চীনে নিপীড়নে মুসলিম বিশ্ব নীরব কেন? by গোয়ানে ডিয়ার
মুসলিম
সংখ্যালঘু হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে যখন হত্যা করেছে মিয়ানমার, দেশ ছেড়ে
কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছে, তখন বিশ্বের মুসলিম
সরকারগুলো নীরব ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যখন
ইসরাইলে তাদের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করেন তখনও তারা
সর্বসম্মতভাবে এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে। কিন্তুপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ
সিনজিয়াংয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে নিপীড়ন চালাচ্ছে চীন সে বিষয়ে তারা
পুরোপুরিই যেন নীরব।
আধুনিক ইতিহাসে এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ।
১০ লাখের মতো চীনা নাগরিককে সিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর কারণ, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ নয়, অভিযোগ তারা মুসলিম। এ জন্যই এমনটা করা হয়েছে। তাদের আরো অপরাধ তারা এক কোটি মানুষের শক্তিশালী একটি সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বা।
তাদের বেশির ভাগই উইঘুর। এ ছাড়া আছেন লক্ষাধিক কাজাখ। এখানে কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বড় ক্ষোভের স্থান হলো মুসলিম ও তাদের ধর্ম।
এই নিপীড়ন যখন চলছে তখন বিশ্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ৪৯ টি দেশ প্রায় কোনোই কথা বলছে না। গত বছর এক ডজন উইঘুর শরণার্থীকে চীনে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায় মালয়েশিয়া। জানুয়ারিতে কুয়েত পার্লামেন্টের চারজন সদস্য প্রকাশ্যে এসব মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত মাসে চীনের এমন আচরণের জোরালো নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু বাকি ৪৬টি মুসলিম দেশ এ ইস্যুটিকে এড়িয়ে গেছে। এটা ভীষণ উদ্ভট এক ঘটনা।
তুরস্ক যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলো, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসোয় বললেন, চীনের বিভিন্ন কারাগারে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। এ সব এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়। চীন কর্তৃপক্ষ একবিংশ শতাব্দীতে এসে নতুন করে বন্দিনির্যাতন শিবির চালু করেছে এবং উইঘুর তুর্কদের বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমিকভাবে নির্যাতন করছে। এটা মানবতার জন্য একটি বিরাট বিব্রতকর অবস্থা। হতাশার কথা।
কিন্তু তারপর থেকে অন্য মুসলিম দেশগুলো একেবারে নীরব। আল জাজিরায় সম্মানের সঙ্গে এ ইস্যুটি তুলে ধরা হলেও অন্য আরব মিডিয়ায় এ বিষয়টি উল্লেখই করা হয় নি বলা চলে। ইরান, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ার মতো বিশাল সব মুসলিম দেশগুলোতে এ বিষয়ে যেন নজরই দেয়া হয় নি। কিন্তু কেন?
এটা সত্য যে, চীনে উইঘুর সম্প্রদায় ও অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে গণনিপীড়ন চালানোর খবরটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গত বছর, যদিও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে দু’বছর আগে এমন নীতি গ্রহণ করেছে চীন।
এ কথাও সত্য যে, এ বিষয়ে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ আছে। প্রথমে যখন উইঘুরদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার প্রচুর রিপোর্ট আসতে থাকে, যেমন তখন কি পরিমাণ বন্দি আসলে রয়েছেন তা নিয়ে, তখন বলা হলো বন্দির সংখ্যা ১০ লাখ। এ সংখ্যাটি সিনজিয়াং প্রদেশের মোট মুসলিমের সংখ্যার এটা হলো এক দশমাংশ। এ থেকে আন্দাজ করা হয় আসলেই ওইসব বন্দিশিবিরে কি পরিমাণ মানুষ থাকতে পারেন।
তবে এসব নির্যাতন বা নিপীড়নের ভয়াবহতার মাত্রা ও এ বিষয়ক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। তাদের বক্তব্য, এসব বন্দিশিবির হলো ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এর মধ্য দিয়ে তারা উগ্রবাদকে মোকাবিলা করছে। উগ্রবাদীদের চিন্তাভাবনাকে পরিবর্তন করছে। এটাকেই বলা হচ্ছে ব্রেনওয়াশ হিসেবে।
বন্দিদের আটকে রাখা হয়েছে অনির্দিষ্টকাল। তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ বা শাস্তি ঘোষণা করা হয় নি। বলা হচ্ছে, তারা ওই বন্দিশিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক। সিনজিয়াংয়ে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা শোহরাত জাকির গত অক্টোবরে বলেছেন, এসব মানুষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা তাদের ভুল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে।
