সাদুল্যাপুরের ৩৫ দুগ্ধ খামারির গল্প by তোফায়েল হোসেন জাকির
দুগ্ধ
খামারের গ্রাম হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে শ্রীকলা। গাইবান্ধা জেলার
সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে এ গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামে গড়ে
উঠেছে ছোট-বড় উন্নত ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় ৩৫টি গাভীর দুগ্ধ খামার। এক একটি
খামারে রয়েছে ১০-১২টি গাভী। প্রতিটি গাভীর বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ থেকে ৩
লাখ টাকা।
খামার করে তারা হয়েছেন স্বাবলম্বী। সাদুল্যাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরে শ্রীকলা নামের গ্রামটি।
শনিবার সকালে সরেজমিন ওই এলাকার দুগ্ধ খামারের গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, শ্রীকলা গ্রামটি আয়তনে ছোট। শিক্ষার হারও তুলনামূলকভাবে কম। খামারিদের আলাদা কোনো প্রশিক্ষণও নেই। সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগ ও মেধা খাটিয়েই গড়ে তুলেছে এসব দুগ্ধ খামার। ওই গ্রামের মৃত খয়রাজ্জামানের ছেলে আহসান হাবিব (৪০) নামে এক দুগ্ধ খামারি জানান, তার খামারে রয়েছে ১০টি উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান ও সাহিওয়াল গাভী। তার একাডেমিক কোনো খামারের প্রশিক্ষণ নেই। একটিমাত্র গাভীর বাচ্চা দিয়ে ১০ বছর আগে শুরু করেছিলেন। আজ তিনি অর্ধকোটি টাকার গাভীর মালিক। একইভাবে আবুল হোসেন (লাল মিয়া), মেনহাজ উদ্দিন, সলিম উদ্দিন, আবুল মিয়া, আবদুস ছামাদ, সাজু মিয়া, আবু তালেব, খয়রাজ্জামান, হেলেনা আফরোজ ও মেহেন্নেকা বেগমসহ আরও অনেকের খামারে ফ্রিজিয়ান, সাহিওয়াল, লালসিন্ধি ও জার্সি ফ্রিজিয়ান জাতের ২টি থেকে ১০টি করে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী রয়েছে। এর বাইরেও পুরো গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরো অনেক খামার। তাই এই শ্রীকলা গ্রামটি দুগ্ধ খামারের গ্রাম হিসেবেই পরিচিতি লাভ করছে। খামারি আবুল হোসেন (লাল মিয়া) বলেন, গাভীর বয়সভেদে প্রত্যেকটি গাভীকে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকার খাদ্যে দিতে হয়। এর মধ্যে ক্যাটলফিড, ভুষি ও সবুজ ঘাস। এছাড়াও প্রতিদিন গাভীকে গোসল দিতে হয়। প্রতিটি গাভী গড়ে দৈনিক ২০ কেজি দুধ দেয়। আবুল মিয়া নামে এক খামারি জানান, মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাছুর কিনে তার খামারের যাত্রা শুরু। এখন সে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালিক। তবে দুধের বর্তমান বাজার খুবই কম। সাদুল্যাপুর ব্র্যাক চিলিং সেন্টারে ৩৭ দরে প্রতি কেজি দুধ বিক্রি করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুধ বেচার জায়গা নেই। এখন খামার ছেড়ে দিতে দিতে মন চায়।
খামারি মেনহাজ উদ্দিন জানান, বর্তমানে খামার করার পরিবেশ নেই। দুধের বাজার একেবারেই কম। দুধ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গেলে ৩০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হয়। তাই তারা আশেপাশের চা দোকানগুলোতেই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করে থাকেন। দুগ্ধ খামারে গাভীর খাদ্য বিক্রেতা লাল মিয়া জানান, এসব খামারি ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা পান না। যদি খামারিরা প্রশিক্ষণসহ সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা পেত তাহলে আরো তাড়াতাড়ি খামারগুলো বিস্তার লাভ করতো। জিও-এনজিওদের কাছে খামারিদের দাবি তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া ওই গ্রামে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এসবের ব্যবস্থা থাকলে এখানকার খামারিরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারতো। তবে খামারিদের অভিযোগ, এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কোনো ভূমিকা পালন করেন না।
