স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃত্যুতে যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ by হুমায়ুন মাসুদ
মরদেহ
উদ্ধারের পর ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির
শিক্ষার্থী তাসফিয়া আমিনের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার (০১
মে) বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর বুধবার (০২ মে) সকালে নগরীর পতেঙ্গা
এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তার মৃতদেহ। আত্মহত্যা নাকি তাকে হত্যা করা
হয়েছে? এই দুয়ের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে পুলিশের তদন্ত। রেস্টুরেন্ট থেকে বের
হওয়ার সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া পোশাকের সঙ্গে মরদেহের পোশাকের মিল
না পাওয়া, পতেঙ্গা পর্যন্ত পৌঁছানো নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রশ্নের
জবাব খুঁজে ফিরছে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর জোন) আরেফিন জুয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে তার ছেলে বন্ধুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। সম্ভাব্য সব বিষয়কে মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারবো।’
মঙ্গলবার বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গোলপাহাড় এলাকায় চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যায় তাসফিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে তাকে বের হতে দেখা গেছে রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তার বন্ধু আদনান জানিয়েছে, তাসফিয়া তার কাছ থেকে ১০০ টাকা সিএনজি ভাড়া নিয়েছিল। তবে গোলপাহাড় থেকে পতেঙ্গার সিএনজি ভাড়া কমপক্ষে আড়াইশ টাকা।
রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাসফিয়ার পরনে ছিল সালোয়ার-কামিজ। আর মরদেহ উদ্ধারের সময় পরনে ছিল স্কার্ট। এই পোশাক পরিবর্তন নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মরদেহের মুখে ফেনা পাওয়া যায়। এ ধরণের ফেনা বিষপানের ক্ষেত্রে দেখা যায়। প্রশ্ন উঠেছে, তাসফিয়া কি বিষপান করেছে? নাকি অন্য কোন ওষুধ খাইয়ে তাকে মারা হয়েছে? যদি বিষপান করে তবে সে বিষ কেনার টাকা পেল কোথায়? সিএনজির ভাড়া দেওয়ার পর আর কোন টাকা থাকার কথা না। যদি তাসফিয়া বিষপান করে তবে বিষপান করার পর সড়ক থেকে ২০/২৫ ফিট দূরে কীভাবে গেল? লাশটা উপুড় হয়ে থাকবে কেন? যদি সে আত্মহত্যা করে তবে তার হাতে থাকা সোনার আংটি গেল কোথায়? নিজের ব্যবহারের মোবাইল ফোনটি কোথায়?
পুলিশ আরও খতিয়ে দেখছে, যদি তাসফিয়া আত্মহত্যা না করে থাকে তবে তাকে কে হত্যা করেছে? কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে? তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কি আদনান জড়িত? যদি আদনান তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে রাতে যখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন আদনান তাসফিয়ার বাবার সঙ্গে কীভাবে ছিল? যদি আদনান হত্যাকাণ্ড না ঘটিয়ে থাকে তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে?
এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাসফিয়ার মৃত্যু অনেক রহস্যে ঘেরা। তার মৃত্যুকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন সামনে এসেছে। আমরা সব বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। পরনের কাপড় চেঞ্জ করেছেন কিনা, করলে কোথায়, কখন, কীভাবে চেঞ্জ করলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, 'তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয়ে ওপরও নির্ভর করছে। তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখন কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস হবে, তার ভিসেরা ফ্রিজার্ভ করা আছে।’
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরাও এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি। তাকে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সে ওই টাকা দিয়ে পতেঙ্গা কীভাবে গেল?'
মৃতদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাসফিয়ার মৃতদেহ নদীর পাড়ের রিটেইনিং ওয়াল থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ ফিট দূরে ছিল। লাফ দিয়ে এতদূর যাওয়া সম্ভব না। কেউ ধাক্কা দিলেও এত দূরে যাওয়ার কথা না। নদীতে আসা জোয়ার তার মরদেহ ওখানে নিয়ে যেতে পারে।’
তাহলে কি তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘সে নিজেও নদীতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। আবার কেউ তাকে নদীতে ফেলে দিতে পারে। আমরা এসব বিষয় তদন্ত করে দেখছি।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (বন্দর জোন) আরেফিন জুয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে তার ছেলে বন্ধুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। সম্ভাব্য সব বিষয়কে মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারবো।’
মঙ্গলবার বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে গোলপাহাড় এলাকায় চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যায় তাসফিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে তাকে বের হতে দেখা গেছে রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তার বন্ধু আদনান জানিয়েছে, তাসফিয়া তার কাছ থেকে ১০০ টাকা সিএনজি ভাড়া নিয়েছিল। তবে গোলপাহাড় থেকে পতেঙ্গার সিএনজি ভাড়া কমপক্ষে আড়াইশ টাকা।
রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাসফিয়ার পরনে ছিল সালোয়ার-কামিজ। আর মরদেহ উদ্ধারের সময় পরনে ছিল স্কার্ট। এই পোশাক পরিবর্তন নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মরদেহের মুখে ফেনা পাওয়া যায়। এ ধরণের ফেনা বিষপানের ক্ষেত্রে দেখা যায়। প্রশ্ন উঠেছে, তাসফিয়া কি বিষপান করেছে? নাকি অন্য কোন ওষুধ খাইয়ে তাকে মারা হয়েছে? যদি বিষপান করে তবে সে বিষ কেনার টাকা পেল কোথায়? সিএনজির ভাড়া দেওয়ার পর আর কোন টাকা থাকার কথা না। যদি তাসফিয়া বিষপান করে তবে বিষপান করার পর সড়ক থেকে ২০/২৫ ফিট দূরে কীভাবে গেল? লাশটা উপুড় হয়ে থাকবে কেন? যদি সে আত্মহত্যা করে তবে তার হাতে থাকা সোনার আংটি গেল কোথায়? নিজের ব্যবহারের মোবাইল ফোনটি কোথায়?
পুলিশ আরও খতিয়ে দেখছে, যদি তাসফিয়া আত্মহত্যা না করে থাকে তবে তাকে কে হত্যা করেছে? কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে? তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কি আদনান জড়িত? যদি আদনান তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে রাতে যখন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন আদনান তাসফিয়ার বাবার সঙ্গে কীভাবে ছিল? যদি আদনান হত্যাকাণ্ড না ঘটিয়ে থাকে তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে?
এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাসফিয়ার মৃত্যু অনেক রহস্যে ঘেরা। তার মৃত্যুকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন সামনে এসেছে। আমরা সব বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। পরনের কাপড় চেঞ্জ করেছেন কিনা, করলে কোথায়, কখন, কীভাবে চেঞ্জ করলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, 'তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয়ে ওপরও নির্ভর করছে। তার ময়নাতদন্ত হয়েছে। এখন কেমিক্যাল অ্যানালাইসিস হবে, তার ভিসেরা ফ্রিজার্ভ করা আছে।’
একই ধরনের মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরাও এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি। তাকে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সে ওই টাকা দিয়ে পতেঙ্গা কীভাবে গেল?'
মৃতদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাসফিয়ার মৃতদেহ নদীর পাড়ের রিটেইনিং ওয়াল থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ ফিট দূরে ছিল। লাফ দিয়ে এতদূর যাওয়া সম্ভব না। কেউ ধাক্কা দিলেও এত দূরে যাওয়ার কথা না। নদীতে আসা জোয়ার তার মরদেহ ওখানে নিয়ে যেতে পারে।’
তাহলে কি তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘সে নিজেও নদীতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। আবার কেউ তাকে নদীতে ফেলে দিতে পারে। আমরা এসব বিষয় তদন্ত করে দেখছি।’
No comments