অটিস্টিকদের সুরক্ষায় মডেল হতে পারে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের অটিজমবিষয়ক পরামর্শক কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন
বলেছেন, বিশ্বব্যাপী অটিস্টিক ও অন্য মানসিক প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার
রক্ষা এবং জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সৃষ্টিশীল, সুলভ ও টেকসই
পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা ও সুদৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা
থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় গত
শুক্রবার বিকেলে ‘অটিজম মোকাবিলা: এসডিজির আলোকে বিশ্বসম্প্রদায়ের কৌশল’
শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সায়মা ওয়াজেদ এসব
কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ মানসিক
স্বাস্থ্যবিষয়ক ডব্লিউএইচও এক্সপার্ট অ্যাডভাইজরি প্যানেলেরও সদস্য। সায়মা
ওয়াজেদ বলেন, অটিস্টিক ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সাত বছর ধরে একটি
বহুমুখী ও বহুপক্ষীয় মডেল বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে লক্ষ্য অর্জনে অনেক
অগ্রগতি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) আলোকে অটিজম মোকাবিলায়
বিশ্ব কৌশল গ্রহণে বাংলাদেশের এই অনন্য মডেল অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬’ উদ্যাপন উপলক্ষে জাতিসংঘের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের
অংশ হিসেবে বাংলাদেশ, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও
‘অটিজম স্পিকস’ যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে। এটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘে
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি
আলিয়া আল-থানি। বৈঠকে মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল আলোচনায় ডব্লিউএইচওর
প্রতিনিধি বারনার ওবেরমেয়ের, জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডেভিড
নাবাবরো, উইনকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মরিন ডারকিন প্রমুখ
অংশ নেন। বক্তারা দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বজুড়ে বিশেষত বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ে
ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি এবং অটিস্টিকদের অধিকার রক্ষায় অনন্য সাফল্য অর্জন
করায় সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে সকালে
জাতিসংঘের উদ্বোধনী অধিবেশনেও অংশ নেন সায়মা ওয়াজেদ।
No comments