মালয়েশিয়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বিলুপ্ত করার কথা ভাবছে
মালয়েশিয়ার ফেডারেল কোর্ট |
মালয়েশিয়া
মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বিলুপ্তের আইন পাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির ‘ডি
ফ্যাক্টো আইনমন্ত্রী’ লিউ ভুই কেয়ং মন্তব্য করেছেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে
ইউটার্ন নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার যে আইন
পাসের চেষ্টা চলছে তা মালয়েশিয়ার সংসদের চলতি অধিবেশনেই পাস হতে পারে।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, দেশটিতে
হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যাক্তিদের স্বজনরা মৃত্যুদণ্ড রহিতের আইন চান না।
বিশেষ করে সম্প্রতি একটি ১১ মাসের শিশুর হত্যাকাণ্ডের পর মৃত্যুদণ্ডের
বিধান রহিত না করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
মৃত্যুদণ্ড রহিত করার আইন পাসের বিষয়টি গত নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন জোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। জোটটি গত মে মাসে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি রহিত করে আইন পাস হয়ে গেলে মালয়েশিয়া হয়ে উঠবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের একটি যারা এমন আইন করেছে। কেয়ংয়ের ভাষ্য, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি এবং সেখান থেকে সরে আসার কোনও কারণ দেখছি না। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, আইনটি এই অধিবেশনেই পাস করানো সম্ভব হবে কি না সেটি।’ তার ভাষ্য, গবেষণা থেকে দেখা গেছে মৃত্যুদণ্ড অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে কোনও কার্যকর প্রতিরোধ তৈরি করে না।
আইন পাস করে স্থায়ী বন্দবস্তের চেষ্টা চললেও মালয়েশিয়াতে বর্তমানে সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর স্থগিত রয়েছে। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে এক হাজার ২৮১ জন বন্দি। এদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আর ৪৪ শতাংশ বিদেশি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়ার নাগরিক। ফিলিপাইন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের দেশের অন্তত ৫০ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করার আইনের বিরুদ্ধে। অধিকার কর্মী বিল কেয়ং এবং ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর কেভিন মোরাইসের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা চান না মৃত্যুদণ্ডের আইন রহিত করা হোক। গত সপ্তাহে ১১ মাস বয়সী একটি শিশুকে তার দেখভালকারী হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড রহিত না করার দাবি আরও জোরালো হয়। লিউ কেয়ং আল জাজিরাকে বলেছেন, এখানেই একটা ভারসাম্য আনতে হবে। এমন একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে এ সংক্রান্ত বোর্ড কেস বাই কেস পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন, কাদেরকে যাবজ্জীবন দেওয়া উচিত আর কাদেরকে আজীবন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া উচিত।’ মৃত্যুদণ্ড রহিত করার পক্ষে কাজ করা সংগঠন ‘অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি কোয়ালিশন অব মালয়েশিয়ার’ বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, তারা চান না মৃত্যুদণ্ড রহিত হয়ে গেলে সরকার সব মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে গড়ে একই সিদ্ধান্ত নিক।
মালয়েশিয়ায় যারা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকরের অপেক্ষায় আছে তাদের তিন চতুর্থাংশই মাদক সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত। এ বছরে শুরুর দিকেও ২০০ গ্রাম গাজা ও ১৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মাদক কারবারি হিসেবে ধরে নেওয়া হতো। তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এমন অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন বা ১৫ ঘা বেত মারার শাস্তির মধ্যে যে শাস্তি ঠিক মনে হয় তা ঘোষণার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বিচারককে।
মৃত্যুদণ্ড রহিত করার আইন পাসের বিষয়টি গত নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন জোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। জোটটি গত মে মাসে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে। মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি রহিত করে আইন পাস হয়ে গেলে মালয়েশিয়া হয়ে উঠবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের একটি যারা এমন আইন করেছে। কেয়ংয়ের ভাষ্য, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি এবং সেখান থেকে সরে আসার কোনও কারণ দেখছি না। এখন প্রশ্নটা হচ্ছে, আইনটি এই অধিবেশনেই পাস করানো সম্ভব হবে কি না সেটি।’ তার ভাষ্য, গবেষণা থেকে দেখা গেছে মৃত্যুদণ্ড অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে কোনও কার্যকর প্রতিরোধ তৈরি করে না।
আইন পাস করে স্থায়ী বন্দবস্তের চেষ্টা চললেও মালয়েশিয়াতে বর্তমানে সব ধরনের মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকর স্থগিত রয়েছে। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে এক হাজার ২৮১ জন বন্দি। এদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আর ৪৪ শতাংশ বিদেশি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়ার নাগরিক। ফিলিপাইন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের দেশের অন্তত ৫০ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করার আইনের বিরুদ্ধে। অধিকার কর্মী বিল কেয়ং এবং ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর কেভিন মোরাইসের স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা চান না মৃত্যুদণ্ডের আইন রহিত করা হোক। গত সপ্তাহে ১১ মাস বয়সী একটি শিশুকে তার দেখভালকারী হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড রহিত না করার দাবি আরও জোরালো হয়। লিউ কেয়ং আল জাজিরাকে বলেছেন, এখানেই একটা ভারসাম্য আনতে হবে। এমন একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে এ সংক্রান্ত বোর্ড কেস বাই কেস পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন, কাদেরকে যাবজ্জীবন দেওয়া উচিত আর কাদেরকে আজীবন কারাবাসের দণ্ড দেওয়া উচিত।’ মৃত্যুদণ্ড রহিত করার পক্ষে কাজ করা সংগঠন ‘অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি কোয়ালিশন অব মালয়েশিয়ার’ বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, তারা চান না মৃত্যুদণ্ড রহিত হয়ে গেলে সরকার সব মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে গড়ে একই সিদ্ধান্ত নিক।
মালয়েশিয়ায় যারা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কার্যকরের অপেক্ষায় আছে তাদের তিন চতুর্থাংশই মাদক সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত। এ বছরে শুরুর দিকেও ২০০ গ্রাম গাজা ও ১৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গেলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মাদক কারবারি হিসেবে ধরে নেওয়া হতো। তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এমন অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন বা ১৫ ঘা বেত মারার শাস্তির মধ্যে যে শাস্তি ঠিক মনে হয় তা ঘোষণার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে বিচারককে।
No comments