মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে তদন্ত
মালয়েশিয়ায়
জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
মাহাথির মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর বিরোধী-আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে তদন্ত
চালু করেছে সরকারি কর্মকর্তারা। মাহাথির গত মাসে অভিযোগ করেছিলেন যে, তিনি
কুয়ালালামপুর থেকে ল্যাংকাওয়ি দ্বীপ ভ্রমণ করার জন্য নির্ধারিত বিমানটিতে
নাশকতা সংঘটনের চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, তারা মাহাথিরের
অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
পাইলটকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, উড্ডয়নের আগে বিমানটির চাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, মাহাথিরের করা মন্তব্য নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মাহাথিরের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চালু করেছি। মাহাথিরের এক মুখপাত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
ভুয়া খবর-বিরোধী আইন
মাহাথিরের বিরুদ্ধে এই তদন্তের পেছনে রয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ভুয়া খবর-বিরোধী একটি আইন। প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ক্ষমতাসীন সরকার গত মাসে ভুয়া খবর ছড়ানোকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর জন্য শাস্তি প্রদানের আইন করেছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ৯ই মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে বাক-স্বাধীনতা রোধ করা। এই আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১২৭ ডলার সমপরিমাণ জরিমানা করা হতে পারে এবং সর্বোচ্চ কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। মাহাথির ১৯৮১-২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৭শে এপ্রিল, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুর থেকে ল্যাংকাওয়ি দ্বীপে ভ্রমণ করার কথা ছিল তার। কিন্তু উড্ডয়নের আগেই বিমানের পাইলট বিমানের চাকা ক্ষতিগ্রস্ত আবিষ্কার করেন। যার দরুন, তার ল্যাংকাওয়ি দ্বীপ ভ্রমণ বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এই ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান সরকার। তবে তদন্তকারীরা বিমানটিতে নাশকতার চেষ্টা করার কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। তাদের তদন্ত অনুসারে, বিমানটি উড্ডয়ন করতে না পারার কারণ ছিল, এর এক চাকায় কিছু ত্রুটি থাকার কারণে। সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান আজহারুদ্দিন রহমান চাকার ওই ক্ষতিটিকে একটি ‘নিয়মিত কারিগরি ত্রুটি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কোনো বিমানের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। এটা মালয়েশিয়ার বিমান ব্যবস্থার, এমনকি পুরো দেশের সুনামের ক্ষতি করতে পারে।
পাইলটকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, উড্ডয়নের আগে বিমানটির চাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, মাহাথিরের করা মন্তব্য নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মাহাথিরের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত চালু করেছি। মাহাথিরের এক মুখপাত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
ভুয়া খবর-বিরোধী আইন
মাহাথিরের বিরুদ্ধে এই তদন্তের পেছনে রয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ভুয়া খবর-বিরোধী একটি আইন। প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ক্ষমতাসীন সরকার গত মাসে ভুয়া খবর ছড়ানোকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর জন্য শাস্তি প্রদানের আইন করেছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ৯ই মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে বাক-স্বাধীনতা রোধ করা। এই আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১২৭ ডলার সমপরিমাণ জরিমানা করা হতে পারে এবং সর্বোচ্চ কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। মাহাথির ১৯৮১-২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৭শে এপ্রিল, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুর থেকে ল্যাংকাওয়ি দ্বীপে ভ্রমণ করার কথা ছিল তার। কিন্তু উড্ডয়নের আগেই বিমানের পাইলট বিমানের চাকা ক্ষতিগ্রস্ত আবিষ্কার করেন। যার দরুন, তার ল্যাংকাওয়ি দ্বীপ ভ্রমণ বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এই ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান সরকার। তবে তদন্তকারীরা বিমানটিতে নাশকতার চেষ্টা করার কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। তাদের তদন্ত অনুসারে, বিমানটি উড্ডয়ন করতে না পারার কারণ ছিল, এর এক চাকায় কিছু ত্রুটি থাকার কারণে। সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান আজহারুদ্দিন রহমান চাকার ওই ক্ষতিটিকে একটি ‘নিয়মিত কারিগরি ত্রুটি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কোনো বিমানের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। এটা মালয়েশিয়ার বিমান ব্যবস্থার, এমনকি পুরো দেশের সুনামের ক্ষতি করতে পারে।
No comments