সেন্টমার্টিনের ‘মালিকানা’ ফের দাবি মিয়ানমারের দূতকে তলব, কড়া প্রতিবাদ
বাংলাদেশের
সমুদ্রসীমার অংশ সেন্টমার্টিনকে ফের মিয়ানমার তাদের মানচিত্রে দেখিয়ে
‘মালিকানা’ দাবি করেছে, যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক এম
দেলোয়ার হোসেন মিয়ানমারের ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং খোয়াকে বিকালে
জরুরি তলব করে বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আনুষ্ঠানিক
প্রতিবাদপত্র (প্রটেস্ট নোট) হস্তান্তর করেন। দেলোয়ার হোসেন রাষ্ট্রদূতের
সঙ্গে এ নিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন।
বৈঠক শেষে মিয়ানমার দূত উপস্থিত সংবাদিকদের এড়িয়ে চটজলদি সেগুনবাগিচা ত্যাগ করেন। পরে মহাপরিচালক নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বলেন, মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন এবং জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যে মানচিত্রের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশ রয়েছে। বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে। মহাপরিচালক জানান, গত বছরের ৬ই অক্টোবর মিয়ানমার তাদের একটি সরকারি ওয়েবসাইটে একই ধরনের কাজ করেছিল।
তখন বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে তারা সেটি সংশোধন করে।
তখন ওই ওয়েব সাইটটি বাংলাদেশে জন্য ব্লকও করে দিয়েছিল মিয়ানমার। তাতে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। বিষয়টি বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে মনিটর করছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ওই ওয়েবসাইটসহ অন্য সাইটেও তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশকে নিজেদের মানচিত্রে দেখিয়েছে। সেখানে তারা কোনো দাবি না করলেও যেভাবে এটি তুলে ধরা হয়েছে তাতে ‘তাদের অংশ’ বলে যে কেউ মনে করতে পারে। মহাপরিচালক বলেন, তখন তারা বলেছিল ‘ভুল তথ্যে’ এমনটি হয়েছে।
তারা সংশোধন করে নেবে। অবশ্য তারা সংশোধনও করে। কিন্তু এবারও তারা একই কাজ করেছে। এটা কেন হলো? কীভাবে হলো? এটাই আমরা জানতে চেয়েছি। মহাপরিচালক বলেন, আমরা এ-ও বলেছি তারা আগে ‘ভুল করে হয়েছে’ বলেছিল, এবার তাহলে কীভাবে হলো? এবং তাছাড়া একাধিক সাইটে একই ধরনের প্রচারণা হচ্ছে কেন? এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়, এখানে কোনো ছাড় নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তার কাছে বারবার একই ধরনের ভুল বা উস্কানির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে সেটা ‘ভুল’ নয় বরং ‘পরিকল্পিত’ বলে ধরে নেয়া হয়। জবাবে রাষ্ট্রদূত এবারও অতীতের মতই বলেন, ‘ভুল হয়েছে’। মহাপরিচালক বলেন, এভাবে মানচিত্রে দেখানোর কোনো কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করে অনুতাপও করেছেন রাষ্ট্রদূত।
মহাপরিচালকের দপ্তরে বসেই মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নেপি’ডতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার তাদের কর্মদিবসের সূচনাতে প্রকাশিত মানচিত্রের ‘ভুল’ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য, গত ক’মাসে মিয়ানমার দূতকে তলবের এটি পঞ্চম ঘটনা। স্মরণ করা যায়- একই ইস্যুতে গত ৬ই অক্টোবর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক) অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলমের দপ্তরে তলব করা হয়েছিল মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে। সেই সময় বলা হয়েছিল মিয়ানমার গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছে।
মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের বলে প্রচার করছে, যা খুবই আপত্তিজনক। এমনটি চলতে থাকলে বাংলাদেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সময়ে রাষ্ট্রদূতের হাতে প্রটেস্ট নোট (প্রতিবাদের কূটনৈতিক পত্র) ধরিয়ে দেয়া ছাড়াও সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও দেয়া হয়েছিল। মিয়ানমারের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছিল ঢাকা।
বৈঠক শেষে মিয়ানমার দূত উপস্থিত সংবাদিকদের এড়িয়ে চটজলদি সেগুনবাগিচা ত্যাগ করেন। পরে মহাপরিচালক নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বলেন, মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন এবং জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যে মানচিত্রের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশ রয়েছে। বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অবিলম্বে এটি প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে। মহাপরিচালক জানান, গত বছরের ৬ই অক্টোবর মিয়ানমার তাদের একটি সরকারি ওয়েবসাইটে একই ধরনের কাজ করেছিল।
তখন বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে তারা সেটি সংশোধন করে।
তখন ওই ওয়েব সাইটটি বাংলাদেশে জন্য ব্লকও করে দিয়েছিল মিয়ানমার। তাতে প্রবেশ করা যাচ্ছিল না। বিষয়টি বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে মনিটর করছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ওই ওয়েবসাইটসহ অন্য সাইটেও তারা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কিছু অংশকে নিজেদের মানচিত্রে দেখিয়েছে। সেখানে তারা কোনো দাবি না করলেও যেভাবে এটি তুলে ধরা হয়েছে তাতে ‘তাদের অংশ’ বলে যে কেউ মনে করতে পারে। মহাপরিচালক বলেন, তখন তারা বলেছিল ‘ভুল তথ্যে’ এমনটি হয়েছে।
তারা সংশোধন করে নেবে। অবশ্য তারা সংশোধনও করে। কিন্তু এবারও তারা একই কাজ করেছে। এটা কেন হলো? কীভাবে হলো? এটাই আমরা জানতে চেয়েছি। মহাপরিচালক বলেন, আমরা এ-ও বলেছি তারা আগে ‘ভুল করে হয়েছে’ বলেছিল, এবার তাহলে কীভাবে হলো? এবং তাছাড়া একাধিক সাইটে একই ধরনের প্রচারণা হচ্ছে কেন? এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়, এখানে কোনো ছাড় নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তার কাছে বারবার একই ধরনের ভুল বা উস্কানির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে সেটা ‘ভুল’ নয় বরং ‘পরিকল্পিত’ বলে ধরে নেয়া হয়। জবাবে রাষ্ট্রদূত এবারও অতীতের মতই বলেন, ‘ভুল হয়েছে’। মহাপরিচালক বলেন, এভাবে মানচিত্রে দেখানোর কোনো কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করে অনুতাপও করেছেন রাষ্ট্রদূত।
মহাপরিচালকের দপ্তরে বসেই মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নেপি’ডতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার তাদের কর্মদিবসের সূচনাতে প্রকাশিত মানচিত্রের ‘ভুল’ সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য, গত ক’মাসে মিয়ানমার দূতকে তলবের এটি পঞ্চম ঘটনা। স্মরণ করা যায়- একই ইস্যুতে গত ৬ই অক্টোবর দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক) অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা মো. খুরশেদ আলমের দপ্তরে তলব করা হয়েছিল মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে। সেই সময় বলা হয়েছিল মিয়ানমার গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে চাচ্ছে।
মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে বৈশ্বিক অঙ্গনে নিজেদের বলে প্রচার করছে, যা খুবই আপত্তিজনক। এমনটি চলতে থাকলে বাংলাদেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সময়ে রাষ্ট্রদূতের হাতে প্রটেস্ট নোট (প্রতিবাদের কূটনৈতিক পত্র) ধরিয়ে দেয়া ছাড়াও সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও দেয়া হয়েছিল। মিয়ানমারের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছিল ঢাকা।
No comments