১৯৪৯ সালে যখন নতুন কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী চীনকে নতুন করে তাদের দখলে নেয় তখন সিনজিয়াংয়ের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ছিলেন মুসলিম ও টার্কিশ ভাষী। বেইজিংয়ের মূল উদ্ধেশ্য হলো হ্যান চাইনিজদের সংখ্যা বাড়ানো। ফলে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ৪৫ ভাগ হলেন মুসলিম।
যখন অপরিহার্যভাবে পুশব্যাক ফেরত এলো তখন চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের নজরদারি কড়া করে এবং বাড়ে স্থানীয় জনগণের নিপীড়ন। এর উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক পর্যবেক্ষণকে খর্ব করা। একই সঙ্গে তারা টার্কিশ ভাষী স্থানীয়দের ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু তাতেও যখন কাজ হলো না তখন চীন ‘রি-এডুকেশন সেন্টার’-এর বিস্তার করা শুরু করলো। যেখানে এখন মোট মুসলিমের এক দশমাংশ ধারণ করছে।
এসব ঘটনা বিস্ময়ের কিছু নয়। হ্যান চাইনিজদের আদর্শের সঙ্গে মিল রেখে সব চীনা সরকার নীতি গ্রহণ করে। এমন কি কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় আসার আগেও। কিন্তু এক্ষেত্রে বিস্ময়ের বিষয় যেটা তা হলো, মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়ার ঘাতটি ।
তারা নীরব কেন? এর প্রধান কারণ হলো, চীন বড় অংকের ঋণ দিচ্ছে। আরব দেশগুলোকে ঋণ দিচ্ছে ২০০০ কোটি ডলার। পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা শোনা যায়। মধ্য এশিয়ার নিকটবর্তী মুসলিম দেশগুলোকে আরো ঋণ দেয়ার কথা শোনা যায়। শুধু কাজাখস্তানেই যৌথভাবে শিল্প বিষয়ক প্রকল্পে ঋণ দেয়া হয়েছে ২৭০০ কোটি ডলার। তাই মুসলিম বিশ্বের এসব দেশের প্রয়োজন হলো অর্থ। তাই তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে। একই কাজ করছে তাদের অনুগত মিডিয়াগুলো।
সম্প্রতি চীন সফর করেন সৌদি আরবের ক্ষমতার নেপথ্যের নেতা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাস বিরোধী, উগ্রবাদ বিরোধী যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, চীনের এমন অধিকার আছে বলে তিনি চীনকে অনুমোদন দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আছে। এ অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তার প্রয়োজন চীনের সমর্থন। তা ছাড়া তার আরো অর্থের প্রয়োজন আছে।
সিনজিয়াংয়ের মুসলিমদেরকে পরিত্যাগ করেছে মুসলিম বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মুসলিম উম্মা। তাই তারা একা। তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
গোয়ানে ডিয়ার-এর লেখা এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে থাইল্যান্ডের অনলাইন ব্যাংকক পোস্টে। সেখান থেকে অনুবাদ প্রকাশিত হলো। গোয়ানে ডিয়ার নতুন একটি বই লিখেছেন। এর নাম ‘গ্রোয়িং পেইনস: দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসি (অ্যান্ড ওয়ার্ক)
আধুনিক ইতিহাসে এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ।
১০ লাখের মতো চীনা নাগরিককে সিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর কারণ, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ নয়, অভিযোগ তারা মুসলিম। এ জন্যই এমনটা করা হয়েছে। তাদের আরো অপরাধ তারা এক কোটি মানুষের শক্তিশালী একটি সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বা।
তাদের বেশির ভাগই উইঘুর। এ ছাড়া আছেন লক্ষাধিক কাজাখ। এখানে কর্তৃপক্ষের সবচেয়ে বড় ক্ষোভের স্থান হলো মুসলিম ও তাদের ধর্ম।
এই নিপীড়ন যখন চলছে তখন বিশ্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ৪৯ টি দেশ প্রায় কোনোই কথা বলছে না। গত বছর এক ডজন উইঘুর শরণার্থীকে চীনে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায় মালয়েশিয়া। জানুয়ারিতে কুয়েত পার্লামেন্টের চারজন সদস্য প্রকাশ্যে এসব মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত মাসে চীনের এমন আচরণের জোরালো নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু বাকি ৪৬টি মুসলিম দেশ এ ইস্যুটিকে এড়িয়ে গেছে। এটা ভীষণ উদ্ভট এক ঘটনা।
তুরস্ক যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলো, তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসোয় বললেন, চীনের বিভিন্ন কারাগারে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। এ সব এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়। চীন কর্তৃপক্ষ একবিংশ শতাব্দীতে এসে নতুন করে বন্দিনির্যাতন শিবির চালু করেছে এবং উইঘুর তুর্কদের বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমিকভাবে নির্যাতন করছে। এটা মানবতার জন্য একটি বিরাট বিব্রতকর অবস্থা। হতাশার কথা।
কিন্তু তারপর থেকে অন্য মুসলিম দেশগুলো একেবারে নীরব। আল জাজিরায় সম্মানের সঙ্গে এ ইস্যুটি তুলে ধরা হলেও অন্য আরব মিডিয়ায় এ বিষয়টি উল্লেখই করা হয় নি বলা চলে। ইরান, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ার মতো বিশাল সব মুসলিম দেশগুলোতে এ বিষয়ে যেন নজরই দেয়া হয় নি। কিন্তু কেন?
