বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে চীন-রাশিয়া-কানাডার ভূমিকা সহায়ক নয়: গবেষণা
বৈশ্বিক
উষ্ণায়ন রোধে যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা সেসবে বাস্তবায়নে চীন
রাশিয়া ও কানাডার মতো দেশের নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই দেশগুলোতে যেভাবে
দূষণ চলছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদিত হচ্ছে তা এ শতাব্দীর শেষে
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তুলতে পারে।
শুধু এই দেশগুলোই নয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোও দূষণ
হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। এসব দেশ এখনও দূষণ
রোধের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে। তাদের দূষণের মাত্রা যেরকম তাতে
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন শিল্পযুগের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি হয়ে উঠতে পারে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান লিখেছে, এমন কি বৈশ্বিক তাপমাত্রা
বৃদ্ধির প্রভাব ঠেকাতে নেতৃস্থানীয় হিসেবে গণ্য করা হয় যে ইউরোপকে,
সেখানেও দূষণ হ্রাসের মাত্রা এমন যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ
লক্ষ্যমাত্রার (১.৫ ডিগ্রি) দ্বিগুণ হবে। ‘নেচার কমিউনিকেশনস’ সাময়িকীতে
প্রকাশিত এক নিবন্ধে দূষণ হ্রাসে দেশগুলোর ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা ও আদতে তারা
যেটুকু বাস্তবায়ন করেছে তার তুলনা করে দেখানো হয়েছে যদি তারা লক্ষ্যমাত্রা
পূরণ করত তাহলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
গত ৮ অক্টোবর ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) তাদের মাইলফলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ যদি ১.৫ ডিগ্রির স্থানে আর মাত্র আধা ডিগ্রিও বেশি হয় তাহলে এমন কি সামুদ্রিক প্রবালের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে পরাগায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কীট-পতঙ্গ। বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখাতে যা করণীয় তা বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই। তা যদি না হয় তাহলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। সেক্ষেত্রে খরা, বন্যা, দুর্ভিক্ষ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হবে জীবন।
গার্ডিয়ান লিখেছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বড় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কারণ তাদের শিল্প কারখানা কম। ফলে দূষণের মাত্রা কমানো তাদের পক্ষে সহজ। অপরদিকে চীনের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলো কার্ব ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যত কিছুই করছে না। তাদের মতোই অবস্থা সৌদি আরব, রাশিয়া ও কানাডার। এই দেশগুলো তেল ও গ্যাসের সূত্রে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করছে। এদের কারণে এই শতকের শেষে বৈশ্বিক তাপমত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ হতে পারে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
যেসব দেশের দূষণ রোধের তৎপরতা তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির মতো তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে জ্বালানি, শিল্প কারখানা ও কৃষি খাত থেকে দূষণের ঘটনা ঘটতে থাকলেও দেশটি কিছু মাত্রায় তা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়লা আমদানির অপর গুরুতরভাবে নির্ভরশীল অস্ট্রেলিয়ার অবস্থাও একই। বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ভালো। দেশটি এমনভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করছে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে রাখা যায়।
ইউরোপকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নেতৃস্থানীয় হিসেব দেখা হয়। তাপমাত্রা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখার মতন দূষণ সেখানে কম। কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে মূলত হিসেবের প্রক্রিয়ার কারণে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি গণনা করা হয় উৎপাদনের স্থানে, উৎপাদিত পণ্য কোথায় ভোগ করা হচ্ছে সেই হিসেবে নয়। নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউরোপ তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দ্বিগুণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো দূষণ ঘটিয়ে যাচ্ছে। নিবন্ধটি লিখেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ান রোবিঔ ডু পন্ট বলেছেন। তার ভাষ্য, ‘এটা অদ্ভুত যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যেসব দশকে নেতৃস্থানীয় মনে করা হয় তারা নিজেরাই কতটা কতটা পিছিয়ে।’
