আপিল করলেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বৈধ!
সাবেক
প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার দিকে
এখন আরো বেশি মনোযোগ এসেছে। নাইকো মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার মুখে নির্বাচনে
ব্যস্ত থাকার যুক্তির পিঠেই ৩রা জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ স্থির
হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এর আগে সাংবাদিকদের কাছে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন যে, খালেদা জিয়া যে দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন, তার পূর্ণাঙ্গ রায় শিগগির পাওয়া যাবে না। তাতে অনেকের ধারণা ছিল তিনি আপিল করতে পারবেন না। কিন্তু জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায় পাওয়া গেছে। এখন আপিলের প্রস্তুতি চলছে। আপিলে দণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে আশা করা হচ্ছে, জিয়া অরফানেজে হাইকোর্টের দশ বছরের সাজার পূর্ণাঙ্গ রায় তারা দ্রুত পাবেন।
এবং তারা আপিল করতে পারবেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ মামলায় নিম্ন আদালতের ৭ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সময় দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়নি। কারো কারো মতে তখন ভাবা হয়েছিল যে, তার জামিন মঞ্জুর হলে পরে দণ্ড স্থগিত চাওয়া হবে। আর জামিন না পেয়ে আদালত দণ্ড স্থগিত করে দিলে তখন কারাগারে থাকা সময়টার কর্তন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এবারের আপিলে ইসি কি করে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি বলেছে, আপিলে সাজা স্থগিত না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। অবশ্য একাধিক আইনজীবী ইসির এই সিদ্ধান্তকে এখতিয়ার বহির্ভূত বলে গণ্য করেছেন। তারা বলেন, রিটার্নিং অফিসারই মূল সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের মতে, এক-এগারোর আগে আপিল ফাইল করলেই তারা বিচারের ধারাবাহিকতা বলে গণ্য হতো।
প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেত মজুমদার এর আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মনে করেন আপিল দাখিল করেই খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। দণ্ডিত হওয়ার পরেও মোফাজ্জেল চৌধুরী মায়ার মন্ত্রীত্ব বৈধ ছিল বলেই মত দেন তিনি। তিনি মায়ার দুর্নীতি মামলায় আইনজীবী ছিলেন।
আগামী ২রা ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ। এই নির্দিষ্ট দিনে রিটার্নিং অফিসার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১৪ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ শেষ করবেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আইন অনুসারে প্রার্থীগণ, তাদের নির্বাচনী এজেন্টগণ, প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারী এবং প্রার্থী কর্তৃক নিযুক্ত (তিনি আইনজীবী হতে পারেন) অন্য কোনো ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারবেন
আইন বলেছে, ‘তারা যদি মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করে দেখতে চান, তবে তাদের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করতে হবে।’ এরপর উপস্থিত সকলের সামনে রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। এবং কেউ কোনো মনোনয়নপত্র সম্বন্ধে আপত্তি উত্থাপন করলে তা নিষ্পত্তি করবেন। তাছাড়াও কোনো আপত্তির ভিত্তিতে অথবা স্বউদ্যাগে যুক্তিযুক্ত মনে করলে যে কোনো মনোনয়নপত্রের বৈধতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধান করতে পারবেন।
তফসিল পুনরায় না পেছালে এবং ২রা ডিসেম্বরে মনোনয়নপত্র আদৌ বাতিল হলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী তিনদিনের বা ৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে আপিল করা যাবে। কমিশন সচিবালয় সচিবের নিকট স্মারকলিপি আকারে আপিল করতে হবে।
আইনে আরো বলা আছে, আপিলের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের তারিখ, আপিলের কারণ সংবলিত বিবৃতি এবং মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণ আদেশের সত্যায়িত কপি সংযোজন করতে হবে।
উল্লেখ্য, আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হক সমপ্রতি বলেছেন, দণ্ডতি ব্যক্তি নির্বাচনে যোগ্য হবেন কিনা সে বিষয়ে রায় আছে দুটি। আপিল চূড়ান্ত পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত একটি রায় বলছে নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে, অন্যটি বলেছে যাবে না। আইনজ্ঞরা দাবি করেন, আইনমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রথম অংশটি অ্যাডভোকেট বাছেত মজুমদারের অভিমতের সঙ্গে যুক্তিযুক্ত। কিন্তু দ্বিতীয় যে রায় সেটি হাইকোর্টের একটি বিভক্ত রায়। সেখানে বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, দণ্ড হলেই হলো, আপিলে খালাস না পাওয়া পর্যন্ত অযোগ্য থাকবেন। কিন্তু এটি আপিল বিভাগের রায় না হওয়ার কারণে এটি মানা বাধ্যকর নয়। বরং ওই মামলায় বিচারপতি জয়নুল আবেদিন আপিল বিভাগের রায়ের বরাতে ভিন্নমত দিয়ে বলেছেন, আপিল দায়ের করলেই চলবে। তাতেই নির্বাচন করা যাবে।
সংবিধানের ৬৬ (২গ) অনুচ্ছেদে বলা আছে নৈতিক স্খলনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুই বছর কারাবাসে থেকে মুক্তির পর পাঁচ বছর পার না হলে কেউ নির্বাচনে যোগ্য হবেন না। কিন্তু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বলছে, দুর্নীতির মামলায় শাস্তিলাভের পর রাজনীতিকদের সংসদে রাখা না-রাখার ক্ষেত্রে আইনের চেয়ে রাজনীতিই বড় বিবেচ্য হয়ে ওঠে।
