মাঠজুড়ে বোরো ধানে ব্লাস্ট, বিপাকে কৃষক

চলতি মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধানের আবাদে ছত্রাকজনিত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগের আক্রমণ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে। এর কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে বোরো ধান চাষ করে খরচ উঠাতে না পারায় এখন তারা লোকসান গুনছেন। অনেকে ঋণ নিয়ে ধানের আবাদ করেছেন। ধান না হলেও কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন সেটি নিয়েও দুশ্চিন্তায় অনেকে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
গাজীপুর
চলতি বোরো মৌসুমে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ধানে নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত

শ্রীপুর উপজেলার টেংরা গ্রামের বর্গা চাষি আব্দুল হামিদ জানান, ধারদেনা করে এবারও প্রায় এক একর জমিতে তিনি বোরো আবাদ করেছেন। জমিতে সবুজ ধান গাছের চারা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কিন্তু ধানের ছড়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাতাগুলো বাদামি আবার কখনও সাদা বর্ণের হওয়া শুরু করে। কিছুদিন পর থেকে ছড়ার গোড়ার অংশে কালো হয়ে ধানের ছড়াটাও বাদামি ও সাদা বর্ণের হতে লাগে। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করলেও কোনও কাজ হয়নি। এক একর জমির ধান কাটার খরচ পড়বে ৯ হাজার টাকা। খড় পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার। খড় বাঁচাতে গেলেও তিন হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।
এ চিত্র শুধু চাষি আব্দুল হামিদেরই নয়, তার মতো অনেক চাষি রয়েছেন শ্রীপুরে, যাদের বোরো আবাদ নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
শ্রীপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এবার শ্রীপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ’
তিনি কৃষকদের অভিযুক্ত করে বলেন, ‘কৃষকেরা নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করেন না। জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি হলেও এ রোগের আক্রমণ ঘটে। প্রথমে ধানের পাতা পরে ধান গাছের গিঁটে ও সবশেষে শীষে এ রোগের আক্রমণ দেখা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধান গাছে আক্রমণের পর ন্যাটিভো, ডাইমেনশন, ফিলিয়া জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়।’
সাতক্ষীরা
ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত

সাতক্ষীরায় চলতি বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও ‘ব্লাস্ট’ (ছত্রাক)-এর আক্রমণে সাতক্ষীরার কিছু এলাকায় কৃষকের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ফসল সংগ্রহের আগ মুহূর্তে সাতক্ষীরা জেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্টের আক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলার ৭৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭২ মেট্রিক। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৯৬ হাজার ৬৬২ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ৪৮ হাজার ৪৮৫ মেট্রিক টন, তালায় ৭২ হাজার ১৪২ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ২৪ হাজার ১৮৯ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ২১ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ২৫ হাজার ১৮৪ মেট্রিক টন এবং শ্যামনগরে ৫ হাজার ৭১৮ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা নিজ উদ্যোগে ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক খলিলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধান পাকার সময় ব্লাস্ট রোগ দেওয়া আধাপাকা ধানগুলো চিটা হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে ফেলছে। এদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরিও বেড়ে গেছে। এখন ৪ ঘণ্টার জন্য শ্রমিকদের ২শ’ থেকে ২৫০ টাকা পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। তারপরও ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ’
তবে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে অর্থাৎ দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা, মেঘলা আবহাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে কিছু কিছু এলাকার ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছিল। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখায় ও পরামর্শ দেওয়ায় এ রোগ বাড়তে পারেনি। এ কারণে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনও প্রভাব পড়বে না। এ বছর জেলায় ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার হেক্টর বেশি। এ রোগ যাতে ছড়াতে না পারে সে জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।’
ঝিনাইদহ
ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত

