এখনো চলছে সেই জাবালে নূর পরিবহন
ঢাকার
রাস্তায় রুট পারমিট ও গাড়ির নিবন্ধন নিয়ে ফের চলছে জাবালে নূর পরিবহনের
বাস। তাও আবার একই রুটে। চালক ও হেল্পারদের দাবি, তাদের বাসের কোনো সমস্যা
না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চলতে দিচ্ছে। তারাও চালাচ্ছে। গতকাল
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় দেখা যায়, জাবালে নূরের অনেক গাড়ি সারি সারি দিয়ে
রাখা হয়েছে। উত্তর বাড্ডা, নতুনবাজার ও উত্তরা এলাকায়ও বাসগুলো চলাচল করতে
দেখা যায়। যাত্রীরা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মিরপুর-উত্তর বাড্ডা রুটে
জাবালে নূরের বাসগুলো চলাচল করছে। জাবালে নূর পরিবহন দুটি রুটে চলাচল করতো।
এর একটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে উত্তর বাড্ডা পর্যন্ত, অন্যটি হলো মিরপুর ১ নম্বর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত। বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় সাময়িকভাবে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আন্দোলন থেমে গেলে আস্তে আস্তে স্বনামে চলাচল করতে শুরু করে। জাবালে নূরের এক চালক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাগোর বাসে কোনো সমস্যা নাই। তাই গত নভেম্বর মাস থেকে চলছে।’ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের পর কিছুদিন বন্ধ ছিল। তার কিছুদিন পর আন্দোলন থামলে মালিকরা আবার নামিয়েছে গাড়ি।
গত বছরের ২৯শে জুলাই বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূরের বেপরোয়া দুই বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজিক নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও ৯ জন আহত হন। ওই ঘটনার পর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ ?শুরু করে। পরে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো রাজধানীতে। একপর্যায়ে ওই দুর্ঘটনার জন্য জাবালে নূরকে দায়ী করে এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভে নামে স্কুলশিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা যানবাহন ও এর চালকের কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স তল্লাশি করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন দেয়। সরকারও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংস্কারে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়।
আন্দোলনের একপর্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই পরিবহনের কোনো গাড়ি চলবে না বলে জানায় মালিকপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপিকে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
ওই দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় পরে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা উত্তর বিভাগকে দেয়া হয়। পরে বাসটির মালিক মো. শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। উল্লেখ্য, এর কিছুদিন পর গত বছরের ৭ই নভেম্বর জাবালে নূরের মালিক শাহাদাতকে তিন মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়।
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী জাবালে নূর পরিবহনকে দুইটি রুটে মাত্র ৭৯টি বাস চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় বৈধ অবৈধ মিলিয়ে রাজধানীতে প্রায় দেড় শতাধিক গাড়ি চালাচল করতো। পরে ঘাতক জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার ও দুইটি রুটেরই রুট পারমিট ও নিবন্ধন বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ আলম বলেন, জাবালে নূরের রুট পারমিট বাতিল হয়নি। যে দুটি বাস দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেই দুটি বাসের রুট পারমিট ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। তাই জাবালে নূর সড়কে চলছে।
এর একটি মিরপুর ১ নম্বর থেকে উত্তর বাড্ডা পর্যন্ত, অন্যটি হলো মিরপুর ১ নম্বর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত। বাসগুলো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় সাময়িকভাবে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আন্দোলন থেমে গেলে আস্তে আস্তে স্বনামে চলাচল করতে শুরু করে। জাবালে নূরের এক চালক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাগোর বাসে কোনো সমস্যা নাই। তাই গত নভেম্বর মাস থেকে চলছে।’ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের পর কিছুদিন বন্ধ ছিল। তার কিছুদিন পর আন্দোলন থামলে মালিকরা আবার নামিয়েছে গাড়ি।
গত বছরের ২৯শে জুলাই বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূরের বেপরোয়া দুই বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজিক নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও ৯ জন আহত হন। ওই ঘটনার পর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ ?শুরু করে। পরে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো রাজধানীতে। একপর্যায়ে ওই দুর্ঘটনার জন্য জাবালে নূরকে দায়ী করে এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভে নামে স্কুলশিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা যানবাহন ও এর চালকের কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স তল্লাশি করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণ সমর্থন দেয়। সরকারও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংস্কারে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়।
আন্দোলনের একপর্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই পরিবহনের কোনো গাড়ি চলবে না বলে জানায় মালিকপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপিকে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
ওই দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী মীমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় পরে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা উত্তর বিভাগকে দেয়া হয়। পরে বাসটির মালিক মো. শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। উল্লেখ্য, এর কিছুদিন পর গত বছরের ৭ই নভেম্বর জাবালে নূরের মালিক শাহাদাতকে তিন মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়।
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী জাবালে নূর পরিবহনকে দুইটি রুটে মাত্র ৭৯টি বাস চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় বৈধ অবৈধ মিলিয়ে রাজধানীতে প্রায় দেড় শতাধিক গাড়ি চালাচল করতো। পরে ঘাতক জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার ও দুইটি রুটেরই রুট পারমিট ও নিবন্ধন বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাসুদ আলম বলেন, জাবালে নূরের রুট পারমিট বাতিল হয়নি। যে দুটি বাস দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেই দুটি বাসের রুট পারমিট ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। তাই জাবালে নূর সড়কে চলছে।
No comments