দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে জনমনে আশঙ্কা আছে
খুলনা
ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক
আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। বৃহস্পতিবার খুলনা
ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন নিয়ে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ আশঙ্কার কথা
জানান। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ
সম্মেলন হয়। প্রার্থীদের হলফনামায় দেয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার
দাবি জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন করা ফৌজদারি
অপরাধ। এ অপরাধে ইসি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন।
তারা আশা করেন, ইসি এ অস্ত্র ব্যবহার করবে। তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার
কারণে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু
নির্বাচনটি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনের কোনো উদ্যোগ দেখছি
না। অথচ আমাদের সাংবিধানিক আকাঙক্ষা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার পরিচালিত হবে
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা। স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারণায় এমপিদের সুযোগ
দিতে ইসির উদ্যোগের সমালোচনা করেন সুজন সম্পাদক। তিনি বলেন, প্রবল
প্রতিবাদের মুখে একই উদ্যোগ থেকে রকিবউদ্দিন কমিশন সরে আসে। এমপিরা পুরো
এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা প্রবল ক্ষমতার অধিকারী।
এ ধরনের উদ্যোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পরিপন্থি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের অধিকাংশই স্বল্প-শিক্ষিত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যাদের অধিকাংশই আয়কর দেন না। এর বিপরীতে আমরা যদি নির্বাচনে বেশি পরিমাণে সমাজসেবী, পেশাজীবী ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী প্রার্থী পেতাম তাহলে প্রার্থীদের মানের উন্নতি ঘটতো এবং আমরা তুলনামূলক ভালো কাউন্সিলর পেতাম। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার। কমিশন যদি নির্বাচনের আগে তা করতে না পারে তাহলে শপথ গ্রহণের আগে অন্তত বিজয়ী মেয়র ও কয়েকজন কাউন্সিলরের তথ্য যাচাই করতে পারে। ভুল বা মিথ্যা তথ্য পাওয়া গেলে যদি কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে কেউ ভুল কিংবা মিথ্যা তথ্য দিবে না। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুধু প্রার্থীদের জনপ্রিয়তাই যাচাই হবে না, একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জনপ্রিয়তা ও কর্মদক্ষতার প্রকাশ ঘটবে।
তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়ায় এ নির্বাচন দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, নির্বাচন দুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করেন সুজনের সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানায়, গাজীপুরে প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। তবে মেয়র প্রার্থীরা সবাই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। গাজীপুরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে ৩৪৫ জনের মধ্যে ২১৯ জনের পেশা ব্যবসা। খুলনায় ১৯২ প্রার্থীর মধ্যে ১২৬ জনের পেশা ব্যবসা।
এ ধরনের উদ্যোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পরিপন্থি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের অধিকাংশই স্বল্প-শিক্ষিত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যাদের অধিকাংশই আয়কর দেন না। এর বিপরীতে আমরা যদি নির্বাচনে বেশি পরিমাণে সমাজসেবী, পেশাজীবী ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী প্রার্থী পেতাম তাহলে প্রার্থীদের মানের উন্নতি ঘটতো এবং আমরা তুলনামূলক ভালো কাউন্সিলর পেতাম। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার। কমিশন যদি নির্বাচনের আগে তা করতে না পারে তাহলে শপথ গ্রহণের আগে অন্তত বিজয়ী মেয়র ও কয়েকজন কাউন্সিলরের তথ্য যাচাই করতে পারে। ভুল বা মিথ্যা তথ্য পাওয়া গেলে যদি কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে কেউ ভুল কিংবা মিথ্যা তথ্য দিবে না। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুধু প্রার্থীদের জনপ্রিয়তাই যাচাই হবে না, একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জনপ্রিয়তা ও কর্মদক্ষতার প্রকাশ ঘটবে।
তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়ায় এ নির্বাচন দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, নির্বাচন দুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করেন সুজনের সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানায়, গাজীপুরে প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। তবে মেয়র প্রার্থীরা সবাই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। গাজীপুরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে ৩৪৫ জনের মধ্যে ২১৯ জনের পেশা ব্যবসা। খুলনায় ১৯২ প্রার্থীর মধ্যে ১২৬ জনের পেশা ব্যবসা।
No comments