গার্ডিয়ান লিখেছে, দেশগুলোর ভূমিকার চিত্র এই নিবন্ধে উঠে এলেও এর বিতর্কিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ প্যারিস এগ্রিমেন্টে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে কী পরিমাণ দূষণ কমাতে হবে সে বিষয়ে দেশেগুলোর ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। দেশগুলো নিজেরাই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নিজেদের জন্য। এখন দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব হ্রাসের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বদলে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর নিজ নিজ সুবিধার কথা মাথায় রেখে ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
এ সমস্যা কাটাতে প্রস্তাব করা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখতে হয় তাহলে আসলে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজে নামতে হবে। এতে করে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা সাজিয়ে দেশগুলো যেভাবে চলছে তা বন্ধ করা যাবে।
গত ৮ অক্টোবর ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) তাদের মাইলফলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ যদি ১.৫ ডিগ্রির স্থানে আর মাত্র আধা ডিগ্রিও বেশি হয় তাহলে এমন কি সামুদ্রিক প্রবালের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে পরাগায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কীট-পতঙ্গ। বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখাতে যা করণীয় তা বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই। তা যদি না হয় তাহলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। সেক্ষেত্রে খরা, বন্যা, দুর্ভিক্ষ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হবে জীবন।
গার্ডিয়ান লিখেছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বড় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ঘোষণা দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কারণ তাদের শিল্প কারখানা কম। ফলে দূষণের মাত্রা কমানো তাদের পক্ষে সহজ। অপরদিকে চীনের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলো কার্ব ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যত কিছুই করছে না। তাদের মতোই অবস্থা সৌদি আরব, রাশিয়া ও কানাডার। এই দেশগুলো তেল ও গ্যাসের সূত্রে বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করছে। এদের কারণে এই শতকের শেষে বৈশ্বিক তাপমত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ হতে পারে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
যেসব দেশের দূষণ রোধের তৎপরতা তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির মতো তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে জ্বালানি, শিল্প কারখানা ও কৃষি খাত থেকে দূষণের ঘটনা ঘটতে থাকলেও দেশটি কিছু মাত্রায় তা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়লা আমদানির অপর গুরুতরভাবে নির্ভরশীল অস্ট্রেলিয়ার অবস্থাও একই। বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ভালো। দেশটি এমনভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করছে যাতে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে রাখা যায়।
ইউরোপকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নেতৃস্থানীয় হিসেব দেখা হয়। তাপমাত্রা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখার মতন দূষণ সেখানে কম। কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে মূলত হিসেবের প্রক্রিয়ার কারণে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি গণনা করা হয় উৎপাদনের স্থানে, উৎপাদিত পণ্য কোথায় ভোগ করা হচ্ছে সেই হিসেবে নয়। নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউরোপ তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দ্বিগুণ তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো দূষণ ঘটিয়ে যাচ্ছে। নিবন্ধটি লিখেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ান রোবিঔ ডু পন্ট বলেছেন। তার ভাষ্য, ‘এটা অদ্ভুত যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যেসব দশকে নেতৃস্থানীয় মনে করা হয় তারা নিজেরাই কতটা কতটা পিছিয়ে।’
গার্ডিয়ান লিখেছে, দেশগুলোর ভূমিকার চিত্র এই নিবন্ধে উঠে এলেও এর বিতর্কিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ প্যারিস এগ্রিমেন্টে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকাতে কী পরিমাণ দূষণ কমাতে হবে সে বিষয়ে দেশেগুলোর ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। দেশগুলো নিজেরাই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নিজেদের জন্য। এখন দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব হ্রাসের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বদলে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর নিজ নিজ সুবিধার কথা মাথায় রেখে ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
এ সমস্যা কাটাতে প্রস্তাব করা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখতে হয় তাহলে আসলে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজে নামতে হবে। এতে করে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা সাজিয়ে দেশগুলো যেভাবে চলছে তা বন্ধ করা যাবে।
No comments