খামার করে তারা হয়েছেন স্বাবলম্বী। সাদুল্যাপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরে শ্রীকলা নামের গ্রামটি।
শনিবার সকালে সরেজমিন ওই এলাকার দুগ্ধ খামারের গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, শ্রীকলা গ্রামটি আয়তনে ছোট। শিক্ষার হারও তুলনামূলকভাবে কম। খামারিদের আলাদা কোনো প্রশিক্ষণও নেই। সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগ ও মেধা খাটিয়েই গড়ে তুলেছে এসব দুগ্ধ খামার। ওই গ্রামের মৃত খয়রাজ্জামানের ছেলে আহসান হাবিব (৪০) নামে এক দুগ্ধ খামারি জানান, তার খামারে রয়েছে ১০টি উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান ও সাহিওয়াল গাভী। তার একাডেমিক কোনো খামারের প্রশিক্ষণ নেই। একটিমাত্র গাভীর বাচ্চা দিয়ে ১০ বছর আগে শুরু করেছিলেন। আজ তিনি অর্ধকোটি টাকার গাভীর মালিক। একইভাবে আবুল হোসেন (লাল মিয়া), মেনহাজ উদ্দিন, সলিম উদ্দিন, আবুল মিয়া, আবদুস ছামাদ, সাজু মিয়া, আবু তালেব, খয়রাজ্জামান, হেলেনা আফরোজ ও মেহেন্নেকা বেগমসহ আরও অনেকের খামারে ফ্রিজিয়ান, সাহিওয়াল, লালসিন্ধি ও জার্সি ফ্রিজিয়ান জাতের ২টি থেকে ১০টি করে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গাভী রয়েছে। এর বাইরেও পুরো গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরো অনেক খামার। তাই এই শ্রীকলা গ্রামটি দুগ্ধ খামারের গ্রাম হিসেবেই পরিচিতি লাভ করছে। খামারি আবুল হোসেন (লাল মিয়া) বলেন, গাভীর বয়সভেদে প্রত্যেকটি গাভীকে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকার খাদ্যে দিতে হয়। এর মধ্যে ক্যাটলফিড, ভুষি ও সবুজ ঘাস। এছাড়াও প্রতিদিন গাভীকে গোসল দিতে হয়। প্রতিটি গাভী গড়ে দৈনিক ২০ কেজি দুধ দেয়। আবুল মিয়া নামে এক খামারি জানান, মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাছুর কিনে তার খামারের যাত্রা শুরু। এখন সে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালিক। তবে দুধের বর্তমান বাজার খুবই কম। সাদুল্যাপুর ব্র্যাক চিলিং সেন্টারে ৩৭ দরে প্রতি কেজি দুধ বিক্রি করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুধ বেচার জায়গা নেই। এখন খামার ছেড়ে দিতে দিতে মন চায়।
খামারি মেনহাজ উদ্দিন জানান, বর্তমানে খামার করার পরিবেশ নেই। দুধের বাজার একেবারেই কম। দুধ নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে গেলে ৩০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হয়। তাই তারা আশেপাশের চা দোকানগুলোতেই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করে থাকেন। দুগ্ধ খামারে গাভীর খাদ্য বিক্রেতা লাল মিয়া জানান, এসব খামারি ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা পান না। যদি খামারিরা প্রশিক্ষণসহ সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা পেত তাহলে আরো তাড়াতাড়ি খামারগুলো বিস্তার লাভ করতো। জিও-এনজিওদের কাছে খামারিদের দাবি তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা। এছাড়া ওই গ্রামে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এসবের ব্যবস্থা থাকলে এখানকার খামারিরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারতো। তবে খামারিদের অভিযোগ, এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কোনো ভূমিকা পালন করেন না।
No comments