ক্ষমতায় গেলে যেসব কাজ করবে ঐক্যফ্রন্ট, জানালেন জাফরুল্লাহ by আব্দুল আলীম
বাংলাদেশে
ক্ষমতার বাতাস বদলে গেছে এবং নৌকার পাল ইতিমধ্যে ফিরে গেছে বলে মন্তব্য
করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল
রাজধানীর গুলশানে এক আলোচনা সভা শেষে মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায়
তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে যেসব উদ্যোগ নেবে
না তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা জানি না। সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়। তবে এটা বলতে পারি সুন্দর বাংলাদেশ হবে। পরিবর্তন আসছে। বাতাস বদলে গেছে।
নৌকার পাল এবার ফিরে গেছে। তিনি বলেন, আমরা বাস্তবমূখী কাজ করতে চাই। আজগুবি কথা বলতে চাই না। যেমন ধরুন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে তিন মাসের মধ্যে ওষুধের দাম অর্ধেক হয়ে যাবে। ডায়াগনসিস করতে এখন যতো টাকা খরচ হয় তার চেয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে। একটা কিডনির অপারেশন করতে দেড় থেকে ২ লাখ টাকায় হয়ে যাবে। বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে করাতে পারবেন। ৫ লাখ গ্রাজুয়েটের চাকরি দিতে চাই আমরা। কারণ একজন কৃষকের ছেলে হাল চাষ করতে পারে। কিন্তু আরেকজন গ্রাজুয়েট তা করতে পারে না। তার জন্য আমরা সুযোগ সৃষ্টি করব।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের ইশতেহারের একটা ড্রাফ্ট করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করা হবে। আমরা একটি জনকল্যাণকর শান্তির গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি। আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাচ্ছি। এর মানে হল, ঢাকা শহরে আর একটিও সরকারি নতুন ভবন তৈরী হবে না। নতুন ভবনের প্রয়োজন হলে অন্যান্য শহরের করতে হবে। দুর্নীতি কমাতে হলে ঢাকাকে আর বড় করা যাবে না। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্রদের কর্মসংস্থান চাই। আজকে বিচার বিভাগের বিচারকরা ৫ মাস বসে বিশ্রাম নেন। কেউ কি ৫ মাস চাকরি না করলে বেতন দেবে? বর্তমানে আমাদের দেশে বিচারকরা ৫ মাস কাজ না করে ঘুমিয়ে থাকেন। আর ৩০ লাখ মামলার জট পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে সংষ্কার করা হবে। আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করা হবে। বর্তমান সরকার গায়েবী মামলা দিচ্ছে। আমিও ক্ষমতায় গেলে কি তাই করব? না, সেটা করব না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, এটা কমাতে হলে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কি বললো, না বললো তাতে কিছু যায় আসে না। উন্নয়ন আরও দ্রুত গতিতে হবে। উন্নয়ন থামার কোন প্রশ্নই আসে না। আমরা কি পাগল? আমরা কি অশিক্ষিত? আমরা কম পড়ালেখা করেছি আওয়ামী লীগের চেয়ে? পদ্মা সেতু কি অর্ধেক করে ফেলে রাখব? রাখব না। কোন কাজই আমরা ফেলে রাখব না। তবে তাদের লুটের পয়সার একটা হিসাব নেবো।
তিনি বলেন, উন্নয়ন একদিনের জন্যও ব্যাহত হবে না। কোন প্রকল্প বন্ধ হবে না। তবে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ডিজিটাল চেহারা দেখানো হবে না। চেহারা না দেখিয়ে মাঠে কাজ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না। আমরা সেটাই করব। দেশবাসীর প্রতি আজ্বান জানিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, সবাই সমর্থন দেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। ভোটারদের ভোট দিতে আসতে দেন। তারপর নতুন সরকার আসলে তারা সিদ্ধান্ত নেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের খসড়া ইশতেহারে ৫টি দফা রয়েছে। এটা এখনো গৃহীত হয়নি। কিছুই হয়নি। তবে ইশতেহারের ফোকাস পয়েন্ট থাকবে কৃষক শ্রমিকের জীবন যাত্রার উন্নয়ন। গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তির বাংলাদেশ। যেখানে থাকুন না কেন, সমান সুযোগ পাবেন। সংসদ যা আছে, সেটা এখন থাকবে। তবে আমরা বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবছি। হাজারটা দফা দেয়ার চেয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো, শেখ সাহেব ৬ দফা দিয়ে কাজ করেছে। আমরা ৫ দফা দিয়ে কাজ করব। সম্ভাব্য দফাগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য খাতে জিনিসপত্রের দাম অর্ধেকের চেয়ে কমানো হবে। শিক্ষিত বেকারের চাকরি দেয়া হবে। ৫ লাখ গ্রাজুয়েটের চাকরি দেয়া হবে। আইন ও বিচার বিভাগের সংস্কার করা হবে। বয়বৃদ্ধদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা জানি না। সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়। তবে এটা বলতে পারি সুন্দর বাংলাদেশ হবে। পরিবর্তন আসছে। বাতাস বদলে গেছে।