বিএনপি আমলে জনতা টাওয়ার দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার সাত বছর পরে ২০০০ সালে এরশাদ সংসদে অযোগ্য হন। খালেদা জিয়া তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদের বাড়িতে যান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট এরশাদের সাংসদ পদ খারিজের নিন্দা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের পক্ষ নেয়ার কারণে বিএনপির সমালোচনা করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এসব খালেদা জিয়ার অসততা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এর আগে সাংবাদিকদের কাছে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন যে, খালেদা জিয়া যে দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন, তার পূর্ণাঙ্গ রায় শিগগির পাওয়া যাবে না। তাতে অনেকের ধারণা ছিল তিনি আপিল করতে পারবেন না। কিন্তু জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রায় পাওয়া গেছে। এখন আপিলের প্রস্তুতি চলছে। আপিলে দণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে আশা করা হচ্ছে, জিয়া অরফানেজে হাইকোর্টের দশ বছরের সাজার পূর্ণাঙ্গ রায় তারা দ্রুত পাবেন।
এবং তারা আপিল করতে পারবেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ মামলায় নিম্ন আদালতের ৭ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সময় দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়নি। কারো কারো মতে তখন ভাবা হয়েছিল যে, তার জামিন মঞ্জুর হলে পরে দণ্ড স্থগিত চাওয়া হবে। আর জামিন না পেয়ে আদালত দণ্ড স্থগিত করে দিলে তখন কারাগারে থাকা সময়টার কর্তন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এবারের আপিলে ইসি কি করে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি বলেছে, আপিলে সাজা স্থগিত না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। অবশ্য একাধিক আইনজীবী ইসির এই সিদ্ধান্তকে এখতিয়ার বহির্ভূত বলে গণ্য করেছেন। তারা বলেন, রিটার্নিং অফিসারই মূল সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের মতে, এক-এগারোর আগে আপিল ফাইল করলেই তারা বিচারের ধারাবাহিকতা বলে গণ্য হতো।
প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেত মজুমদার এর আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মনে করেন আপিল দাখিল করেই খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। দণ্ডিত হওয়ার পরেও মোফাজ্জেল চৌধুরী মায়ার মন্ত্রীত্ব বৈধ ছিল বলেই মত দেন তিনি। তিনি মায়ার দুর্নীতি মামলায় আইনজীবী ছিলেন।
আগামী ২রা ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ। এই নির্দিষ্ট দিনে রিটার্নিং অফিসার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১৪ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ শেষ করবেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় আইন অনুসারে প্রার্থীগণ, তাদের নির্বাচনী এজেন্টগণ, প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারী এবং প্রার্থী কর্তৃক নিযুক্ত (তিনি আইনজীবী হতে পারেন) অন্য কোনো ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারবেন
আইন বলেছে, ‘তারা যদি মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করে দেখতে চান, তবে তাদের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করতে হবে।’ এরপর উপস্থিত সকলের সামনে রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। এবং কেউ কোনো মনোনয়নপত্র সম্বন্ধে আপত্তি উত্থাপন করলে তা নিষ্পত্তি করবেন। তাছাড়াও কোনো আপত্তির ভিত্তিতে অথবা স্বউদ্যাগে যুক্তিযুক্ত মনে করলে যে কোনো মনোনয়নপত্রের বৈধতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধান করতে পারবেন।
তফসিল পুনরায় না পেছালে এবং ২রা ডিসেম্বরে মনোনয়নপত্র আদৌ বাতিল হলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী তিনদিনের বা ৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে আপিল করা যাবে। কমিশন সচিবালয় সচিবের নিকট স্মারকলিপি আকারে আপিল করতে হবে।
আইনে আরো বলা আছে, আপিলের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের তারিখ, আপিলের কারণ সংবলিত বিবৃতি এবং মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণ আদেশের সত্যায়িত কপি সংযোজন করতে হবে।
উল্লেখ্য, আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হক সমপ্রতি বলেছেন, দণ্ডতি ব্যক্তি নির্বাচনে যোগ্য হবেন কিনা সে বিষয়ে রায় আছে দুটি। আপিল চূড়ান্ত পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত একটি রায় বলছে নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে, অন্যটি বলেছে যাবে না। আইনজ্ঞরা দাবি করেন, আইনমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রথম অংশটি অ্যাডভোকেট বাছেত মজুমদারের অভিমতের সঙ্গে যুক্তিযুক্ত। কিন্তু দ্বিতীয় যে রায় সেটি হাইকোর্টের একটি বিভক্ত রায়। সেখানে বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, দণ্ড হলেই হলো, আপিলে খালাস না পাওয়া পর্যন্ত অযোগ্য থাকবেন। কিন্তু এটি আপিল বিভাগের রায় না হওয়ার কারণে এটি মানা বাধ্যকর নয়। বরং ওই মামলায় বিচারপতি জয়নুল আবেদিন আপিল বিভাগের রায়ের বরাতে ভিন্নমত দিয়ে বলেছেন, আপিল দায়ের করলেই চলবে। তাতেই নির্বাচন করা যাবে।
সংবিধানের ৬৬ (২গ) অনুচ্ছেদে বলা আছে নৈতিক স্খলনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ন্যূনতম দুই বছর কারাবাসে থেকে মুক্তির পর পাঁচ বছর পার না হলে কেউ নির্বাচনে যোগ্য হবেন না। কিন্তু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বলছে, দুর্নীতির মামলায় শাস্তিলাভের পর রাজনীতিকদের সংসদে রাখা না-রাখার ক্ষেত্রে আইনের চেয়ে রাজনীতিই বড় বিবেচ্য হয়ে ওঠে।
বিএনপি আমলে জনতা টাওয়ার দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার সাত বছর পরে ২০০০ সালে এরশাদ সংসদে অযোগ্য হন। খালেদা জিয়া তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদের বাড়িতে যান। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট এরশাদের সাংসদ পদ খারিজের নিন্দা করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের পক্ষ নেয়ার কারণে বিএনপির সমালোচনা করেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এসব খালেদা জিয়ার অসততা।
No comments