ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধে পাল্টাপাল্টি মামলা
ভাষানটেকের বদিউজ্জামান রোডে একটি
নির্মাণাধীন বাড়ি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে দুই পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি মামলা
হয়েছে। আবাসন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশ একটি
বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের
নির্দেশে কারাগারে নিয়ে যায়। কিন্তু কারাগারে যাওয়া যমুনা টেলিভিশনের
বার্তাকক্ষের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক এনামুল হকের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ
আবাসন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা মাসুদ রেজাসহ অন্য
আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি। নভাষানটেক থানার পুলিশ জানায়, ভাষানটেকে
সাংবাদিক এনামুলের শ্বশুর শওকত চৌধুরীর জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য আবাসন
প্রতিষ্ঠান রাইয়ান রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে চুক্তি হয়। কিন্তু শর্ত না মানায়
আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে
বিরোধ দেখা দেয়। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার সকালে আবাসন প্রতিষ্ঠানের লোকজন
সেখানে গেলে এনামুল, তাঁর ভাই আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং তাঁদের আত্মীয়
মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানের
কর্মচারী সবুজ মিয়াকে এনামুলের পক্ষের লোকজন ধাক্কা দিলে তিনি আহত হন। এতে
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রেজা এনামুলসহ অন্যদের আসামি করে মামলা করলে
পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে সাংবাদিক এনামুলের বাড়িতে ঢুকে
হামলা ও মালামাল লুটের অভিযোগ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ রেজা ও
অন্যদের বিরুদ্ধে রাতে মামলা করেন এনামুলের স্ত্রী তানিয়া চৌধুরী।
ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আবাসন
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জমির মালিকের বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের করা মামলা
আদালতে বিচারাধীন আছে। এ ছাড়া পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি জিডি করা
হয়েছে। এ নিয়ে সালিসি বৈঠকও হয়েছে।’ গতকাল শুক্রবার ওসি বলেন, এনামুলের
স্ত্রীর করা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হননি। গত বৃহস্পতিবার এনামুলের
স্ত্রী তানিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গত সপ্তাহে তাঁর সিজার হয়েছে। গত
বছর রাইয়ান রিয়েল এস্টেটের বাড়ি নির্মাণ সম্পন্ন করে বাড়ির মালিকদের
কাছে হস্তান্তরের কথা থাকলেও তারা তা করেনি। এ অবস্থায় তাঁরা কাজ সম্পন্ন
হওয়া চতুর্থ তলায় বসবাস শুরু করলে আবাসন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তানিয়া ও
এনামুলকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল সকালে আবাসন প্রতিষ্ঠানের ৬০-৬৫
অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাঁদের বাসায় ভাঙচুর করেন। এ সময় তানিয়ার ওপরও হামলা
চালায় অস্ত্রধারীরা।
জানতে চাইলে রাইয়ান রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা মাসুদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী এনামুল যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেটি আমার। ফ্ল্যাটটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিলেও এনামুল তা দখল করে রেখেছিলেন।’ তাঁর কোনো লোক হামলা বা ভাঙচুর করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
জানতে চাইলে রাইয়ান রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাওলানা মাসুদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী এনামুল যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেটি আমার। ফ্ল্যাটটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিলেও এনামুল তা দখল করে রেখেছিলেন।’ তাঁর কোনো লোক হামলা বা ভাঙচুর করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
No comments