আম্মু আমাকে মাফ করে দিও -শান্তার শেষ চিরকুট
মেয়েটি
কারো মন ভাঙতে চায়নি। নিজের দুঃখ নিজের ভেতর চাপা রেখেই চলে গেল পরপারে।
পরিবারের মা ছিলেন হর্তাকর্তা। মায়ের সম্মতি কোনোভাবেই পাবেন না তিনি,
সেটা বুঝেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে যেখানে ভালোবাসার কোনো স্বীকৃতির
প্রয়োজন হয় না। কটা দিন পর ভালোবাসা দিবস। এই দিবসের মাসটাকেই বেছে নিলো
আসমা পারভীন শান্তা (২২)। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির উপজেলা পৌর সদরের
হামজার টিলা এলাকার গোলাফ রহমানের কন্যা। শুক্রবার সকালে তার শয়ন কক্ষে
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার লাশ। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে
তার লাশ দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে চিরকুটে তার শেষ লেখা ছিল- ‘আম্মু আমাকে
মাফ করে দিও, আমি এগুলা কিছু করতে চাইনি। আমি শুধু আমার ভালোবাসার
মানুষটাকে কাছে পেতে চেয়েছি। আব্বুকে বলু (বল) আমাকে মাপ (মাফ) করে দিতে।
আল্লাহর কাছে বলু (বল) আমাকে মাপ (মাফ) করে দিতে। সবাইকে বলু (বল) আমাকে
মাপ (মাফ) করে দিতে। আমি যানি (জানি) কখনও আমার ভালোবাসার মানুষটাকে আমি
পাব না কারণ, তুমি মেনে নিবে না। আর তোমার মনেও আমি কষ্ট দিতে পারবো না।
আগেও দিতে পারিনি। আমার কথা ভেবে মন খারাপ করো না। তোমার আরও দুটা সন্তান
আছে। তাদের কথাও তোমাকে ভাবতে হবে। আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট দিও না।
প্লিজ, টাকাগুলা মসজিদে দিও।’ চিরকুটটিতে শান্তা তার ভালোবাসার মানুষটিকে
কষ্ট না দিতে অনুরোধ করলেও সেখানে প্রেমিকের নাম ঠিকানা উল্লেখ ছিল না।
মাত্র ৪৫ টাকা রাখা ছিল সেখানে, যা চিরকুটে মসজিদে দিয়ে দিতে উল্লেখ করেছিল
শান্তা। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য,
শান্তার ৬ বছর পূর্বে রাঙ্গামাটিয়ায় অপর একটি বিয়ে হয়েছিল। ওই বিয়ের
কিছুদিনের পরে বিচ্ছেদ ঘটায় সে বাপের বাড়িতে থাকতো। পরেই জড়িয়ে পড়েন নতুন
এক প্রেমে, যে প্রেম তাকে নিয়ে গেছে অচিনপুরে...
No comments