উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত গণতন্ত্র অপরিহার্য
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার আয়োজিত (আইজিসি) এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে বিশ্বের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, তার একটি হচ্ছে সুষ্ঠু ও কার্যকর গণতন্ত্র। এ গণতন্ত্র মানে শুধু মেয়াদ শেষের নির্বাচন নয়, সব অধিকার সমুন্নত রাখা। তিনি বলেন, শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নত গণতন্ত্রও অপরিহার্য। উন্নত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সহিংস জঙ্গিবাদ দমনের মতো চ্যালেঞ্জগুলো দূর করার ওপরও জোর দেন তিনি (প্রথম আলো, ২৮ এপ্রিল)। এটা ঠিক, এসব বিষয়ে বিশ্বে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তিনি তার বক্তব্য রেখেছেন, তবে বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন ক্যামেরন তার বক্তব্য রাখছিলেন, তখন এসব বিষয়ে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিও যে তার মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল, তা অনেকটা জোর দিয়েই বলা যায়। রাষ্ট্রব্যবস্থায় উন্নত গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হল জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব মানুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা; যে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ কর্মসূচি পালনের পরিবেশ বজায় থাকা, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের পূর্ণ স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে অনেক গণতান্ত্রিক দেশে এর অনেক শর্তই অনুপস্থিত। যে দেশের এক মহান প্রেসিডেন্ট স্বল্প কথায় গণতন্ত্রের সর্বোৎকৃষ্ট সংজ্ঞা দিয়ে গেছেন, সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। উন্নত গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত সহঅবস্থানের নীতির প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে সেখানে ‘ইসলামী জঙ্গিবাদের’ ধোঁয়া তুলে মুসলমানদের নানাভাবে হয়রান করা হচ্ছে। ইউরোপের দেশে দেশে কর্মস্থলে মুসলমান মেয়েদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার নেহেরু-ইন্দিরা গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ক্ষমতাসীন দল। মুসলমানদের তাদের ধর্মমত অনুসারে খাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গরুর মাংস খাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন মুসলমানকে ইতিমধ্যে জীবন দিতে হয়েছে। ভারতে মুসলমানদের মৃতদেহ কবর দেয়ার পরিবর্তে দাহ করার হুমকি দিয়েছেন শাসক দলের এক সংসদ সদস্য। মিয়ানমারে শত শত বছর ধরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে, তাদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন চালানোসহ তাদের জোরপূর্বক দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, মিয়ানমারে সামরিক জান্তার শাসনামলে শুরু হওয়া এসব অন্যায় অত্যাচারের কোনো প্রতিকার ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারও করছে না। ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনিরা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রে উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছে। আর যারা মাটি কামড়ে পড়ে আছে, তারা ইসরাইলি বর্বরতার শিকার হয়ে সর্বদা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বসবাস করছে। এবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন ও উন্নত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন জনগণ দেখেছিলেন, তাদের সেই স্বপ্ন স্বাধীনতার সাড়ে চার দশকেও পূরণ হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশ বাস্তব রূপ পরিগ্রহের পর তিন বছর পার হতে না হতেই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের জায়গায় প্রতিষ্ঠা করে একদলীয় রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর প্রায় এক যুগ দু’জন সেনাপ্রধান পরপর সামরিক ও বেসামরিক পোশাকে দেশ শাসন করেন। সামরিক শক্তির প্রতাপের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে গণতন্ত্র। নব্বইয়ের দশকের প্রথমদিকে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র পুনর্বহাল হলে এবং চতুর্থ সংশোধনীতে হৃত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেলে জনগণ গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ব্যাপারে আশান্বিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। বড় দু’দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘাতমূলক রাজনীতির কারণে ১৯৯১-২০১৩ সময়কালে তাদের প্রায় পালাক্রমিক শাসনামলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় গণপ্রত্যাশার কেন্দ্রস্থল জাতীয় সংসদ বহুলাংশে অকার্যকর থেকে যায়। জাতীয় সংসদের অকার্যকারিতা এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সহিংস রাজনীতি গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটসহ নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে ২৮টি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানালেও সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অটল থাকে। প্রায় একদলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন পেয়ে জয়লাভ করে আবার সরকার গঠন করে।
