‘বাজেট বাড়ালে নাটকের সমস্যা অনেক কমে যাবে’
টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র, দুই মাধ্যমেই সমান আলোচিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। একসঙ্গে দুই জায়গায় নিয়মিত কাজও করছেন। কখনও নাটকে আবার কখনও চলচ্চিত্রে। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
কেমন আছেন? কেমন চলছে সব?
ভালো আছি। কাজ করছি নিয়মিত। শুটিং, বাসা আর সংসার সামলানোÑ এই তো দিন যাচ্ছে। এর মধ্যে ভালো যতটা থাকা যায়।
এখনকার ব্যস্ততা কি?
খ- নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কিছু কাজ করলাম। দারুণ উপভোগ করেছি কাজগুলো করতে গিয়ে। আশা করছি দর্শকের ভালো লাগবে।
নতুন করে ধারাবাহিকে অভিনয়ও শুরু করেছেন...
আফসানা মিমির পরিচালনায় ‘ডলস হাউস টু : সাতটি তারার তিমির’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। এছাড়া মুরাদ পারভেজের পরিচালনায় ‘রেডিও জকি ও কতিপয় গল্প’ ধারাবাহিকের কাজে হাত দিয়েছি। এর গল্প ভাবনা আমার।
ধারাবাহিকে তো মাঝে উপস্থিতি ছিলেন না অনেক দিন। কারণ কি?
টিভি নাটকে তো দুই বছর যাবৎ এভাবেই যাচ্ছে। কারণ, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। যখন সময় হাতে থাকে তখনই করি। এছাড়া ধারাবাহিকে তেমন কাজ করা হয় না। আসলে ব্যাপারটা হলো ধারাবাহিকে অভিনয় করতে হলে আমাকে সময় দিতে হয়। তাই খুব একটা কাজ ইচ্ছা থাকলেও করতে পারি না।
আপনার পছন্দের জায়গা কোনটি? খ- না ধারাবাহিক?
অভিনয় করাটা আমার কাজ। আর সেটা যে কোনো ধরনের নাটকেই হতে পারে। আমি অভিনেত্রী হিসেবে সব ধরনের নাটকেই কাজ করি। যেহেতু ধারাবাহিকে সময় বেশি দিতে হয় তাই এখানে কাজ কিছুটা কমিয়ে করি। কারণ, আমাকে টিভি নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও সময় দিতে হয়।
এখনকার নাটক নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
আসলে মূল্যায়ন করার মতো সময় বা পরিপক্বতা আমার হয়েছে কিনা জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এখন ভালো নাটক নির্মাণ হচ্ছে। অনেক ভালো গল্প আসছে। কিন্তু একটা কারণে দর্শক পর্যন্ত নাটক পৌঁছানো যাচ্ছে না।
কি কারণ সেটা?
মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন। এর কারণে নাটকের দর্শক বিরক্ত। নাটক দেখা ছেড়ে দিয়েছেন বললেই চলে। বিদেশি চ্যানেলনির্ভর হচ্ছেন তারা। অবশ্য বিজ্ঞাপন না প্রচার হলে আবার চ্যানেলও অচল হয়ে যাবে। সবদিকেই সমস্যা। অবশ্য এ সমস্যার সমাধান আসতে পারে ভালো বাজেটের মাধ্যমে। নাটকে বাজেট বাড়ালে সমস্যা অনেক কমে যাবে।
নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করছেন...
এ ছবিতে আমাকে অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে। সে সঙ্গে একটি গানের দৃশ্যেও দর্শক দেখবেন আমাকে। এটি আসলে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। তবে আমাকে তো নায়িকা হিসেবে অনেক ছবিতেই দর্শক দেখেছেন। এবার না হয় ভিন্নভাবে তাদের সামনে আসি। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা বলতে পারেন।
কলকাতার একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। সেটার কি খবর?
‘ষড়ঋপু’ নামের ওই ছবিটিই কলকাতায় আমার প্রথম কাজ। এটি জীবনের অন্য আরেক অধ্যায় বলতে পারেন। কলকাতার এ ছবিটিতে কাজ করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। নির্মাতা, সহশিল্পী, সর্বোপরি পুরো শুটিং ইউনিট আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছে। এর নতুন খবর হলো আগামী এপ্রিলে ছবিটি মুক্তি পাবে। তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে মুক্তির সব প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে।
‘দৌড়’ ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে কবে?
ছবিটির কাজ শিগগিরই শুরুর কথা রয়েছে। সহশিল্পী থেকে শুরু করে আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে। শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। আমি ছাড়াও ঢাকাই ছবির অন্যতম নায়ক শাকিব খান, নায়িকা অপু বিশ্বাস ও কলকাতার ইন্দ্রনীল ছবিটিতে অভিনয় করবেন।
কাজের বাইরে অবসরটা কাটে কীভাবে?
আমরা যারা শোবিজে কাজ করি কেউই তো ফ্রি টাইম পাই না। তবে এর মধ্যে যতটুকু সময় হয় মুভি দেখি, বই পড়ি। আর মাঝে মাঝে ফেসবুক তো আছেই। এছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও দিই কোনো কোনো সময়।
আপনার চলার পথে স্বামী মুরাদ পারভেজের অবদান কতটুকু?
মুরাদের সঙ্গে আমার বাস্তব জীবনের কেমেস্ট্রিটা যেমন, কাজের ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই আলাদা। কাজের জন্য তার কাছে কোনো ছাড় নেই। আর অনুপ্রেরণার কথা? সেটা শতভাগ। আমার ক্যারিয়ারে তার অনুপ্রেরণার কারণে এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে। আমি কোনো কাজে সাহস না পেলে মুরাদ তা জুগিয়েছে।
কেমন আছেন? কেমন চলছে সব?
