জনসমক্ষে ধূমপান
জনসমক্ষে
ধূমপান নিষিদ্ধ করে জরিমানার বিধান করা হলেও আইনের প্রয়োগ খুবই কম। এ
বিষয়ে সচেতনতার হার বাড়ানোও জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত, থানাসহ
সর্বত্রই লোকজনকে ধূমপান করতে দেখা যায়৷ এমনকি আইন কার্যকরের দায়িত্ব
যাঁদের ওপর, সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কখনো কখনো
দায়িত্বরত অবস্থায় জনসমক্ষে ধূমপান করেন। ধূমপান ক্ষতিকর জেনেও অনেকে
ধূমপান করেন। কিন্তু যঁারা ধূমপান করেন না, তাঁদের কাছে ধূমপানের ধোঁয়া খুব
বিরক্তিকর। কিন্তু যানবাহন ও রাস্তাঘাটে অধূমপায়ীদের এ বিরক্তিকর
পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। ধূমপায়ীরা ভাবে না যে তাঁর পাশের ব্যক্তির
কষ্ট হচ্ছে। তিনি বিরক্ত বোধ করছেন। অনেক সময় জনসমক্ষে মানুষকে ধূমপানে
নিষেধ করা হলে উল্টো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। গবেষণায় দেখা
গেছে, সিগারেটে নিকোটিনসহ ৫৬টি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে। ২০১০ সালে
প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বের ১৯২টি দেশে পরিচালিত
একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিজে ধূমপান না করলেও অন্যের ধূমপানের
(পরোক্ষ ধূমপান) প্রভাবে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ছয় লাখ মানুষ মারা
যায়। এর মধ্যে শিশুই হচ্ছে ১ লাখ ৬৫ হাজার। ফলে যাঁরা জেনেশুনে নিজের ক্ষতি
করতে চান করুন, কিন্তু তাঁরা যেন অন্যদের ক্ষতি না করেন, তাঁদের কাছে এটাই
অনুরোধ।
No comments