চট্টগ্রামে মনোনয়নযুদ্ধে বাবা-ছেলে দেবর-ভাবি ও চাচা-ভাতিজা by ইব্রাহিম খলিল
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামে জমে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। দলীয়
মনোনয়নযুদ্ধে মেতে উঠেছে বাবা-ছেলে, দেবর-ভাবী ও চাচা-ভাতিজা।
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে অটোমোবাইল শিল্প প্রতিষ্ঠান বড়তাকিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আবার তার ছেলে একই শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নৌকা প্রতীকে লড়তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
একই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রুহেল।
চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালি-বাকলিয়া ও চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার ছেলে মজিবুর রহমান। এ আসন থেকে ধানের শীষে লড়তে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিএনপি নেতা শামসুল আলম ও তার ছেলে শোয়াইব রিয়াদ।
চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র এবং প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন ও তার পুত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী।
তারা দু’জনেই দেবর-ভাবি।
চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনেও বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও তার চাচা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিএনপির সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। আবার তার ভাতিজা বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
মিরসরাই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনিরুল ইসলাম ইউসুফ বলেন, ভোটে বাপ-ছেলে কিংবা
মা-মেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন কোনো বিষয় নয়। আমার ছেলে বলে বিএনপির একটা ভোট তার দিকে যাবে না। আবার আমি তার বাবা বলে আওয়ামী লীগের একটা ভোট বিএনপিতে আসবে না।
মনিরুল ইসলাম ইউসুফ আরো বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য আমার অবদান আছে। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিএনপি অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবে। মনোনয়ন পেলে আমিই জিতবো।
ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমি বাবার আদর্শের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করছি। আদর্শের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। দল থেকে মনোনয়ন পেলে ভোটের লড়াইয়ে জিততে যে কৌশলই নিতে হয় আমি সেটাই নেবো।
এলিট বলেন, সবাই জানেন মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং আছে। আমার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। আমি মনোনয়ন পেলে উভয়পক্ষ আমার হয়ে কাজ করবে। একজন তরুণ হিসেবে যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়, আমি অবশ্যই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল। রুহেল বলেন, ‘বাবা মনোনয়ন পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব। কোনো কারণে যদি তিনি নির্বাচন না করেন সে ক্ষেত্রে মনোনয়নের ব্যাপারে কঠোর থাকবো আমি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের সঙ্গে আছি। দীর্ঘদিন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপির সরকারের আমলে বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলাম। বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। হাটহাজারী আসন থেকে এবার নির্বাচন করে শেষ বয়সে নিজ এলাকার জন্য কিছু করতে চাই।
তার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, রাজনীতিবিদরা নির্বাচন করবে এটি স্বাভাবিক, হাটহাজারীতে আমার পিতা সবচেয়ে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, দলের জন্যও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাই তিনি এবার হাটহাজারী থেকে নির্বাচন করতে চান। আর আমি তরুণ হিসেবে দলের হয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি, সংগঠিত করেছি তৃণমূলকে। তরুণ হিসেবে যদি হাটহাজারী আসনে কাউকে মনোনয়ন দেয়, সে ক্ষেত্রে আমি পাবো দলীয় মনোনয়ন, জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী।
মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘নগরীর কোতোয়ালি-বাকলিয়া এবং বোয়ালখালী-চান্দগাঁও উভয় আসনে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি আমি। তাই দুটি আসন থেকেই মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। একই আসন থেকে আমার ছেলেও মনোনয়ন নিয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস মনোনয়ন আমিই পাব।’
ছেলে মজিবুর রহমান বলেন, বাবার ব্যবসা-বাণিজ্য সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করলেও এলাকায় স্বতন্ত্র একটি ইমেজ গড়ে উঠেছে আমার। দলীয় সভানেত্রী যে সিদ্ধান্তই নেন, তা মাথা পেতে নেবো। তার বিশ্বাস, এবার তার ওপরই আস্থা রাখবে আওয়ামী লীগ।
এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম ও তার ছেলে এমইবি ইন্ডাস্ট্রিজ কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়াইব রিয়াদ।
শামসুল আলম বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়েছিল। বিএনপির দুঃসময়ে মাঠে ছিলাম আমি। আশা করছি এটির মূল্যায়ন করবে দল। আমার ছেলে শোয়াইব রিয়াদ একই জোট থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেও দল আমার ওপরই আস্থা রাখবে বলে বিশ্বাস আছে।’
শোয়াইব রিয়াদ বলেন, ‘রাজনীতিতে অনেক অবদান আছে আমার পরিবারের। ব্যক্তি হিসেবে মানুষের কাছে স্বতন্ত্র একটি গ্রহণযোগ্যতাও আছে আমার। দল যদি নতুনের ওপর আস্থা রাখে তবে আমি মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি।’
চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নেয়া বিএনপির সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, পুরো নগরীতে আমাদের পরিবারের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সাবেক মেয়র হওয়ায় পুরো নগরীই আমার পরিচিত। তার পরও নগরীর ডবলমুরিং-পাহাড়তলী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। আমার বিশ্বাস, এ আসনেই আমার ওপর আস্থা রাখবেন দলীয় সভানেত্রী।
দিদারুল আলম বলেন, ‘আমার চাচা নগরীর ডবলমুরিং আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আমি মনোনয়ন ফরম নিয়েছি সীতাকুণ্ড থেকে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমাদের পরিবারের অবদান বিবেচনায় আনলে উভয়ই মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস করি।’