নৌকার পাল এবার ফিরে গেছে। তিনি বলেন, আমরা বাস্তবমূখী কাজ করতে চাই। আজগুবি কথা বলতে চাই না। যেমন ধরুন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে তিন মাসের মধ্যে ওষুধের দাম অর্ধেক হয়ে যাবে। ডায়াগনসিস করতে এখন যতো টাকা খরচ হয় তার চেয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে। একটা কিডনির অপারেশন করতে দেড় থেকে ২ লাখ টাকায় হয়ে যাবে। বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে করাতে পারবেন। ৫ লাখ গ্রাজুয়েটের চাকরি দিতে চাই আমরা। কারণ একজন কৃষকের ছেলে হাল চাষ করতে পারে। কিন্তু আরেকজন গ্রাজুয়েট তা করতে পারে না। তার জন্য আমরা সুযোগ সৃষ্টি করব।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, নির্বাচনের জন্য আমাদের ইশতেহারের একটা ড্রাফ্ট করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করা হবে। আমরা একটি জনকল্যাণকর শান্তির গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি। আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাচ্ছি। এর মানে হল, ঢাকা শহরে আর একটিও সরকারি নতুন ভবন তৈরী হবে না। নতুন ভবনের প্রয়োজন হলে অন্যান্য শহরের করতে হবে। দুর্নীতি কমাতে হলে ঢাকাকে আর বড় করা যাবে না। কৃষক-শ্রমিক-ছাত্রদের কর্মসংস্থান চাই। আজকে বিচার বিভাগের বিচারকরা ৫ মাস বসে বিশ্রাম নেন। কেউ কি ৫ মাস চাকরি না করলে বেতন দেবে? বর্তমানে আমাদের দেশে বিচারকরা ৫ মাস কাজ না করে ঘুমিয়ে থাকেন। আর ৩০ লাখ মামলার জট পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে সংষ্কার করা হবে। আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করা হবে। বর্তমান সরকার গায়েবী মামলা দিচ্ছে। আমিও ক্ষমতায় গেলে কি তাই করব? না, সেটা করব না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, এটা কমাতে হলে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কি বললো, না বললো তাতে কিছু যায় আসে না। উন্নয়ন আরও দ্রুত গতিতে হবে। উন্নয়ন থামার কোন প্রশ্নই আসে না। আমরা কি পাগল? আমরা কি অশিক্ষিত? আমরা কম পড়ালেখা করেছি আওয়ামী লীগের চেয়ে? পদ্মা সেতু কি অর্ধেক করে ফেলে রাখব? রাখব না। কোন কাজই আমরা ফেলে রাখব না। তবে তাদের লুটের পয়সার একটা হিসাব নেবো।
তিনি বলেন, উন্নয়ন একদিনের জন্যও ব্যাহত হবে না। কোন প্রকল্প বন্ধ হবে না। তবে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ডিজিটাল চেহারা দেখানো হবে না। চেহারা না দেখিয়ে মাঠে কাজ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না। আমরা সেটাই করব। দেশবাসীর প্রতি আজ্বান জানিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, সবাই সমর্থন দেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। ভোটারদের ভোট দিতে আসতে দেন। তারপর নতুন সরকার আসলে তারা সিদ্ধান্ত নেবে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের খসড়া ইশতেহারে ৫টি দফা রয়েছে। এটা এখনো গৃহীত হয়নি। কিছুই হয়নি। তবে ইশতেহারের ফোকাস পয়েন্ট থাকবে কৃষক শ্রমিকের জীবন যাত্রার উন্নয়ন। গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তির বাংলাদেশ। যেখানে থাকুন না কেন, সমান সুযোগ পাবেন। সংসদ যা আছে, সেটা এখন থাকবে। তবে আমরা বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবছি। হাজারটা দফা দেয়ার চেয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো, শেখ সাহেব ৬ দফা দিয়ে কাজ করেছে। আমরা ৫ দফা দিয়ে কাজ করব। সম্ভাব্য দফাগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য খাতে জিনিসপত্রের দাম অর্ধেকের চেয়ে কমানো হবে। শিক্ষিত বেকারের চাকরি দেয়া হবে। ৫ লাখ গ্রাজুয়েটের চাকরি দেয়া হবে। আইন ও বিচার বিভাগের সংস্কার করা হবে। বয়বৃদ্ধদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে।
No comments