন। ভাই, গতবারের সাংসদকে বরপেটায় এবং রাধেশ্যাম বিশ্বাসকে করিমগঞ্জে প্রার্থী করেছেন।
তাঁর সাফ কথা, ‘কংগ্রেস বেইমানি করেছে। আমার বিরুদ্ধেও প্রার্থী দিয়েছে। আমরা কিন্তু বিজেপিকে হারাতে মাত্র তিনটি কেন্দ্রেই নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছি।’ অন্য কেন্দ্রগুলোতে আপনাদের কী ভূমিকা হবে? বিজেপিকে হারাতে যে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি সক্ষম বলে মনে হবে তাঁকেই তাঁরা সমর্থন করবেন। সেটা কংগ্রেস হলেও আপত্তি নেই। জানিয়ে দিলেন আজমল। অসমিয়া মিডিয়ার খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে আজমলের। কিন্তু মমতা ধুবড়িতে তাঁর বিরুদ্ধে সভা করায় সেই সমঝোতার রাস্তাও বন্ধ বলে আজমলই জানালেন।
আজমল মনে করেন, বিজেপি এলেই এনআরসি (নাগরিক পঞ্জি) আর সিএবি (নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) নিয়ে সমস্যা বাড়বে মুসলিমদের। তাই বিজেপিকে হারানো জরুরি। তাই ইলু-ইলুতে কান না দিয়ে নিজের প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া আঁতর ব্যবসায়ী। দলের একমাত্র তারকা প্রচারক তিনি। তাই হেলিকপ্টার ভাড়া করে তিন কেন্দ্রেই উড়ে বেড়াচ্ছেন আজমল। বোঝাবার চেষ্টা করছেন, বিজেপিকে হারানো কতোটা জরুরি। আর কংগ্রেস আর বিজেপি ব্যস্ত ‘গোপনে ইলু-ইলু’ নিয়ে একে অন্যকে কটাক্ষে।
No comments