এটা সত্য যে, চীনে উইঘুর সম্প্রদায় ও অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে গণনিপীড়ন চালানোর খবরটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গত বছর, যদিও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে দু’বছর আগে এমন নীতি গ্রহণ করেছে চীন।
এ কথাও সত্য যে, এ বিষয়ে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ আছে। প্রথমে যখন উইঘুরদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার প্রচুর রিপোর্ট আসতে থাকে, যেমন তখন কি পরিমাণ বন্দি আসলে রয়েছেন তা নিয়ে, তখন বলা হলো বন্দির সংখ্যা ১০ লাখ। এ সংখ্যাটি সিনজিয়াং প্রদেশের মোট মুসলিমের সংখ্যার এটা হলো এক দশমাংশ। এ থেকে আন্দাজ করা হয় আসলেই ওইসব বন্দিশিবিরে কি পরিমাণ মানুষ থাকতে পারেন।
তবে এসব নির্যাতন বা নিপীড়নের ভয়াবহতার মাত্রা ও এ বিষয়ক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। তাদের বক্তব্য, এসব বন্দিশিবির হলো ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এর মধ্য দিয়ে তারা উগ্রবাদকে মোকাবিলা করছে। উগ্রবাদীদের চিন্তাভাবনাকে পরিবর্তন করছে। এটাকেই বলা হচ্ছে ব্রেনওয়াশ হিসেবে।
বন্দিদের আটকে রাখা হয়েছে অনির্দিষ্টকাল। তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ বা শাস্তি ঘোষণা করা হয় নি। বলা হচ্ছে, তারা ওই বন্দিশিবিরগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক। সিনজিয়াংয়ে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা শোহরাত জাকির গত অক্টোবরে বলেছেন, এসব মানুষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা তাদের ভুল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে।
১৯৪৯ সালে যখন নতুন কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী চীনকে নতুন করে তাদের দখলে নেয় তখন সিনজিয়াংয়ের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ছিলেন মুসলিম ও টার্কিশ ভাষী। বেইজিংয়ের মূল উদ্ধেশ্য হলো হ্যান চাইনিজদের সংখ্যা বাড়ানো। ফলে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার শতকরা মাত্র ৪৫ ভাগ হলেন মুসলিম।
যখন অপরিহার্যভাবে পুশব্যাক ফেরত এলো তখন চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের নজরদারি কড়া করে এবং বাড়ে স্থানীয় জনগণের নিপীড়ন। এর উদ্দেশ্য ছিল ইসলামিক পর্যবেক্ষণকে খর্ব করা। একই সঙ্গে তারা টার্কিশ ভাষী স্থানীয়দের ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু তাতেও যখন কাজ হলো না তখন চীন ‘রি-এডুকেশন সেন্টার’-এর বিস্তার করা শুরু করলো। যেখানে এখন মোট মুসলিমের এক দশমাংশ ধারণ করছে।
এসব ঘটনা বিস্ময়ের কিছু নয়। হ্যান চাইনিজদের আদর্শের সঙ্গে মিল রেখে সব চীনা সরকার নীতি গ্রহণ করে। এমন কি কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় আসার আগেও। কিন্তু এক্ষেত্রে বিস্ময়ের বিষয় যেটা তা হলো, মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়ার ঘাতটি ।
তারা নীরব কেন? এর প্রধান কারণ হলো, চীন বড় অংকের ঋণ দিচ্ছে। আরব দেশগুলোকে ঋণ দিচ্ছে ২০০০ কোটি ডলার। পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা শোনা যায়। মধ্য এশিয়ার নিকটবর্তী মুসলিম দেশগুলোকে আরো ঋণ দেয়ার কথা শোনা যায়। শুধু কাজাখস্তানেই যৌথভাবে শিল্প বিষয়ক প্রকল্পে ঋণ দেয়া হয়েছে ২৭০০ কোটি ডলার। তাই মুসলিম বিশ্বের এসব দেশের প্রয়োজন হলো অর্থ। তাই তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে। একই কাজ করছে তাদের অনুগত মিডিয়াগুলো।
সম্প্রতি চীন সফর করেন সৌদি আরবের ক্ষমতার নেপথ্যের নেতা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাস বিরোধী, উগ্রবাদ বিরোধী যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, চীনের এমন অধিকার আছে বলে তিনি চীনকে অনুমোদন দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আছে। এ অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তার প্রয়োজন চীনের সমর্থন। তা ছাড়া তার আরো অর্থের প্রয়োজন আছে।
সিনজিয়াংয়ের মুসলিমদেরকে পরিত্যাগ করেছে মুসলিম বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মুসলিম উম্মা। তাই তারা একা। তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
গোয়ানে ডিয়ার-এর লেখা এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে থাইল্যান্ডের অনলাইন ব্যাংকক পোস্টে। সেখান থেকে অনুবাদ প্রকাশিত হলো। গোয়ানে ডিয়ার নতুন একটি বই লিখেছেন। এর নাম ‘গ্রোয়িং পেইনস: দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসি (অ্যান্ড ওয়ার্ক)
No comments