দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন অঙ্গ ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লাগানোর সুযোগ থাকে by তাসকিনা ইয়াসমিন
সড়ক
দুর্ঘটনা কিংবা কোনও দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শরীরের হাত বা পা
সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লাগানোর জন্য সময় পাওয়া যেতে পারে। এরপর আর
সেটি লাগানোর উপযোগী থাকে না। তবে, এটি থেতলে গেলে বা নোংরা হয়ে গেলে
লাগানো সম্ভব হয় না বলছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।
সম্প্রতি রাজধানীতে বাসে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজীব হোসেনের মৃত্যু, পা বিচ্ছিন্ন হয়ে রোজিনা আখতারের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। অথচ দেশে এক হাত এক পা হারিয়ে বহু মানুষ এখন কোনমতে বেঁচে আছে। তারা পঙ্গু জীবন যাপন করলেও চাকরি ব্যবসাসহ সংসারের অনেক কাজকর্ম নির্বিঘ্নে করছে। রাসেল সরকারের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর সেটি লাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন চিকিৎসকরা। এক হাত হারিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন হৃদয়, দুই পা হারিয়ে ভর্তি আছেন রুবিনা আক্তার। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঙ্গ কি আদৌ জোড়া লাগানো সম্ভব! এ নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কারও শরীর থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রোপচার করে লাগানো যায়। তবে, এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে। যদি সেই অঙ্গটি থেতলে না যায়, এটি যদি ইনফেকটেড না হয়ে যায়, ড্রেনে পড়ে না যায়, ময়লা-আবর্জনা বা কাদায় আক্রান্ত না হয়, যে অংশে লাগানো হবে সেটিসহ যে অঙ্গটি লাগানো হবে সেটি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেক্ষেত্রে লাগানো সম্ভব। তারপরও এই অঙ্গটি রোদে রাখলে হবে না বা গরম চুলার পাশে রাখলে হবে না, বরফ দিয়ে এটিকে প্রিজার্ভ করে রাখতে হবে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীন লাইন বাসে রাসেলের যে পা বিচ্ছিন্ন হলো এটি থেতলে গিয়েছিল। তাই এটি লাগানোর সুযোগ ছিল না। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও লাগাতে পারেনি। মেশিনের কাটায় ক্লিনকাট হলে লাগানোর সুযোগ থাকে। প্রেস মেশিনে কাটা অঙ্গ লাগানো যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কারও হাত-পা চলে গেলেই তিনি মারা যাবেন এটা ঠিক নয়। যদি স্পটেই অনেক রক্তপাত হয় এবং এটা পূরণ করা না যায় তাহলে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। রাজীবের মৃত্যু হয়েছে হেড ইনজুরির কারণে। দুঃখের ব্যাপার হলো আমাদের কাছে কোনও ক্লিন কাট ইনজুরি আসে না। যেগুলো আসে সেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ থাকে। সেগুলো জোড়া লাগানো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না!
সড়ক দুর্ঘটনায় দেহের অঙ্গহানি এবং এরপর মর্মান্তিক মৃত্যু প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রোড ট্রাফিক ইনজুরিতে ক্রাশ ইনজুরি হয় তখন হাত বা পা কেটে গেলেই যে রোগী বেঁচে থাকবে এমনটি হয় না। হাত পা কেটে গেলেও রোগী বাঁচে যেক্ষেত্রে সেটা হলো যখন বার্ন হয়ে হাতটা নষ্ট হয়ে যায়; তখন আমরা অস্ত্রোপচার করে হাতটা কেটে ফেলি। তখন হাতটা কেটে ফেললে রোগী বেঁচে থাকে। এই ধরনের রোগীদের বাঁচানো যায়, কিন্তু যখন রাস্তাঘাটে ক্রাশ ইনজুরি হয়ে যায় তখন রোগীকে বাঁচানো যায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান শাহীন বলেন, রাজীবের মৃত্যু হয়েছে হেড ইনজুরির কারণে। রোজিনার মৃত্যুও পা কাটার কারণে হয়নি। একই ধরনের হাত কাটার পর এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে হৃদয়। রুবিনা নামের এক ছাত্রীও দুই পা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
