সব উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দিন -প্রকৌশলীদের প্রধানমন্ত্রী
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণে প্রকৌশলীদের আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে সব উপজেলায় সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প গ্রহণের সময় অর্থ অপচয় বন্ধ করে সেবার মান বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। গতকাল সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৬তম কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুরের পরিচালনায় কনভেনশন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইবি’র সভাপতি মো. কবির আহমেদ ভূঞা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো প্রকল্প টেকসই, সাশ্রয়ী, আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও পরিবেশসম্মতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের উন্নয়ন কাজ খুব প্ল্যানওয়েতে হওয়া উচিত। বিদ্যুৎ, রাস্তা, পয়ঃনিষ্কাশন সবকিছু এমন পরিকল্পিতভাবে করা উচিত যাতে জমি যেন নষ্ট না হয়, আর অল্প খরচে যেন করা যায়। তিনি বলেন, শুধু খরচ বাড়ানোর জন্য নয়, প্রকল্প যাতে অর্থ সাশ্রয়ী হয়, সাধারণের উপকারে আসে এবং মানুষের যেন কষ্ট না হয়, মানুষ যেন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেভাবে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণের আগেই সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রকল্পের ভালো-মন্দ বিবেচনা করে দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় কোনো কাজে বেশি আদিখ্যেতা না দেখাতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জায়গা বলে বেশি করে ঢেলে দাও- এই আদিখ্যেতাটা ভালো নয়। প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় যা কিছু করতে হবে একটু বেশি বেশি করতে হবে-এই চিন্তাটা পরিহার করতে হবে। সকল উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের এক নম্বর সদস্য। তাছাড়া আমি একজন এমপিও। তাই নিজের এলাকায় আমার দায়িত্ব আমি পালন করি। সেখানে আমাকে খুশি করতে আলাদা করে কোনো প্রকল্প নেয়ার দরকার নেই। শেখ হাসিনা আরও বলেন, এক সময় কিছুই পেতাম না। সারাজীবন বঞ্চিত ছিলাম। আর এখন পাওয়ার ধাক্কা সামাল দিতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি সবাইকে মানা করছি, এত লাগবে না। যেটুকু লাগবে সেটুকু করতে হবে। সবাই দাবি করেন। আমারও কিছু দাবি আছে। আপনারা দেশের জন্য কাজ করুন।
প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত করা সহজ কথা নয়। আমাদের লক্ষ্য, প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে উন্নীত করা। নির্ধারিত সময়েই তা অর্জন করবো। এ জন্য যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। কম খরচে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা না করে কমানোর পরিকল্পনা করার জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী করে অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে চাই। আর এই উন্নয়নের চাবিকাঠি প্রকৌশলীদের হাতে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের অবদান রয়েছে, আপনাদের ওপর নির্ভর করে উন্নয়ন, আপনাদের ওপর নির্ভর করে একটা প্রকল্প কত দ্রুত শেষ হবে। এ দেশ আমাদের। দেশের নদী-নালা, খাল-বিল সব আমাদের চেনা। বাইরে থেকে লোক এসে আমাদের সমস্যা কতটুকু বুঝবে?
সম্পদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডে প্রকৌশলীরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, মিল-কারখানা সবকিছুর নির্মাণ ও স্থাপনের সঙ্গে আপনারা সম্পৃক্ত। পাশাপাশি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ এবং পানি সরবরাহের মত সেবাধর্মী সকল কাজও আপনারাই সম্পাদন করে থাকেন। তাই প্রকৌশলীদের কর্মদক্ষতা এবং আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে দেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আইইবি স্বর্ণপদক-২০১৫ প্রদান করেন। প্রকৌশলী শিল্পে উৎকর্ষ সাধনের স্বীকৃতিস্বরূপ আইইবি স্বর্ণপদক- ২০১৫ পেয়েছেন যৌথভাবে প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. আ ম ম শফিউল্লাহ এবং আইইবি’র সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা।
শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো প্রকল্প টেকসই, সাশ্রয়ী, আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও পরিবেশসম্মতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের উন্নয়ন কাজ খুব প্ল্যানওয়েতে হওয়া উচিত। বিদ্যুৎ, রাস্তা, পয়ঃনিষ্কাশন সবকিছু এমন পরিকল্পিতভাবে করা উচিত যাতে জমি যেন নষ্ট না হয়, আর অল্প খরচে যেন করা যায়। তিনি বলেন, শুধু খরচ বাড়ানোর জন্য নয়, প্রকল্প যাতে অর্থ সাশ্রয়ী হয়, সাধারণের উপকারে আসে এবং মানুষের যেন কষ্ট না হয়, মানুষ যেন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেভাবে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প গ্রহণের আগেই সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রকল্পের ভালো-মন্দ বিবেচনা করে দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় কোনো কাজে বেশি আদিখ্যেতা না দেখাতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জায়গা বলে বেশি করে ঢেলে দাও- এই আদিখ্যেতাটা ভালো নয়। প্রধানমন্ত্রীর এলাকায় যা কিছু করতে হবে একটু বেশি বেশি করতে হবে-এই চিন্তাটা পরিহার করতে হবে। সকল উপজেলাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের এক নম্বর সদস্য। তাছাড়া আমি একজন এমপিও। তাই নিজের এলাকায় আমার দায়িত্ব আমি পালন করি। সেখানে আমাকে খুশি করতে আলাদা করে কোনো প্রকল্প নেয়ার দরকার নেই। শেখ হাসিনা আরও বলেন, এক সময় কিছুই পেতাম না। সারাজীবন বঞ্চিত ছিলাম। আর এখন পাওয়ার ধাক্কা সামাল দিতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি সবাইকে মানা করছি, এত লাগবে না। যেটুকু লাগবে সেটুকু করতে হবে। সবাই দাবি করেন। আমারও কিছু দাবি আছে। আপনারা দেশের জন্য কাজ করুন।
প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত করা সহজ কথা নয়। আমাদের লক্ষ্য, প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে উন্নীত করা। নির্ধারিত সময়েই তা অর্জন করবো। এ জন্য যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। কম খরচে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা না করে কমানোর পরিকল্পনা করার জন্য প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী করে অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে চাই। আর এই উন্নয়নের চাবিকাঠি প্রকৌশলীদের হাতে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের অবদান রয়েছে, আপনাদের ওপর নির্ভর করে উন্নয়ন, আপনাদের ওপর নির্ভর করে একটা প্রকল্প কত দ্রুত শেষ হবে। এ দেশ আমাদের। দেশের নদী-নালা, খাল-বিল সব আমাদের চেনা। বাইরে থেকে লোক এসে আমাদের সমস্যা কতটুকু বুঝবে?
সম্পদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং উৎপাদন কর্মকাণ্ডে প্রকৌশলীরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, মিল-কারখানা সবকিছুর নির্মাণ ও স্থাপনের সঙ্গে আপনারা সম্পৃক্ত। পাশাপাশি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ এবং পানি সরবরাহের মত সেবাধর্মী সকল কাজও আপনারাই সম্পাদন করে থাকেন। তাই প্রকৌশলীদের কর্মদক্ষতা এবং আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে দেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আইইবি স্বর্ণপদক-২০১৫ প্রদান করেন। প্রকৌশলী শিল্পে উৎকর্ষ সাধনের স্বীকৃতিস্বরূপ আইইবি স্বর্ণপদক- ২০১৫ পেয়েছেন যৌথভাবে প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. আ ম ম শফিউল্লাহ এবং আইইবি’র সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা।
No comments