গণমাধ্যমে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে সরকার
বাংলাদেশের
গণমাধ্যমে সরকার গত ১০ বছরে একটি ভয়ঙ্কর ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে বলে
মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক
আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন
(একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। মির্জা
আলমগীর বলেন, সরকার মুখে বলছে মুক্ত গণমাধ্যম। অথচ ভিন্ন ধরনের সেন্সরশিপ
আরোপ করছে সবখানে। টেলিভিশনে কোন নিউজ যাবে আর কোন নিউজ যাবে না, তা
সরকারের লোকজন নির্ধারণ করে দিচ্ছে। একটা খবরের জন্য আমি এক পত্রিকার
লোকদের জিজ্ঞেস করলাম এটা কোথায় কীভাবে পেলেন? তারা বললো কিছুই করার নেই।
আমাদের দেয়া হয়েছে। নিজেদের নামে ছাপতে বাধ্য করা হয়েছে। এই হলো আমাদের
মুক্ত গণমাধ্যম। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে ভয়ঙ্কর
ফ্যাসিবাদী। ভেতরে এক আর চেহারা আরেক। মুখে বলে এক, আর করছে আরেক। আসলে গত
১০ বছরে গণমাধ্যমে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে, যে পরিবেশে কেউ কথা বলতে ভয়
পায়, লিখতেও ভয়। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি ভয়ঙ্কর ও সন্ত্রাসী
রাজত্বে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের রক্ষা কবজ হলো মুক্ত গণমাধ্যম।
এটা মুক্ত না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। পাকিস্তান আমল থেকে সাংবাদিক
ভাইদেরকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অথচ এই গণতন্ত্রের
জন্যই ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। আমরা ভিন্ন চিন্তা করতে
পারব বলেই সকলে মিলে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু সেই অবস্থা এখন আর নেই।
এখন কোনো সাংবাদিক কিছু লিখতে পারেন না। এখন কিছু লিখলে গুম হতে হয়। দেশ
ছেড়ে পালাতে হয়। কিন্তু সরকারের কথা শুনলে মনে হবে তাদের মতো ভালো মানুষ
একটিও হয় না। জাতির সঙ্গে জঘন্য প্রতারণা ও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ করা
হচ্ছে। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আমাদের শেষ করতে হবে। সরকারের এই ডাবল
স্ট্যান্ডার্ডকে শেষ করতে ও এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে যারা
গণতন্ত্রের পক্ষে আছেন তাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত
করার জন্য সকলে মিলে কাজ করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটা
মেরুদণ্ডবিহীন নির্বাচন কমিশন সরকার তৈরি করেছে, যারা কোনো নিয়ম মানে না।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের মেয়র প্রার্থী বাধ্য হয়ে প্রচারণা
থেকে সরে এসেছেন। আমরা প্রতিনিধি পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এসব বিষয়ে বলেছি।
যখন ফোনে ইসির সঙ্গে কথা বলি, তারা বলে সবই ঠিক আছে। আমরা কোথাও কোনো
অনিয়ম দেখছি না। আমরা প্রথম দিনই বলেছি, গাজীপুরের এসপি হারুনুর রশীদকে
সরাতে হবে। কারণ, তিনি চিহ্নিত আওয়ামী লীগার। আমাদের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন
ফারুককে কিভাবে মেরেছিল তা দেশবাসী ভোলেনি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতে
কোনো কর্ণপাত করছে না। আওয়ামী লীগ ১/১১-এর প্রতিনিধিত্ব করে চলছে দাবি করে
মির্জা আলমগীর বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রীকে জেলে নিলো, কত কিছু করলো। তাদের
তো কিছু করলেন না। বরং তাদের সবকিছুকে ঘোষণা দিয়ে বৈধ করেছেন। অন্যদিকে
সম্পূর্ণ মিথ্যা অপরাধে খালেদা জিয়াকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। আমাদের দাবি,
আগামী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে
হবে। এরপর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে জাতীয়
নির্বাচন হতে হবে। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও অবিলম্বে
মুক্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
কিন্তু কোন সংবিধান? যে সংবিধানকে কেটে-ছেঁটে শেষ করে দিয়েছেন। আমরা বলছি
না যে, বিএনপির সব দাবি মানতে হবে। আপনারা বসেন, কথা বলেন এবং যে
সমস্যাগুলো আছে সেগুলোর সমাধান করেন। সংকটের সমাধান করে তারপর নির্বাচনে
যান। কিন্তু সমস্যার সমাধান না করে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ৫ই জানুয়ারি যা
হয়েছে তাই হবে। কিন্তু এবার দেশের মানুষ এ ধরনের নির্বাচন মেনে নেবে না।
প্রতিরোধ করবে। কত জনকে জেলে দেবেন, কত জনকে মারবেন এবং কত জনকে গুম করবেন-
করতে পারেন? নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই লড়াই খুব
কঠিন লড়াই, এই সংগ্রাম খুব কঠিন সংগ্রাম। এই লড়াই শুধু নির্বাচনে জিতলাম কি
হারলাম বা আমরা দুই-একবার জেলে গেলাম তা নয়। এই লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার
লড়াই।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, হাইকোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। সেটা হলো- তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। একজন বিচারক হিসেবে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের রায় দিলেন। বাক স্বাধীনতা হরণ করলেন। এর মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করলেন। আবার এই হাইকোর্টই রায় দিলেন- জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না। কিন্তু একে খন্দকার তার বইতে লিখেছেন আমি জিয়াউর রহমানকে চিনতাম না। তবে তার বক্তব্য শুনে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। জিয়াউর রহমানের ঘোষণার কারণেই আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, হাইকোর্ট এখন ইতিহাস রচনার দায়িত্ব নিয়েছেন। উপন্যাস রচনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা আমাকে সাজা দিয়েছিলেন। ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। আমি ক্ষমা চাইনি। বলেছি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে ক্ষমা চাই না। তিনি সাজা দিলেন। আর আজকে সরকার বলছে এসকে সিনহা চোর, দুর্নীতিবাজ, মোরালি ডিজ অনেস্ট পারসন। এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিল কে। বর্তমান সরকার একজন চোর, দুর্নীতিবাজ ও মোরালি ডিজ অনেস্ট পারসনকে প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিল। খালেদা জিয়ার রায়ের আপিলের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম হলো- সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলার আপিল গৃহিত হওয়ার পর জামিন না চাইলেও অটো জামিন হয়ে যাবে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন জামিন আবেদন গ্রহণ করলাম ঠিক আছে কিন্তু এখনই জামিন শুনানি করতে চাই না। জামিন শুনানি করার ডেট দেয় তিন মাস পর। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই। শুধু আদালত নয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায়ও অনিয়ম চলছে। আমরা যারা কারাগারে গিয়েছি তারা সবাই জানি আইজি প্রিজনই বলে দেবেন কারাগারে কার চিকিৎসা হবে আর কার হবে না। কিন্তু খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল আইজি প্রিজন পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তিনি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হয়তো সে ফাইল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে চলে গেছে। তিনি যদি বলেন খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাবেন তাহলে পাবেন না বললে পাবেন না। এ সময় তিনি বলেন, এরশাদ ছিল জাতীয় বেহায়া স্বৈরাচার, আর এখন শাসন করছে বিশ্ব স্বীকৃত স্বৈরাচার। আসুন এ দুই স্বৈরাচারকে তাড়াতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার মঞ্চ করি। সেখানে প্রয়োজনে গুলি করে মেরে ফেলুক আমাদের। আমি সেখানে সবার আগে যেতে প্রস্তুত রয়েছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, এরশাদের সময় প্রতিটা জাতীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় তার কবিতা ছাপা হতো। একদিন বিদেশ থেকে ফেরার পর বাসসের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন আপনি কি এমন কবি যে আপনার কবিতা পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপা লাগে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সেদিন এরশাদ খুব লজ্জা পেয়েছিল। এর পর থেকে আর কোনোদিন প্রথম পাতায় এরশাদের কবিতা ছাপা হয়নি।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, হাইকোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। সেটা হলো- তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। একজন বিচারক হিসেবে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের রায় দিলেন। বাক স্বাধীনতা হরণ করলেন। এর মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করলেন। আবার এই হাইকোর্টই রায় দিলেন- জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না। কিন্তু একে খন্দকার তার বইতে লিখেছেন আমি জিয়াউর রহমানকে চিনতাম না। তবে তার বক্তব্য শুনে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। জিয়াউর রহমানের ঘোষণার কারণেই আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, হাইকোর্ট এখন ইতিহাস রচনার দায়িত্ব নিয়েছেন। উপন্যাস রচনার দায়িত্ব নিয়েছেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা আমাকে সাজা দিয়েছিলেন। ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। আমি ক্ষমা চাইনি। বলেছি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে ক্ষমা চাই না। তিনি সাজা দিলেন। আর আজকে সরকার বলছে এসকে সিনহা চোর, দুর্নীতিবাজ, মোরালি ডিজ অনেস্ট পারসন। এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিল কে। বর্তমান সরকার একজন চোর, দুর্নীতিবাজ ও মোরালি ডিজ অনেস্ট পারসনকে প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিল। খালেদা জিয়ার রায়ের আপিলের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম হলো- সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলার আপিল গৃহিত হওয়ার পর জামিন না চাইলেও অটো জামিন হয়ে যাবে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন জামিন আবেদন গ্রহণ করলাম ঠিক আছে কিন্তু এখনই জামিন শুনানি করতে চাই না। জামিন শুনানি করার ডেট দেয় তিন মাস পর। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই। শুধু আদালত নয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায়ও অনিয়ম চলছে। আমরা যারা কারাগারে গিয়েছি তারা সবাই জানি আইজি প্রিজনই বলে দেবেন কারাগারে কার চিকিৎসা হবে আর কার হবে না। কিন্তু খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল আইজি প্রিজন পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তিনি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হয়তো সে ফাইল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে চলে গেছে। তিনি যদি বলেন খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাবেন তাহলে পাবেন না বললে পাবেন না। এ সময় তিনি বলেন, এরশাদ ছিল জাতীয় বেহায়া স্বৈরাচার, আর এখন শাসন করছে বিশ্ব স্বীকৃত স্বৈরাচার। আসুন এ দুই স্বৈরাচারকে তাড়াতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার মঞ্চ করি। সেখানে প্রয়োজনে গুলি করে মেরে ফেলুক আমাদের। আমি সেখানে সবার আগে যেতে প্রস্তুত রয়েছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, এরশাদের সময় প্রতিটা জাতীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় তার কবিতা ছাপা হতো। একদিন বিদেশ থেকে ফেরার পর বাসসের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন আপনি কি এমন কবি যে আপনার কবিতা পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপা লাগে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। সেদিন এরশাদ খুব লজ্জা পেয়েছিল। এর পর থেকে আর কোনোদিন প্রথম পাতায় এরশাদের কবিতা ছাপা হয়নি।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।
No comments