ঢাকায় ওআইসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে কাল পাঁচ শতাধিক অতিথি
সাড়ে
৫ শতাধিক অতিথি নিয়ে কাল ঢাকায় শুরু হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের জোট ওআইসি’র
দু’দিনব্যাপী ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। বাংলাদেশের আয়োজনে
সামপ্রতিক সময়ে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। এরইমধ্যে
অতিথিদের বড় অংশ ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশের তরফেও আয়োজনের সব
প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ আয়োজনে অন্তত
৪০ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন
সম্মেলনে। নন-ওআইসি কান্ট্রি যেমন কানাডা, কসোভো ও নর্দান সাইপ্রাসের
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও অংশ নিচ্ছেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছেন রাশিয়ার
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং থাইল্যান্ডের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন ওআইসির মেগা এ ইভেন্টের রোহিঙ্গা সংকটের
বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ এইচ মাহমুদ আলী। সম্মেলন প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গতকাল
মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্ধারিত বিষয় লিখিত বক্তৃতা ছাড়াও সম-সাময়িক বিভিন্ন
বিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাব দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট
ওআইসির ঢাকা বৈঠকে বিশেষভাবে স্থান পাবে এবং এ বিষয়ে একটি বিশেষ অধিবেশনও
হবে। যেখানে কানাডার ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ছাড়াও কানাডার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত বব রেও অংশ নেবেন। কানাডা মধ্যপ্রাচ্যের
বাস্তুচ্যুতদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দেয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বিশেষ
আমন্ত্রণে ওই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার
জন্য জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং সুইডেনের দায়িত্বশীল
প্রতিনিধিরাও ওআইসির ঢাকা সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু তারা আসতে
পারছেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে আসা (আজ ভোরের
মধ্যে যারা ঢাকায় পৌঁছাতে পারবেন) মন্ত্রী, সচিবসহ অন্য অতিথিদের
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টরা অতিথিদের সঙ্গ
দেবেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি বাংলাদেশকে শুরু থেকে সমর্থন জানিয়ে আসছে
উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ওআইসি শুরু থেকেই সোচ্চার রয়েছে। মালয়েশিয়া,
ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক এবং অন্যান্য দেশও আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে
যাচ্ছে। সম্মেলন প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৫৭ সদস্যবিশিষ্ট এই
সংস্থার প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীসহ প্রায় সাড়ে ৫০০’র অধিক
প্রতিনিধি আগামী ৫ ও ৬ই মে ঢাকায় থাকছেন। এরইমধ্যে তাদের অভ্যর্থনা জানানোর
সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ইসলামিক
ভ্যালুস ফর সাসটেনেবল পিস, সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’। মন্ত্রী বলেন,
‘বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের বেশকিছু দেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক
অখণ্ডতা রক্ষায় হুমকি, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম রাষ্ট্রে বাইরের
হস্তক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ইসলামোফবিয়া ও মানবিক বিপর্যয়সহ নানা
সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এবং একইসঙ্গে
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সংস্থাটির সম্মিলিত
উদ্যোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বাৎসরিক সম্মেলন
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে- ওআইসি’র কাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা সম্মেলনে সংস্থাটির সংস্কার এবং ওআইসির নিজস্ব কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টার খোলার বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হতে পারে।’ এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানান, তুরস্কের পক্ষ থেকে সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মেডিয়েশন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং খোলার প্রস্তাব করলে এটি নিয়ে ওআইসির সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং আমরা আশা করছি এবারের মন্ত্রীদের বৈঠকে এটি অনুমোদিত হবে। কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের অনুমোদন পাওয়া গেলে কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের মধ্যে একাধিক দেশ আছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত আছে এবং এ ধরনের একটি কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মেডিয়েশন সেন্টার এই সংঘাতকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।’ ওআইসির সংস্কার প্রস্তাব প্রশ্নে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার আভাস দিয়ে অন্য এক কর্মকর্তা বলেন- পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে এখন সবাই এ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। ওআইসি কী করছে এবং ভবিষ্যতে আরো কী করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা হবে। কর্মকর্তারা জানান, এবারের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা বিষয়ে তিন পাতার একটি রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হবে যেখানে এর বিস্তারিত বর্ণনা থাকছে এবং সামনের দিনগুলোতে ওআইসি এ বিষয়ে কী ভূমিকা রাখবে সে বিষয়েও নির্দেশনা থাকবে। গত তিনটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এবং শেষ কায়রো শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্যারা সংযুক্ত করতে বাংলাদেশের বেগ পেতে হয়েছে। এমনকি কয়েকটি দেশের চরম বিরোধিতার কারণে সেখানে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার নিয়েও আপত্তি ছিল। কিন্তু এই বিষয়ে একটি পৃথক শক্ত রেজ্যুলেশন গ্রহণ করার ব্যাপারে এবার ওআইসির সবাই একমত হয়েছেন। ঢাকা আশা করছে আজ মন্ত্রী, সচিবসহ কর্মকর্তারা কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুতদের অবস্থা সরজমিন দেখার পর এ বিষয়ে আরো জোরালো পদক্ষেপের সুপারিশ থাকবে তাদের।
