পাবনায় উদ্ধার মাদ্রাসাছাত্রের লাশ
কুমিল্লায়
নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ গতকাল শনিবার সেপটিক
ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই দিন পাবনায় মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা
হয়েছে ছয় দিন নিখোঁজ থাকা এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ। দ্বিতীয় ঘটনায় হত্যায়
জড়িত সন্দেহে নিহত ব্যক্তির স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। কুমিল্লায় লাশ উদ্ধার
হওয়া শিশুর নাম মো. ইব্রাহিম হোসেন (৭)। সে বরুড়া উপজেলার শাকপুর প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত
বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে শাকপুর গ্রামের কুরগাইর বাড়ির বাসিন্দা আবুল
কাশেম ও শিরিন আক্তারের ছেলে ইব্রাহিম বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এরপর সে
নিখোঁজ হয়। পরে এলাকায় মাইকিং করা হয়। না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে গত
শুক্রবার বরুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। গতকাল বেলা দুইটায়
শিশুটির স্বজন প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন তাঁর
স্ত্রী হোসনে আরা। এ সময় হোসনে আরা দেখেন, বাড়ির পাশে একটি সেপটিক ট্যাংকে
শিশুটির লাশ পড়ে আছে। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। বরুড়া থানার
পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। শিশুটির গলায় বৈদ্যুতিক তার দিয়ে প্যাঁচানোর
দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমতিয়াজ
আহমেদ ও বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছেন। এদিকে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবরে সৌদি আরব থেকে গত শুক্রবার
রাতেই বাড়িতে আসেন আবুল কাশেম। এরপর থেকেই ছেলেকে পেতে বিভিন্ন জায়গায়
খোঁজ করেন তিনি। তাঁর দাবি, শত্রুতাবশত কেউ ছেলেটিকে মেরে লাশ লুকিয়ে
রাখে। ওসি আসলাম সিকদার বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা
মামলা হবে। পাবনায় মাদ্রাসাছাত্রের লাশ: পাবনা সদর উপজেলার কামার গ্রাম
থেকে বিকেলে মনিরুজ্জামান মনির (২৭) নামে নিখোঁজ এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ
উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসার সম্মান তৃতীয় বর্ষের
ছাত্র। তাঁর বাড়ি চরতারাপুর ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া গ্রামে। পুলিশ ও পারিবারিক
সূত্রের ভাষ্য, নিহত মনিরের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে তারাবাড়িয়া
গ্রামে থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে (২২) বিয়ে করেন মাস খানেক
আগে। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। গত ২৭ মার্চ রাতে রাবেয়া
তাঁর বাড়িতে (কামার গ্রামে) মনিরকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে মনিরের কোনো
খোঁজ মিলছিল না। এ ঘটনায় মনিরের বাবা আবদুল মজিদ পাবনা সদর থানায় একটি জিডি
করেছিলেন। পরে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে রাবেয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তাঁর তথ্য অনুযায়ী বাড়ির পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
No comments