তিনি বলেন, হাত-পা কাটা পড়ার জন্য রাজিব-রোজিনাদের মৃত্যু হয়নি। তাদের মৃত্যু হয়েছে অন্য কারণে। যদি কোনও অঙ্গহানির পর তাৎক্ষণিকভাবে রক্তপাত বন্ধ না করা যায়, বা সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি করা না যায় তাহলে সেক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
সম্প্রতি রাজধানীতে বাসে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজীব হোসেনের মৃত্যু, পা বিচ্ছিন্ন হয়ে রোজিনা আখতারের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। অথচ দেশে এক হাত এক পা হারিয়ে বহু মানুষ এখন কোনমতে বেঁচে আছে। তারা পঙ্গু জীবন যাপন করলেও চাকরি ব্যবসাসহ সংসারের অনেক কাজকর্ম নির্বিঘ্নে করছে। রাসেল সরকারের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর সেটি লাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন চিকিৎসকরা। এক হাত হারিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন হৃদয়, দুই পা হারিয়ে ভর্তি আছেন রুবিনা আক্তার। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঙ্গ কি আদৌ জোড়া লাগানো সম্ভব! এ নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কারও শরীর থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তা সর্বোচ্চ ছয় ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রোপচার করে লাগানো যায়। তবে, এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে। যদি সেই অঙ্গটি থেতলে না যায়, এটি যদি ইনফেকটেড না হয়ে যায়, ড্রেনে পড়ে না যায়, ময়লা-আবর্জনা বা কাদায় আক্রান্ত না হয়, যে অংশে লাগানো হবে সেটিসহ যে অঙ্গটি লাগানো হবে সেটি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেক্ষেত্রে লাগানো সম্ভব। তারপরও এই অঙ্গটি রোদে রাখলে হবে না বা গরম চুলার পাশে রাখলে হবে না, বরফ দিয়ে এটিকে প্রিজার্ভ করে রাখতে হবে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীন লাইন বাসে রাসেলের যে পা বিচ্ছিন্ন হলো এটি থেতলে গিয়েছিল। তাই এটি লাগানোর সুযোগ ছিল না। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও লাগাতে পারেনি। মেশিনের কাটায় ক্লিনকাট হলে লাগানোর সুযোগ থাকে। প্রেস মেশিনে কাটা অঙ্গ লাগানো যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কারও হাত-পা চলে গেলেই তিনি মারা যাবেন এটা ঠিক নয়। যদি স্পটেই অনেক রক্তপাত হয় এবং এটা পূরণ করা না যায় তাহলে আহত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। রাজীবের মৃত্যু হয়েছে হেড ইনজুরির কারণে। দুঃখের ব্যাপার হলো আমাদের কাছে কোনও ক্লিন কাট ইনজুরি আসে না। যেগুলো আসে সেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ থাকে। সেগুলো জোড়া লাগানো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না!
সড়ক দুর্ঘটনায় দেহের অঙ্গহানি এবং এরপর মর্মান্তিক মৃত্যু প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রোড ট্রাফিক ইনজুরিতে ক্রাশ ইনজুরি হয় তখন হাত বা পা কেটে গেলেই যে রোগী বেঁচে থাকবে এমনটি হয় না। হাত পা কেটে গেলেও রোগী বাঁচে যেক্ষেত্রে সেটা হলো যখন বার্ন হয়ে হাতটা নষ্ট হয়ে যায়; তখন আমরা অস্ত্রোপচার করে হাতটা কেটে ফেলি। তখন হাতটা কেটে ফেললে রোগী বেঁচে থাকে। এই ধরনের রোগীদের বাঁচানো যায়, কিন্তু যখন রাস্তাঘাটে ক্রাশ ইনজুরি হয়ে যায় তখন রোগীকে বাঁচানো যায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান শাহীন বলেন, রাজীবের মৃত্যু হয়েছে হেড ইনজুরির কারণে। রোজিনার মৃত্যুও পা কাটার কারণে হয়নি। একই ধরনের হাত কাটার পর এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে হৃদয়। রুবিনা নামের এক ছাত্রীও দুই পা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
তিনি বলেন, হাত-পা কাটা পড়ার জন্য রাজিব-রোজিনাদের মৃত্যু হয়নি। তাদের মৃত্যু হয়েছে অন্য কারণে। যদি কোনও অঙ্গহানির পর তাৎক্ষণিকভাবে রক্তপাত বন্ধ না করা যায়, বা সময়মতো হাসপাতালে ভর্তি করা না যায় তাহলে সেক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
No comments