আশুলিয়ায় গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
আশুলিয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে মানছুরা আক্তার লিপি নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী শাকিল মিজি পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুরগাঁও নতুনপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত গৃহবধূ জামগড়া চিত্রশাইল এলাকার হাজী মো. মনছুর আলীর মেয়ে। পলাতক স্বামী শাকিল মিজি কুরগাঁও এলাকার নজরুল ইসলাম মিজির ছেলে। নিহতের বাবা মনছুর আলীর অভিযোগ, চার বছর আগে মেয়ে লিপির সঙ্গে শাকিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তবে শাকিল নিজের পায়ে দাঁড়াবে এমন অজুহাতে লিপিকে নিজের বাসায় রাখত না। মাঝেমধ্যেই টেলিভিশন, ফ্রিজ ও নানা আসবাবপত্রসহ ব্যবসার জন্য যৌতুক দাবি করতো শাকিল। বিভিন্ন সময় তা পূরণ করাও হয়েছিল। কয়েক মাস আগে লিপি এক প্রকার জোরপূর্বক শাকিলের বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকে শাকিল ব্যবসার টাকার জন্য নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতো লিপির ওপর।
সর্বশেষ দেড় লাখ টাকার জন্য মঙ্গলবার রাতে শাকিল ও তার পরিবার লিপিকে মারধর করে। পরে ওই রাতেই শাকিলের পরিবার মোবাইলফোনে লিপি অসুস্থ বলে তাদের জানায়। ফোন পেয়ে তারা লিপিকে দেখতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার পর দড়ি দিয়ে লিপিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। আর এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে শাকিল। নিহত লিপির পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া গার্মেন্ট শ্রমিক মঞ্জু বেগম জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন কারণে শাকিল তার স্ত্রী লিপিকে মারধর করতো। মঙ্গলবার রাতেও লিপিকে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান জানান, নিহতের স্বজনদের খবরে কুরগাঁও এলাকায় নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে। পলাতক শাকিলকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসআই।
No comments