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে অটোমোবাইল শিল্প প্রতিষ্ঠান বড়তাকিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আবার তার ছেলে একই শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নৌকা প্রতীকে লড়তে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
একই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রুহেল।
চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালি-বাকলিয়া ও চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার ছেলে মজিবুর রহমান। এ আসন থেকে ধানের শীষে লড়তে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিএনপি নেতা শামসুল আলম ও তার ছেলে শোয়াইব রিয়াদ।
চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র এবং প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন ও তার পুত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মীর হেলাল।
চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী।
তারা দু’জনেই দেবর-ভাবি।
চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনেও বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও তার চাচা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিএনপির সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। আবার তার ভাতিজা বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
মিরসরাই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনিরুল ইসলাম ইউসুফ বলেন, ভোটে বাপ-ছেলে কিংবা
মা-মেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন কোনো বিষয় নয়। আমার ছেলে বলে বিএনপির একটা ভোট তার দিকে যাবে না। আবার আমি তার বাবা বলে আওয়ামী লীগের একটা ভোট বিএনপিতে আসবে না।
মনিরুল ইসলাম ইউসুফ আরো বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য আমার অবদান আছে। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিএনপি অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দেবে। মনোনয়ন পেলে আমিই জিতবো।
ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমি বাবার আদর্শের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করছি। আদর্শের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। দল থেকে মনোনয়ন পেলে ভোটের লড়াইয়ে জিততে যে কৌশলই নিতে হয় আমি সেটাই নেবো।
এলিট বলেন, সবাই জানেন মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিং আছে। আমার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। আমি মনোনয়ন পেলে উভয়পক্ষ আমার হয়ে কাজ করবে। একজন তরুণ হিসেবে যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়, আমি অবশ্যই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল। রুহেল বলেন, ‘বাবা মনোনয়ন পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব। কোনো কারণে যদি তিনি নির্বাচন না করেন সে ক্ষেত্রে মনোনয়নের ব্যাপারে কঠোর থাকবো আমি। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের সঙ্গে আছি। দীর্ঘদিন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বিএনপির সরকারের আমলে বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলাম। বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। হাটহাজারী আসন থেকে এবার নির্বাচন করে শেষ বয়সে নিজ এলাকার জন্য কিছু করতে চাই।
তার ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, রাজনীতিবিদরা নির্বাচন করবে এটি স্বাভাবিক, হাটহাজারীতে আমার পিতা সবচেয়ে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, দলের জন্যও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাই তিনি এবার হাটহাজারী থেকে নির্বাচন করতে চান। আর আমি তরুণ হিসেবে দলের হয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি, সংগঠিত করেছি তৃণমূলকে। তরুণ হিসেবে যদি হাটহাজারী আসনে কাউকে মনোনয়ন দেয়, সে ক্ষেত্রে আমি পাবো দলীয় মনোনয়ন, জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী।
মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘নগরীর কোতোয়ালি-বাকলিয়া এবং বোয়ালখালী-চান্দগাঁও উভয় আসনে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি আমি। তাই দুটি আসন থেকেই মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। একই আসন থেকে আমার ছেলেও মনোনয়ন নিয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস মনোনয়ন আমিই পাব।’
ছেলে মজিবুর রহমান বলেন, বাবার ব্যবসা-বাণিজ্য সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করলেও এলাকায় স্বতন্ত্র একটি ইমেজ গড়ে উঠেছে আমার। দলীয় সভানেত্রী যে সিদ্ধান্তই নেন, তা মাথা পেতে নেবো। তার বিশ্বাস, এবার তার ওপরই আস্থা রাখবে আওয়ামী লীগ।
এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম ও তার ছেলে এমইবি ইন্ডাস্ট্রিজ কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়াইব রিয়াদ।
শামসুল আলম বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়েছিল। বিএনপির দুঃসময়ে মাঠে ছিলাম আমি। আশা করছি এটির মূল্যায়ন করবে দল। আমার ছেলে শোয়াইব রিয়াদ একই জোট থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেও দল আমার ওপরই আস্থা রাখবে বলে বিশ্বাস আছে।’
শোয়াইব রিয়াদ বলেন, ‘রাজনীতিতে অনেক অবদান আছে আমার পরিবারের। ব্যক্তি হিসেবে মানুষের কাছে স্বতন্ত্র একটি গ্রহণযোগ্যতাও আছে আমার। দল যদি নতুনের ওপর আস্থা রাখে তবে আমি মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি।’
চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম নেয়া বিএনপির সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম বলেন, পুরো নগরীতে আমাদের পরিবারের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সাবেক মেয়র হওয়ায় পুরো নগরীই আমার পরিচিত। তার পরও নগরীর ডবলমুরিং-পাহাড়তলী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। আমার বিশ্বাস, এ আসনেই আমার ওপর আস্থা রাখবেন দলীয় সভানেত্রী।
দিদারুল আলম বলেন, ‘আমার চাচা নগরীর ডবলমুরিং আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আমি মনোনয়ন ফরম নিয়েছি সীতাকুণ্ড থেকে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমাদের পরিবারের অবদান বিবেচনায় আনলে উভয়ই মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস করি।’
No comments