ভালো আছি। কাজ করছি নিয়মিত। শুটিং, বাসা আর সংসার সামলানোÑ এই তো দিন যাচ্ছে। এর মধ্যে ভালো যতটা থাকা যায়।
এখনকার ব্যস্ততা কি?
খ- নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কিছু কাজ করলাম। দারুণ উপভোগ করেছি কাজগুলো করতে গিয়ে। আশা করছি দর্শকের ভালো লাগবে।
নতুন করে ধারাবাহিকে অভিনয়ও শুরু করেছেন...
আফসানা মিমির পরিচালনায় ‘ডলস হাউস টু : সাতটি তারার তিমির’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। এছাড়া মুরাদ পারভেজের পরিচালনায় ‘রেডিও জকি ও কতিপয় গল্প’ ধারাবাহিকের কাজে হাত দিয়েছি। এর গল্প ভাবনা আমার।
ধারাবাহিকে তো মাঝে উপস্থিতি ছিলেন না অনেক দিন। কারণ কি?
টিভি নাটকে তো দুই বছর যাবৎ এভাবেই যাচ্ছে। কারণ, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। যখন সময় হাতে থাকে তখনই করি। এছাড়া ধারাবাহিকে তেমন কাজ করা হয় না। আসলে ব্যাপারটা হলো ধারাবাহিকে অভিনয় করতে হলে আমাকে সময় দিতে হয়। তাই খুব একটা কাজ ইচ্ছা থাকলেও করতে পারি না।
আপনার পছন্দের জায়গা কোনটি? খ- না ধারাবাহিক?
অভিনয় করাটা আমার কাজ। আর সেটা যে কোনো ধরনের নাটকেই হতে পারে। আমি অভিনেত্রী হিসেবে সব ধরনের নাটকেই কাজ করি। যেহেতু ধারাবাহিকে সময় বেশি দিতে হয় তাই এখানে কাজ কিছুটা কমিয়ে করি। কারণ, আমাকে টিভি নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও সময় দিতে হয়।
এখনকার নাটক নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
আসলে মূল্যায়ন করার মতো সময় বা পরিপক্বতা আমার হয়েছে কিনা জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এখন ভালো নাটক নির্মাণ হচ্ছে। অনেক ভালো গল্প আসছে। কিন্তু একটা কারণে দর্শক পর্যন্ত নাটক পৌঁছানো যাচ্ছে না।
কি কারণ সেটা?
মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন। এর কারণে নাটকের দর্শক বিরক্ত। নাটক দেখা ছেড়ে দিয়েছেন বললেই চলে। বিদেশি চ্যানেলনির্ভর হচ্ছেন তারা। অবশ্য বিজ্ঞাপন না প্রচার হলে আবার চ্যানেলও অচল হয়ে যাবে। সবদিকেই সমস্যা। অবশ্য এ সমস্যার সমাধান আসতে পারে ভালো বাজেটের মাধ্যমে। নাটকে বাজেট বাড়ালে সমস্যা অনেক কমে যাবে।
নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করছেন...
এ ছবিতে আমাকে অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে। সে সঙ্গে একটি গানের দৃশ্যেও দর্শক দেখবেন আমাকে। এটি আসলে শিশুতোষ চলচ্চিত্র। তবে আমাকে তো নায়িকা হিসেবে অনেক ছবিতেই দর্শক দেখেছেন। এবার না হয় ভিন্নভাবে তাদের সামনে আসি। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা বলতে পারেন।
কলকাতার একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। সেটার কি খবর?
‘ষড়ঋপু’ নামের ওই ছবিটিই কলকাতায় আমার প্রথম কাজ। এটি জীবনের অন্য আরেক অধ্যায় বলতে পারেন। কলকাতার এ ছবিটিতে কাজ করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। নির্মাতা, সহশিল্পী, সর্বোপরি পুরো শুটিং ইউনিট আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছে। এর নতুন খবর হলো আগামী এপ্রিলে ছবিটি মুক্তি পাবে। তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে মুক্তির সব প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে।
‘দৌড়’ ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে কবে?
ছবিটির কাজ শিগগিরই শুরুর কথা রয়েছে। সহশিল্পী থেকে শুরু করে আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেছে। শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। আমি ছাড়াও ঢাকাই ছবির অন্যতম নায়ক শাকিব খান, নায়িকা অপু বিশ্বাস ও কলকাতার ইন্দ্রনীল ছবিটিতে অভিনয় করবেন।
কাজের বাইরে অবসরটা কাটে কীভাবে?
আমরা যারা শোবিজে কাজ করি কেউই তো ফ্রি টাইম পাই না। তবে এর মধ্যে যতটুকু সময় হয় মুভি দেখি, বই পড়ি। আর মাঝে মাঝে ফেসবুক তো আছেই। এছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও দিই কোনো কোনো সময়।
আপনার চলার পথে স্বামী মুরাদ পারভেজের অবদান কতটুকু?
মুরাদের সঙ্গে আমার বাস্তব জীবনের কেমেস্ট্রিটা যেমন, কাজের ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই আলাদা। কাজের জন্য তার কাছে কোনো ছাড় নেই। আর অনুপ্রেরণার কথা? সেটা শতভাগ। আমার ক্যারিয়ারে তার অনুপ্রেরণার কারণে এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে। আমি কোনো কাজে সাহস না পেলে মুরাদ তা জুগিয়েছে।
No comments