এটা অনস্বীকার্য, বিগত প্রায় সাড়ে আট বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে বেশ কয়েকটি বৃহৎ আকারের ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা এর আগের সরকারগুলোর কাছে তেমন গুরুত্ব পায়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এমআরটি), পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোলফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। তাছাড়া বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ, সড়কপথে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও দ্রুত গতিসম্পন্ন করতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের যানজটপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল অংশকে চার লেনে উন্নীতকরণ, এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং ঢাকা মহানগরীর অসহনীয় যানজট নিরসনে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অগ্রগতি সাধিত হয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন খাতগুলোতে। আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য চাল উৎপাদনে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। কমেছে দারিদ্র্যের হার, যদিও সরকারি হিসাবে এখনও চার কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিস্তারে অনেকটা সাফল্য এসেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত (২০০৯-১৩) মেয়াদে এবং চলতি মেয়াদের সাড়ে তিন বছরে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হলেও জনগণের বহু কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ২৮টি দল ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করায় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের ১৫৩টিতে সরকারি ও তাদের সহযোগী গুটিকয়েক দল সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্যপদ লাভ করেন। বিশ্বে গণতন্ত্রের ইতিহাসে পার্লামেন্টের মোট সদস্যের অর্ধেকের বেশি সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বি^তায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো নজির নেই। ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের পর ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পচে গেছে’ বলে বিদেশের কোনো কোনো পত্রিকায় মন্তব্য করা হয়। ৭ জানুয়ারি (২০১৪) দেশে একটি দৈনিকের (মানবজমিন) প্রধান শিরোনাম ছিল ‘জিতেছে আওয়ামী লীগ, হেরেছে গণতন্ত্র’। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যে কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রয়েছে। আমাদের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
সরকারি দল আওয়ামী লীগ সারা দেশে যেখানে ইচ্ছা সেখানে মহাসমাবেশ, সমাবেশ করলেও মাঠে বিরোধী দল বিএনপিকে রাজধানীতে কোথাও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এতে গণতন্ত্র বিকাশের পথ দুর্গম হয়ে উঠছে। ‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র’-এ তত্ত্বে বিশ্বাসী হয়ে ওঠার মাধ্যমে শাসক দল আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের পথকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ অবস্থা অবলোকন করেই হয়তো যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে বলতে হয়েছে, ‘শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নত গণতন্ত্রও অপরিহার্য।’ আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের বিগত মেয়াদে (২০০৯-২০১৩) গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সূচনা হয়। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পালিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকার এ জঘন্য অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার করছে বলে প্রকাশ্য অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদন অনুসারে ৩ বছরে গুম হয়েছেন ১৯৬ জন। আর মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালের শুরু থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গুম হয়েছেন ৩৪ জন। এ হিসাবে ৪ বছরে গুম হয়েছেন ২৩০ জন। বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছেই। দেশের খোদ প্রধান বিচারপতি তাই বলেছেন, দেশে পূর্ণ আইনের শাসন নেই। ডেভিড ক্যামেরনও তাই রুটিন নির্বাচনের সঙ্গে ‘সব অধিকার সমুন্নত রাখা’র ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ প্রথমবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। পরবর্তী চার বছর বিএনপি আমলে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রকাশিত দুর্নীতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে পাঁচ বছর বিশ্বে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তকমা পায়। বর্তমানে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে শীর্ষস্থানে না থাকলেও সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর কাতারে রয়েছে। দেশে দুর্নীতি কী ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বিভিন্ন সার্ভেসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া যায়। সম্প্রতি ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার বা ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রায় দুই অর্থবছরের বাজেট তৈরি করতে পারতেন। সবশেষে যা বলতে চাই তা হল, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র যে হাত ধরাধরি করে চলতে পারে সে শিক্ষা উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে নিতে হবে। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচন দশম সংসদ নির্বাচনের কলঙ্ক মুছে ফেলুক। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাতারে শামিল হোক।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com
No comments