একাদশ সংসদ নির্বাচন কৌলিন্য হারিয়েছে -নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সার্বিকভাবে অংশগ্রহণমূলক হয়নি উল্লেখ করে এ নির্বাচন
কৌলিন্য হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের ব্রিফিং শেষে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশনে কোনো আত্মবিশ্লেষণমূলক আলোচনা হয়নি। মাহবুব
তালুকদার বলেন, গণতন্ত্র কখনো একদলীয় হয় না। বহুদলীয় না হলে গণতন্ত্র রূপ
লাভ করে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার বিষয়টিতে সর্বদা গুরুত্বারোপ করা
হয়। তবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিতান্তই প্রাথমিক প্রাপ্তি। তিনি আরো
বলেন, নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হতে হয়।
এ দুটি শব্দের পরিমাপক জনগণ, যারা নির্বাচন করেন তারা নয়। এমন প্রেক্ষাপট মনে রেখে আগামী উপজেলা নির্বাচনে যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার প্রতি জনগণকে অধিকতর আস্থাশীল করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শুদ্ধ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও শুদ্ধ। বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কখনো কাম্য নয়। তিনি বলেন, আমরা সবাই বলি নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। কথাটার কিছু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। নির্বাচন আইনানুগ হওয়ার অর্থ সবার সমঅধিকার ও সবার প্রতি সমআচরণ নিশ্চিত করা। এ জন্য আপনাদের কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে হবে।
কোনো প্রকার ভয়-ভীতি চাপ, লোভ বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সাহসিকতার সঙ্গে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। অনেক অপ্রত্যাশিত সমস্যা আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারে। আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই আপনাদের তা মোকাবিলা করতে হবে। আইন কখনো সমস্যা সৃষ্টি করে না, সমাধান দেয়। আইনের ব্যত্যয়ই সকল সমস্যার মূল কারণ। যারা নির্বাচনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন, তারা প্রতি পদক্ষেপে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা। মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদে অনেকগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সাতটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এসব নির্বাচনে কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন।
এসব নির্বাচনের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে আপনারা সম্যক অবহিত। নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত নির্বাচনগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণমূলক আলোচনা হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আপনারা সাফল্য ও ব্যর্থতার যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তা থেকে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর ভুলগুলো শুধরে নেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।’ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উপজেলা নির্বাচনের মূল শক্তি। আপনাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার মূল দায়িত্ব কর্মকর্তাদের।
এ দুটি শব্দের পরিমাপক জনগণ, যারা নির্বাচন করেন তারা নয়। এমন প্রেক্ষাপট মনে রেখে আগামী উপজেলা নির্বাচনে যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার প্রতি জনগণকে অধিকতর আস্থাশীল করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শুদ্ধ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও শুদ্ধ। বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কখনো কাম্য নয়। তিনি বলেন, আমরা সবাই বলি নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। কথাটার কিছু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। নির্বাচন আইনানুগ হওয়ার অর্থ সবার সমঅধিকার ও সবার প্রতি সমআচরণ নিশ্চিত করা। এ জন্য আপনাদের কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে হবে।
কোনো প্রকার ভয়-ভীতি চাপ, লোভ বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সাহসিকতার সঙ্গে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। অনেক অপ্রত্যাশিত সমস্যা আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারে। আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই আপনাদের তা মোকাবিলা করতে হবে। আইন কখনো সমস্যা সৃষ্টি করে না, সমাধান দেয়। আইনের ব্যত্যয়ই সকল সমস্যার মূল কারণ। যারা নির্বাচনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন, তারা প্রতি পদক্ষেপে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা। মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদে অনেকগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও সাতটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এসব নির্বাচনে কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন।
এসব নির্বাচনের সাফল্য ও ব্যর্থতা সম্পর্কে আপনারা সম্যক অবহিত। নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত নির্বাচনগুলোর সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণমূলক আলোচনা হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আপনারা সাফল্য ও ব্যর্থতার যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, তা থেকে পরবর্তী পর্যায়ের নির্বাচনগুলোর ভুলগুলো শুধরে নেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।’ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উপজেলা নির্বাচনের মূল শক্তি। আপনাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার মূল দায়িত্ব কর্মকর্তাদের।
No comments