জনগণের সরকার চাই by মরিয়ম চম্পা
ঘনিয়ে
আসছে ভোট। নির্বাচনে ভোটারদের বড় একটি অংশ তরুণ। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণদের ভোট ভাবনা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পক্ষে
বিপক্ষে পাওয়া গেছে নানা মত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম
বর্ষের শিক্ষার্থী সাকুর হাসান বলেন, এ বছর প্রথমবারের মতো ভোট দেবো।
সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। সব
দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। নির্বাচনে কোনো কারচুপি হবে না। ২০১৪
সালের নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচন যেন বিতর্কিত না হয় সেদিকে নির্বাচন
কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকারকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে ভালো ভোট হবে। কারণ পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন বলেন, নির্বাচনে ইভিএমটা সব কেন্দ্রে চালু করা উচিত। এতে ভোট কারচুপির কোনো সম্ভাবনা থাকে না। পাশাপাশি একটি সরকারকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় রাখা হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম এইচআই বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ এখন পর্যন্ত নির্বাচনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করতে গায়েবি মামলার প্রচলন নিঃসন্দেহে আতঙ্কের বিষয়। একটি দেশে সরকারের অপজিশন বা বিরোধী দল থাকবে এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি অংশ। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দল মাঠে থাকলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে মাঠপর্যায়ে প্রচারণার সুযোগ দেয়া হয়নি। এই বৈষম্য থেকেই বোঝা যায় নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ মাহমুদ বলেন, প্রথমবারের মতো ভোট দেবো। আমি চাইবো যেন আমার ভোটটি অন্য কেউ না দিতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হৈমন্তী সরকার বলেন, আমি এখনো ভোটার হইনি। তবে, ভোটের বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। ভোটের প্রতি এই অনাগ্রহের জন্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংঘাতকে তিনি দায়ী করেন।
উত্তরা ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী তৃষীতা ডিক্রুস বলেন, আমি নতুন ভোটার। তাই প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই একজন যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবো। যে আমাদের সমস্যার কথা শুনবে এবং সমাধানে কাজ করবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন তার কাছে প্রত্যাশা থাকবে রাস্তার যানজট ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি সিগনালে আরো বেশি সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া। কারণ বাসচালকরা এতটাই বেপড়োয়া যে আমরা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষরাই রাস্তা পার হতে ভয় পাই।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে আমি একজন তরুণ ভোটার। বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা থাকবে নির্বাচনে একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকুক। জীবনে প্রথমবার যেহেতু ভোট দেবো তাই অবশ্যই চাইবো যে আমার ভোটটি যেন আমিই দিতে পারি। নির্বাচনে মার্কা নয়, ব্যক্তির গুরুত্বই আমার কাছে অনেক বেশি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পি এম সুহেল বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ভোট হোক। নির্বাচনে কোনো হানাহানি না হোক। উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ভোট দিতে যাবে এবং ভালো একটি নেতৃত্ব যেন আসে। যে কিনা তরুণদের কথা শুনবে। আমরা চাই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়। জনগণের সরকার চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বিন ইয়ামিন বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এগুলো দেখে মনে হয় যে তারা জনগণের স্বার্থ নয় নিজ স্বার্থটাকেই বড় করে দেখে এবং ক্ষমতায় আসার জন্য তারা যেকোনো কিছু করতে রাজি। রাজনৈতিক কালচার বা সংস্কৃতির কারণে বর্তমান তরুণদের মাঝে ‘আই হেইট পলিটিকস’ বিষয়টি চলে এসেছে। অনেক তরুণদের ফেসবুকে তারা লিখে রেখেছে যে আই হেইট পলিটিকস। এই ধারণার জন্য আমাদের দেশের কৃষ্টি কালচার এবং রাজনৈতিক দলের লোকেরাই দায়ী বলে আমি মনে করি। সৃজনশীল এবং মেধাভিত্তিক রাজনীতি চর্চার মধ্যে দিয়ে আগামী নির্বাচনটা যদি সম্পন্ন হয় তাহলে তরুণ সমাজ আই হেইট পলিটিকসের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসবে।
প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে ভালো ভোট হবে। কারণ পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন বলেন, নির্বাচনে ইভিএমটা সব কেন্দ্রে চালু করা উচিত। এতে ভোট কারচুপির কোনো সম্ভাবনা থাকে না। পাশাপাশি একটি সরকারকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় রাখা হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম এইচআই বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ এখন পর্যন্ত নির্বাচনের লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কোণঠাসা করতে গায়েবি মামলার প্রচলন নিঃসন্দেহে আতঙ্কের বিষয়। একটি দেশে সরকারের অপজিশন বা বিরোধী দল থাকবে এবং তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি অংশ। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রচারণায় ক্ষমতাসীন দল মাঠে থাকলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে মাঠপর্যায়ে প্রচারণার সুযোগ দেয়া হয়নি। এই বৈষম্য থেকেই বোঝা যায় নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ মাহমুদ বলেন, প্রথমবারের মতো ভোট দেবো। আমি চাইবো যেন আমার ভোটটি অন্য কেউ না দিতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হৈমন্তী সরকার বলেন, আমি এখনো ভোটার হইনি। তবে, ভোটের বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। ভোটের প্রতি এই অনাগ্রহের জন্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংঘাতকে তিনি দায়ী করেন।
উত্তরা ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী তৃষীতা ডিক্রুস বলেন, আমি নতুন ভোটার। তাই প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই একজন যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবো। যে আমাদের সমস্যার কথা শুনবে এবং সমাধানে কাজ করবে। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন তার কাছে প্রত্যাশা থাকবে রাস্তার যানজট ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। পাশাপাশি ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি সিগনালে আরো বেশি সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেয়া। কারণ বাসচালকরা এতটাই বেপড়োয়া যে আমরা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষরাই রাস্তা পার হতে ভয় পাই।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে আমি একজন তরুণ ভোটার। বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রত্যাশা থাকবে নির্বাচনে একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকুক। জীবনে প্রথমবার যেহেতু ভোট দেবো তাই অবশ্যই চাইবো যে আমার ভোটটি যেন আমিই দিতে পারি। নির্বাচনে মার্কা নয়, ব্যক্তির গুরুত্বই আমার কাছে অনেক বেশি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পি এম সুহেল বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ভোট হোক। নির্বাচনে কোনো হানাহানি না হোক। উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ভোট দিতে যাবে এবং ভালো একটি নেতৃত্ব যেন আসে। যে কিনা তরুণদের কথা শুনবে। আমরা চাই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়। জনগণের সরকার চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বিন ইয়ামিন বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এগুলো দেখে মনে হয় যে তারা জনগণের স্বার্থ নয় নিজ স্বার্থটাকেই বড় করে দেখে এবং ক্ষমতায় আসার জন্য তারা যেকোনো কিছু করতে রাজি। রাজনৈতিক কালচার বা সংস্কৃতির কারণে বর্তমান তরুণদের মাঝে ‘আই হেইট পলিটিকস’ বিষয়টি চলে এসেছে। অনেক তরুণদের ফেসবুকে তারা লিখে রেখেছে যে আই হেইট পলিটিকস। এই ধারণার জন্য আমাদের দেশের কৃষ্টি কালচার এবং রাজনৈতিক দলের লোকেরাই দায়ী বলে আমি মনে করি। সৃজনশীল এবং মেধাভিত্তিক রাজনীতি চর্চার মধ্যে দিয়ে আগামী নির্বাচনটা যদি সম্পন্ন হয় তাহলে তরুণ সমাজ আই হেইট পলিটিকসের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসবে।
No comments