উল্লেখ্য, যুগ যুগ ধরে রাখাইনে বর্বরতার শিকার রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল চেষ্টায় এবার নিরীহ নারী-পুরুষ ও নিষ্পাপ শিশুদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসররা বাছ-বিচারহীনভাবে গণহত্যা, গুলি ও গণধর্ষণের মতো আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে ৩-৪ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এখানে আশ্রয় নিলেও গত ২৫শে আগস্টের পর থেকে ৩ মাসে এসেছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এখনো আসা অব্যাহত রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় ফেরাতে গত ডিসেম্বরেই মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ ধরে রাখতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গেও কাজ করছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গেল সপ্তাহেই বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা। স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যের দূতসহ ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ঘুরেছেন। তারা ক্যাম্প এবং নো-ম্যান্সল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখে তাদের ওপর বয়ে যাওয়া বর্মী বর্বরতার ঘটনাগুলো শুনেছেন। নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের নজিরবিহীন এ সফরকে ঢাকাইয়া কূটনীতির বড় অর্জন হিসেবে দেখা হলেও পূঞ্জীভূত রোহিঙ্গা সংকটের চটজলদি বা দ্রুত কোনো সমাধান যে আসছে না সেটি খোদ নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিরাই স্পষ্ট করে গেছেন। তাদের মতে, এ সংকটের ‘ম্যাজিক সলিউশন’ বা জাদুকরী কোনো সমাধান নেই। বহুপক্ষীয় উদ্যোগের চেয়ে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নেই জোর দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। বাংলাদেশ অবশ্য দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও জোরালো পদক্ষেপ চেয়েছে। তাতে পশ্চিমা দুনিয়া তো আছেই- চীন, রাশিয়া, ভারত ও জাপানের আরো ভূমিকা প্রত্যাশা করে ঢাকা।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে- ওআইসি’র কাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা সম্মেলনে সংস্থাটির সংস্কার এবং ওআইসির নিজস্ব কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টার খোলার বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হতে পারে।’ এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানান, তুরস্কের পক্ষ থেকে সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মেডিয়েশন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং খোলার প্রস্তাব করলে এটি নিয়ে ওআইসির সিনিয়র অফিসিয়াল বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং আমরা আশা করছি এবারের মন্ত্রীদের বৈঠকে এটি অনুমোদিত হবে। কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের অনুমোদন পাওয়া গেলে কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের মধ্যে একাধিক দেশ আছে যাদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত আছে এবং এ ধরনের একটি কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মেডিয়েশন সেন্টার এই সংঘাতকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।’ ওআইসির সংস্কার প্রস্তাব প্রশ্নে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার আভাস দিয়ে অন্য এক কর্মকর্তা বলেন- পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে এখন সবাই এ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। ওআইসি কী করছে এবং ভবিষ্যতে আরো কী করা উচিত তা নিয়ে আলোচনা হবে। কর্মকর্তারা জানান, এবারের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা বিষয়ে তিন পাতার একটি রেজ্যুলেশন গ্রহণ করা হবে যেখানে এর বিস্তারিত বর্ণনা থাকছে এবং সামনের দিনগুলোতে ওআইসি এ বিষয়ে কী ভূমিকা রাখবে সে বিষয়েও নির্দেশনা থাকবে। গত তিনটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এবং শেষ কায়রো শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত প্যারা সংযুক্ত করতে বাংলাদেশের বেগ পেতে হয়েছে। এমনকি কয়েকটি দেশের চরম বিরোধিতার কারণে সেখানে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার নিয়েও আপত্তি ছিল। কিন্তু এই বিষয়ে একটি পৃথক শক্ত রেজ্যুলেশন গ্রহণ করার ব্যাপারে এবার ওআইসির সবাই একমত হয়েছেন। ঢাকা আশা করছে আজ মন্ত্রী, সচিবসহ কর্মকর্তারা কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুতদের অবস্থা সরজমিন দেখার পর এ বিষয়ে আরো জোরালো পদক্ষেপের সুপারিশ থাকবে তাদের।
উল্লেখ্য, যুগ যুগ ধরে রাখাইনে বর্বরতার শিকার রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল চেষ্টায় এবার নিরীহ নারী-পুরুষ ও নিষ্পাপ শিশুদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসররা বাছ-বিচারহীনভাবে গণহত্যা, গুলি ও গণধর্ষণের মতো আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে ৩-৪ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এখানে আশ্রয় নিলেও গত ২৫শে আগস্টের পর থেকে ৩ মাসে এসেছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এখনো আসা অব্যাহত রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় ফেরাতে গত ডিসেম্বরেই মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ ধরে রাখতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গেও কাজ করছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গেল সপ্তাহেই বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা। স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যের দূতসহ ৪০ সদস্যের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ঘুরেছেন। তারা ক্যাম্প এবং নো-ম্যান্সল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখে তাদের ওপর বয়ে যাওয়া বর্মী বর্বরতার ঘটনাগুলো শুনেছেন। নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের নজিরবিহীন এ সফরকে ঢাকাইয়া কূটনীতির বড় অর্জন হিসেবে দেখা হলেও পূঞ্জীভূত রোহিঙ্গা সংকটের চটজলদি বা দ্রুত কোনো সমাধান যে আসছে না সেটি খোদ নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিরাই স্পষ্ট করে গেছেন। তাদের মতে, এ সংকটের ‘ম্যাজিক সলিউশন’ বা জাদুকরী কোনো সমাধান নেই। বহুপক্ষীয় উদ্যোগের চেয়ে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নেই জোর দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। বাংলাদেশ অবশ্য দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও জোরালো পদক্ষেপ চেয়েছে। তাতে পশ্চিমা দুনিয়া তো আছেই- চীন, রাশিয়া, ভারত ও জাপানের আরো ভূমিকা প্রত্যাশা করে ঢাকা।
No comments