সোহরাওয়ার্দীতে অগ্নিকাণ্ড, রোগীদের চরম দুর্ভোগ
রাজধানীর
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে থাকা সহস্রাধিক রোগীকে রাজধানীর বিভিন্ন
হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে অনেক রোগী বাসায় ফিরে
যান। অগ্নিকাণ্ডে পুরো বন্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালের কার্যক্রম।
অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের স্টোর রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা
করছে ফায়ার সার্ভিস। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত বলে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট
আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায়।
প্রথমে আশেপাশে পানি না পাওয়ায় আগুন নিভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। পরে পাশের একটি পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। টানা ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পর আগুন রাত ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে তখনো হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ধোঁয়া বেরুতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তখনো হাসপাতালের কক্ষগুলোতে কাজ করছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে সংসদ অধিবেশন থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ছুটে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ও প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সেখানে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও। আগুন লাগার পরই হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এতে পুরো হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবরে সেখানে থাকা রোগীরা নেমে আসতে শুরু করেন। রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের নিচে নামিয়ে আনেন। আইসিইউতে থাকা ১১ জন রোগীকে এম্বুলেন্সে করে অন্যান্য হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত অন্য রোগীদেরও এম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। কম গুরুতর রোগীদের রাখা হয় হাসপাতালের সামনের ফাঁকা স্থানে। সেখান থেকে কেউ কেউ নিজ বাসা বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় চলে যান। আবার কেউ কেউ এম্বুলেন্সে করে অন্য হাসপাতালে যান। সেখানে থাকা রোগীদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়।
সেখানে অবস্থান করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে হতাহতের খবর আমরা পাইনি। যত রোগী ছিল, তাদের সবাইকে বের করে আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সব রোগী নিরাপদে আছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান রাত পৌনে ১০টায় জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের ১০ থেকে ১২টি কক্ষ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কেমিক্যাল, ওষুধসহ বেশকিছু মালামাল নষ্ট হয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন, তাকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগুনে তৃতীয় তলায় অবস্থিত শিশু ওয়ার্ডের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীদের হাসপাতাল থেকে বের করে আনতে স্বজন ও কর্মচারীসহ আশেপাশের লোকজন সেখানে ছুটে যান। আগুন লাগার খবর পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় এম্বুলেন্স। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ছুটে যান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। একদিকে আগুনের লেলিহান শিখা আর ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে আচ্ছন্ন পুরো হাসপাতাল ভবন। অন্যদিকে রোগীদের সরিয়ে নিতে এম্বুলেন্সের সাইরেনে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও ভিড় করেন সেখানে। রোগীদের উদ্ধার করে আশেপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছু রোগী হাসপাতালের মাঠ ও পাশের সড়কে বা ফুটপাতে অবস্থান নেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরও নেয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। কিছু রোগী ফিরে যান বাসায়।
রেহানা নামের এক রোগী জানান, আগুনের কথা শুনে তিনি আঁতকে উঠেন। সবাই তখন চিৎকার করছিল। পরে তিনি স্বজনদের নিয়ে নিচে নেমে আসেন। রেহেনা জানান তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। রোজিনা নামের আরেক রোগী জানান, আগুনের ঘটনা শুনে ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত নিচে নেমে আসেন। তিনি জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে যাবেন। রাতে আদাবরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় থাকবেন।
প্রথমে আশেপাশে পানি না পাওয়ায় আগুন নিভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। পরে পাশের একটি পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। টানা ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পর আগুন রাত ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে তখনো হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ধোঁয়া বেরুতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তখনো হাসপাতালের কক্ষগুলোতে কাজ করছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে সংসদ অধিবেশন থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ছুটে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ও প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সেখানে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও। আগুন লাগার পরই হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এতে পুরো হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবরে সেখানে থাকা রোগীরা নেমে আসতে শুরু করেন। রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের নিচে নামিয়ে আনেন। আইসিইউতে থাকা ১১ জন রোগীকে এম্বুলেন্সে করে অন্যান্য হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত অন্য রোগীদেরও এম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। কম গুরুতর রোগীদের রাখা হয় হাসপাতালের সামনের ফাঁকা স্থানে। সেখান থেকে কেউ কেউ নিজ বাসা বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় চলে যান। আবার কেউ কেউ এম্বুলেন্সে করে অন্য হাসপাতালে যান। সেখানে থাকা রোগীদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায়।
সেখানে অবস্থান করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে হতাহতের খবর আমরা পাইনি। যত রোগী ছিল, তাদের সবাইকে বের করে আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সব রোগী নিরাপদে আছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান রাত পৌনে ১০টায় জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের ১০ থেকে ১২টি কক্ষ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কেমিক্যাল, ওষুধসহ বেশকিছু মালামাল নষ্ট হয়েছে। আগুন লাগার কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন, তাকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগুনে তৃতীয় তলায় অবস্থিত শিশু ওয়ার্ডের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীদের হাসপাতাল থেকে বের করে আনতে স্বজন ও কর্মচারীসহ আশেপাশের লোকজন সেখানে ছুটে যান। আগুন লাগার খবর পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় এম্বুলেন্স। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ছুটে যান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। একদিকে আগুনের লেলিহান শিখা আর ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে আচ্ছন্ন পুরো হাসপাতাল ভবন। অন্যদিকে রোগীদের সরিয়ে নিতে এম্বুলেন্সের সাইরেনে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও ভিড় করেন সেখানে। রোগীদের উদ্ধার করে আশেপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছু রোগী হাসপাতালের মাঠ ও পাশের সড়কে বা ফুটপাতে অবস্থান নেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরও নেয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতালে। কিছু রোগী ফিরে যান বাসায়।
রেহানা নামের এক রোগী জানান, আগুনের কথা শুনে তিনি আঁতকে উঠেন। সবাই তখন চিৎকার করছিল। পরে তিনি স্বজনদের নিয়ে নিচে নেমে আসেন। রেহেনা জানান তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। রোজিনা নামের আরেক রোগী জানান, আগুনের ঘটনা শুনে ভয় পেয়ে তিনি দ্রুত নিচে নেমে আসেন। তিনি জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে যাবেন। রাতে আদাবরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় থাকবেন।
No comments