‘ইরানের গোপন পরমাণু কার্যক্রম ছিল’ -নেতানিয়াহুর দাবি
ইসরাইলের
প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন ইরানের গোপন পরমাণু
কার্যক্রম ছিল। আর তেহরান তা নিয়ে ‘মিথ্যা বলেছিল’। এর সপক্ষে ‘সুনির্দিষ্ট
প্রমাণ’ আছে বলেও দাবি নেতানিয়াহুর। ইসরাইল প্রধানমন্ত্রীর এ অভিযোগকে
‘প্রোপাগান্ডা’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। আল জাজিরার খবরে বলা
হয়, ইরানের সঙ্গে স্নায়ুর লড়াই উস্কে দিলো ইসরাইল।
সোমবার কথিত ওই গোপন পরমাণু কার্যক্রমের বিপুল পরিমান নথিপত্র হাতে পাওয়ার দাবি করেন নেতানিয়াহু। তার ভাষ্যমতে, পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরান ওই কার্যক্রমের নথিপত্র গোপনের চেষ্টা জোরদার করে। তিনি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরাইল অর্ধটন পরিমান নথিপত্র হাতে পেয়েছে যা গোয়েন্দা তৎপরতার বিরাট এক অর্জন।’ এর মধ্যে ৫৫ হাজার পৃষ্ঠা আর ১৮৩ টি সিডিতে ৫৫ হাজার ফাইল আছে বলে তিনি জানান।
খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু যা কিছু উপস্থাপন করেছেন তার বেশিরভাগই বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর কাছে তেমন গুরুত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ছয় পরাশক্তির এটাই বিশ্বাস ছিল যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছিল।
সোমবারের ঘোষণার আগ দিয়ে নেতানিয়াহু পার্লামেন্টে একটি বক্তব্য বাতিল করেন। তেল আবিবে সামরিক সদরদপ্তরে নিজের নিরাপত্তা পারিষদদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন।
ইসরাইলের প্রধানমনন্ত্রী শুরু থেকেই পরমানু চুক্তির ঘোর বিরোধীতা করে আসছেন। এতে করে পরমানু অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনে ইরানকে ঠেকানো যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ওদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরান চুক্তি পরিবর্তন না করা হলে সরে যাওয়ার কথা জানালে নেতানিয়াহু তা স্বাগত জানান। আর সোমবার নেতানিয়াহুর দেয়া প্রেজেন্টেশন ‘ভালো’ বলে প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিন বলেন, এটা এবং সাম্প্রতিক অন্যান্য ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে ইরানের বিষয়ে তিনি ‘শতভাগ সঠিক’ ছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে ‘স্টান্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে এসব অভিযোগকে প্রোপাগান্ডা বলে আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়, ‘তার এসব মন্তব্য নতুন কিছু নয়... ভিত্তিহীন অভিযোগে পূর্ণ। আর ইরানের পারমানবিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা।
আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, এই বক্তব্যের পেছনে নেতানিয়াহুর কোন অভিসন্ধি রয়েছে তার ভাষ্যমতে, ‘এতে নেতানিয়াহুর জন্য রাজনৈতিক ফায়দা রয়েছে; বিশেষ করে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছেন।’ অন্য অনেক বিশ্লেষকই একই রকম মন্তব্য করেছেন। ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইরান বিশ্লেষক ফাতেমা আমান বলেন, ‘নেতানিয়াহুর প্রেজেন্টেশনটা বেশিরভাগই রাজনৈতিক। এতে ইরানের পরমানু কার্যক্রম নিয়ে নতুন কোন তথ্য নেই। বিষয়টা বরং একটু অদ্ভুত; সেটা হলো- নেতানিয়াহুর দাবি ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আসল গোয়েন্দা তথ্য ইসরাইলের হাতে রয়েছে যেটা কোনভাবে আইএইএ, যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যপক পর্যবেক্ষণ আর পরিদর্শনে চোখেই পড়েনি!’
সোমবার কথিত ওই গোপন পরমাণু কার্যক্রমের বিপুল পরিমান নথিপত্র হাতে পাওয়ার দাবি করেন নেতানিয়াহু। তার ভাষ্যমতে, পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরান ওই কার্যক্রমের নথিপত্র গোপনের চেষ্টা জোরদার করে। তিনি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরাইল অর্ধটন পরিমান নথিপত্র হাতে পেয়েছে যা গোয়েন্দা তৎপরতার বিরাট এক অর্জন।’ এর মধ্যে ৫৫ হাজার পৃষ্ঠা আর ১৮৩ টি সিডিতে ৫৫ হাজার ফাইল আছে বলে তিনি জানান।
খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু যা কিছু উপস্থাপন করেছেন তার বেশিরভাগই বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর কাছে তেমন গুরুত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ছয় পরাশক্তির এটাই বিশ্বাস ছিল যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছিল।
সোমবারের ঘোষণার আগ দিয়ে নেতানিয়াহু পার্লামেন্টে একটি বক্তব্য বাতিল করেন। তেল আবিবে সামরিক সদরদপ্তরে নিজের নিরাপত্তা পারিষদদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন।
ইসরাইলের প্রধানমনন্ত্রী শুরু থেকেই পরমানু চুক্তির ঘোর বিরোধীতা করে আসছেন। এতে করে পরমানু অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনে ইরানকে ঠেকানো যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ওদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরান চুক্তি পরিবর্তন না করা হলে সরে যাওয়ার কথা জানালে নেতানিয়াহু তা স্বাগত জানান। আর সোমবার নেতানিয়াহুর দেয়া প্রেজেন্টেশন ‘ভালো’ বলে প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিন বলেন, এটা এবং সাম্প্রতিক অন্যান্য ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে ইরানের বিষয়ে তিনি ‘শতভাগ সঠিক’ ছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে ‘স্টান্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে এসব অভিযোগকে প্রোপাগান্ডা বলে আখ্যা দেয়া হয়। বলা হয়, ‘তার এসব মন্তব্য নতুন কিছু নয়... ভিত্তিহীন অভিযোগে পূর্ণ। আর ইরানের পারমানবিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা।
আল জাজিরার সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, এই বক্তব্যের পেছনে নেতানিয়াহুর কোন অভিসন্ধি রয়েছে তার ভাষ্যমতে, ‘এতে নেতানিয়াহুর জন্য রাজনৈতিক ফায়দা রয়েছে; বিশেষ করে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান চুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছেন।’ অন্য অনেক বিশ্লেষকই একই রকম মন্তব্য করেছেন। ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইরান বিশ্লেষক ফাতেমা আমান বলেন, ‘নেতানিয়াহুর প্রেজেন্টেশনটা বেশিরভাগই রাজনৈতিক। এতে ইরানের পরমানু কার্যক্রম নিয়ে নতুন কোন তথ্য নেই। বিষয়টা বরং একটু অদ্ভুত; সেটা হলো- নেতানিয়াহুর দাবি ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আসল গোয়েন্দা তথ্য ইসরাইলের হাতে রয়েছে যেটা কোনভাবে আইএইএ, যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যপক পর্যবেক্ষণ আর পরিদর্শনে চোখেই পড়েনি!’
No comments