চলতি বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্রি-২৮ ও নতুন জাতের ব্রি-৬৩ ধানে নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে ক্ষেতের ধানের শীষ শুকিয়ে চিটে হয়ে গেছে। এতে এই দুই জাতের ধান চাষ করে এখন কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপণ লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮ এবং ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে নতুন ব্রি-৬৩ জাতের ধানের চাষ হয়েছে।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি অন্যের জমি লিজ নিয়ে দুই বিঘা জমিতে ব্রি-৬৩ জাতের ধানের চাষ করেছেন। ধানের শীষও বের হয়েছে। কিন্তু নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তার ক্ষেতের বেশিরভাগ ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে চারবার স্প্রে করেও তিনি কোনও ফল পাননি। এখন তিনি কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।
তার পাশ্ববর্তী বেলে পাড়া গ্রামের নিখিল কুমার জানান, তার ১৫ কাঠা জমিতে ব্রি-৬৩ জাতের ধান শীষ বের হওয়ার পর নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে প্রায় ৭৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, ‘মূলত দিনে গরম আর রাতে শিত থাকায় ব্লাস্ট রোগ ছড়ায়। এছাড়া জমিতে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহারের ফলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধে আগে থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, মসজিদ ও লোকসমাগম হয় এমন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন।’ এই উপজেলায় মাত্র দেড় হেক্টর জমির ধান এই রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জামালপুর
ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত

জামালপুরের সাত উপজেলায় ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানক্ষেতে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের দেখা দিয়েছে। বন্যায় আমন ধানের ফলন হারানোর পর বোরোতে ভরসা রাখা কৃষকদের এখন ঘিরে ধরেছে এই ধান হারানোর আশঙ্কাও। ফলে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি বছরের খাবার কীভাবে জুটবে, সেই দুঃশ্চিন্তায় কাটছে তাদের দিন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে। অন্য জাতের ফলন ভালো হলেও ব্রি-২৮ জাতের ক্ষেতে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে অধিকাংশ জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিতে শীষ থাকলেও তাতে নেই চাল।
জেলায় চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় ৩.২০ হেক্টর, ইসলামপুর উপজেলায় ৩.২০ হেক্টর, মাদারগঞ্জ উপজেলায় ২.৫৫ হেক্টর, সরিষাবাড়ী উপজেলায় ২.৬০ হেক্টর, মেলান্দহ উপজেলায় ৩.১০ হেক্টর, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ২.৪৫ হেক্টর ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় ২.৫০ হেক্টর জমির বোরো ফসল ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের মেঘারবাড়ী গ্রামের কৃষক মো. হেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার এলাকায় যারাই এবার ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধান চাষ করেছেন, তাদের সবার ফসলই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’
জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর, লাহিড়িকান্দা, গোবিন্দপুর, নান্দিনা, শ্রীপুর এলাকাতেও বহু ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন, রফিক উদ্দিন, ফালু মণ্ডল জানান, যারাই আগাম জাতের বিআর-২৮ ধান আবাদ করেছেন, তাদের সবার ক্ষেতেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দিশেহারা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এই রোগটি দেখা দেয়। ব্লাস্ট রোগে যেন ক্ষেত আক্রান্ত না হয়, সেজন্য আমরা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রচারপত্র বিলি করেছি। তারপরও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট ছড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, এই রোগটি আর ছড়াবে না।’
গাইবান্ধা
ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত

ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত গাইবান্ধার সাত উপজেলার বিস্তীর্ণ বোরো ধানের ক্ষেত। এ রোগের কারণে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। ফসল ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে একদিকে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ, অন্যদিকে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতিতে দিশেহারা চাষিরা। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানের আশঙ্কা এবং মাথার ওপর থাকা ঋণের বোঝা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় জেলার কৃষকরা।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোর মৌসুমে গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু জেলায় আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন।
ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানক্ষেত গাইবান্ধার সদর ও সাদুল্যাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, এর আগে দু’দফায় বন্যায় তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই ব্যাংক ঋণ আর ধারদেনা করে চড়া দামে চারা কিনে বোর ধানের আবাদ করেন তারা। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। শুরুতে দু-একটি জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলেও আস্তে আস্তে বেশিরভাগ জমিতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ধান পাকার আগেই শীষ সাদা ও চিটা হয়ে যাচ্ছে। রোগ দমনে তেমন কোনও উদ্যোগ নেই কৃষি বিভাগের। মাঠপর্যায়ে থাকা কৃষি বিভাগের দু-একজনের কাছে পরামর্শ নিয়ে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনও সমাধান পাচ্ছেন না তারা।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, জেলায় মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের স্প্রে ব্যবহার করাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’ তাছাড়া এ রোগ মোট উৎপাদনে কোনও ঘাটতি হবে না, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চালের উৎপাদন অর্জিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.