যে কারণে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা হটাতে বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি
প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন,
দু’টি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাধারণত যে সম্পর্ক থাকে ইরান-ইরাক সম্পর্ক
তার চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ ছাড়া, ইরানের সরকার ও জনগণ ইরাকের উন্নতি ও
অগ্রগতিকে তাদের নিজেদের উন্নতি ও অগ্রগতি মনে করে বলেও জানিয়েছেন
সর্বোচ্চ নেতা।
তিনি ইরান সফররত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল-মাহদির সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন সরকার ইরাক দখলের প্রাথমিক দিনগুলোতে বাগদাদে যেরকম তাবেদার সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল এখনো সেরকম সরকার দেখতে চায়। ইরাক সম্পর্কে সৌদি আরব ও আমেরিকা মুখে যা বলে তার সঙ্গে তাদের অন্তরের আকাঙ্ক্ষার যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, তারা এক সময় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে পাঠিয়ে ইরাকের মসুল শহর দখল করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে; আর এখন এসেছে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ নেতা আমেরিকার অন্তরের আকাঙ্ক্ষার যে কথা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আচরণের ইতিহাসের আলোকে সেকথা শতভাগ সত্য। আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে যেসব বহুমুখী অশুভ লক্ষ্য হাসিল করতে চায় তার অন্যতম হচ্ছে ইরান ও ইরাকের সম্পর্কে ফাটল তৈরি করা।
এর আগে ১৯৮০’র দশকে ইরানের ওপর তৎকালীন সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই যুদ্ধে তৎকালীন মার্কিন মদদপুষ্ট সাদ্দামের পতন হলে আমেরিকার সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু আমেরিকার কাছে সাদ্দামের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার পর ওয়াশিংটনই ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে সাদ্দাম সরকারের পতন ঘটায়। এরপরও ইরাকে যাতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সে লক্ষ্যে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে লেলিয়ে দেয় আমেরিকা ও সৌদি আরব। কিন্তু ইরাকের নির্বাচিত সরকার ইরানের কার্যকর সহযোগিতা নিয়ে মার্কিন মদদপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে ইরাক থেকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়।
এসব কারণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মার্কিন সেনা উপস্থিতিকে এসব দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর আখ্যায়িত করে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, যথাশীঘ্র সম্ভব আপনার দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের ব্যবস্থা করুন; তা না হলে যত বেশি দিন অতিবাহিত হবে এসব দখলদার সেনাকে বের করা তত বেশি কঠিন হয়ে পড়বে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইরাকের সরকার যদি ওয়াশিংটনের কথায় চলে তাহলে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইরাকের বর্তমান সরকার ও সংসদ আমেরিকার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করছে না। তাই এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরাকে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হলে দেশটির শিয়া ও সুন্নি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী করতে হবে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কে বন্ধু কে শত্রু সেটা যেমন সঠিকভাবে চিনতে হবে তেমনি আলেম সমাজের দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
তিনি ইরান সফররত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল-মাহদির সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন সরকার ইরাক দখলের প্রাথমিক দিনগুলোতে বাগদাদে যেরকম তাবেদার সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল এখনো সেরকম সরকার দেখতে চায়। ইরাক সম্পর্কে সৌদি আরব ও আমেরিকা মুখে যা বলে তার সঙ্গে তাদের অন্তরের আকাঙ্ক্ষার যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, তারা এক সময় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে পাঠিয়ে ইরাকের মসুল শহর দখল করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে; আর এখন এসেছে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ নেতা আমেরিকার অন্তরের আকাঙ্ক্ষার যে কথা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আচরণের ইতিহাসের আলোকে সেকথা শতভাগ সত্য। আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে যেসব বহুমুখী অশুভ লক্ষ্য হাসিল করতে চায় তার অন্যতম হচ্ছে ইরান ও ইরাকের সম্পর্কে ফাটল তৈরি করা।
এর আগে ১৯৮০’র দশকে ইরানের ওপর তৎকালীন সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই যুদ্ধে তৎকালীন মার্কিন মদদপুষ্ট সাদ্দামের পতন হলে আমেরিকার সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু আমেরিকার কাছে সাদ্দামের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার পর ওয়াশিংটনই ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে সাদ্দাম সরকারের পতন ঘটায়। এরপরও ইরাকে যাতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সে লক্ষ্যে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে লেলিয়ে দেয় আমেরিকা ও সৌদি আরব। কিন্তু ইরাকের নির্বাচিত সরকার ইরানের কার্যকর সহযোগিতা নিয়ে মার্কিন মদদপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে ইরাক থেকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়।
এসব কারণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মার্কিন সেনা উপস্থিতিকে এসব দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর আখ্যায়িত করে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, যথাশীঘ্র সম্ভব আপনার দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের ব্যবস্থা করুন; তা না হলে যত বেশি দিন অতিবাহিত হবে এসব দখলদার সেনাকে বের করা তত বেশি কঠিন হয়ে পড়বে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইরাকের সরকার যদি ওয়াশিংটনের কথায় চলে তাহলে মার্কিন সরকার সন্তুষ্ট থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইরাকের বর্তমান সরকার ও সংসদ আমেরিকার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করছে না। তাই এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরাকে পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হলে দেশটির শিয়া ও সুন্নি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী করতে হবে। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কে বন্ধু কে শত্রু সেটা যেমন সঠিকভাবে চিনতে হবে তেমনি আলেম সমাজের দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
No comments