‘ক্রিকেট উজ্জ্বল দিগন্তে বাংলাদেশ’ by অধ্যাপক রায়হান আহমেদ
একটা ভালো খবর দিয়েই শুরু করি বর্তমান ক্রিকেট শিল্পের কথা। বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে তবে রক্তে কিন্তু তিনিই বাঙালি। আর এই বাংলার এই নারী খুব সম্ভবত ইংল্যান্ডের মেয়েদের ক্রিকেট দলের জার্সিও গায়ে চাপিয়ে ফেলবেন সেদিকেই হাঁটছেন তিনি। তিনি হলেন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মিকি চৌধুরী। বয়স মাত্র পনেরো আর এই বয়সে তিনি এসেক্সের মেয়েদের অনূর্ধ সতেরো দলের নেতৃত্ব পেয়ে গেলেন। তার বাবাও একজন ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তিনি নাকি জাতীয় দলে সুযোগ পাননি, তাই আশাও পুরণ হয়নি তবে তার সেই আশা তার মেয়েকে দিয়ে পুরণ করলেন। বৃটেন প্রবাসী আমাদের কমিউনিটির সকল অবিভাবকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা আপনাদের সন্তানদের কে খেলা ধুলার প্রতি মনোযোগি রাখতে সচেষ্ট থাকবেন। মনে রাখবেন খেলা ধুলায় মানুষকে সু পথ দেখায় এবংশরীর সুস্থ রাখতে সহায়ক ও বটে। এবার আমার জিজ্ঞাসা হচ্ছে ইংল্যান্ডে বৃটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্রিকেট নেতৃত্বে যারা কাজ করছেন বা আছেন তাদের মধ্যে থেকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ভুমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি না বিধায় আমাদের ছেলে মেয়েদের কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। আমার মনে হচ্ছে আমরা কোথায় যেন কিছু ভূল করছি যার কারণে আমাদের প্রজন্মরা বৃটেনের ক্রিকেট শিল্পে এগুতে পারছে না। আর তাই আমার আকুল আবেদন থাকবে এ নেতৃত্বে যারা নিয়োজিত আছেন তাদের কে আরও বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখার জন্য। বাংলাদেশে আমাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। বৃটিশ বাঙালিরা কেন পিছিয়ে থাকবে। অন্যদিকে টি টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাঙালি নারী ক্রিকেট টিম বিশাল ব্যাবধানে জিম্বাবুয়ে কে হারিয়ে বাঙালিদের মুখ উজ্জ্বল করার সাথে সাথে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনলো। তাহলে ব্যাটে বলের হিসাবে আমরা খুব বেশি দূর এগুতে না পারলেও অনেক টা দূর এগিয়ে এসেছি তা নির্ধিদায় বলতে পারি তাও আমাদের নারী ক্রিকেটেরা। আর টাইগারেরা তো আছেই একটার পর একটা জয় ছিনিয়ে আনছে। বিশেষ করে দুই হাজার পনেরোর ক্রিকেট পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে মনে হয় বিশ্ব সেরা ক্রিকেট নৈপুণ্যের দেশ বাংলাদেশ। বর্তমান ক্রিকেটের দিকে থাকালে মনে হয় বৃটিশ শাসনের যেন অবসান হয়নি। অবসান হয়নি পাকিস্তানি জান্তাদের নিরব তা-ব। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রিয়তম বাংলাদেশের অনাকাঙ্খিত হতাশ ও অসহায় বদন দেখে আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। একদিকে বৃটেনের আম্পায়ার অপর দিকে পাকিস্তানের। গোটা ব্যাপারটাই যেন পরিকল্পিত মনে হয়েছে। কয়েকটা দিন বাংলা- দেশের ক্রিকেট ঝড়ে দারুণ এক উৎসবে মেতে উঠেছিল বাঙালি সমাজ। অবাক বিস্ময়ে বিশ্ব তাকিয়ে ছিল উদীয়মান এই ক্রিকেট শক্তির দেশটির দিকে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট ঝড়ের পর এখন এক অজানা অসুখে ভুগছে এদেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা দু-হাজার পনেরো সালের ক্রিকেট বিশ্ব কাপের কোয়াটার ফাইনালে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত খেলা টি বোধহয় ক্রিকেট ইতিহাসে বেশ কিছু কাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই খেলাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই নানা রকম গল্প গুজব শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশে এই খেলাটি নিয়ে যত না আলোচনা হয়েছে তার চেয়ে তিনগুণ আলোচনা হয়েছে ভারতের মাটিতে। কিন্তু তা কেন ? তাহলে তারা টাইগারদের কে নিয়ে সংরক্ষিত ছিল। এটাই প্রমানিত সত্য। ক্রিকেটে বড় এক পরাশক্তি ভারত একথা কাউকে স্মরণ করিয়ে দেবার প্রয়োজন পড়ে না। অভিজ্ঞতায় তারা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে এ বিষয়টি কেউ অস্বীকার করেন না। কিন্তু সমস্যা হয়েছিল যা তাহলো এবারের বিশ্বকাপে বাংলা দেশ ছিল সত্যিকারার্থে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতোই। অত্যন্দ দাপটের সাথে বাংলাদেশ কোয়াটার ফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে। আর এটাই ছিল অনেক বড় বড় ক্রিকেট দলের জন্যে মাথা ব্যথা। সকল জল্পনা কলপনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ ভারত খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের কাছে পরাজিত হয়েছে বললে ভূল হবে, বরং পরাজিত করানো হয়েছে বলে আমি মনে করি। শুধু আমি কেন বিশ্বের অনেক ক্রিকেট স্টার তারোকারাও এমন মন্তব্য করেছেন। তার পরও বাংলাদেশের কোন সমস্যা নেই। খেলায় হারজিত আছে, থাকবে। আর এটা মেনে নেবার মতো ধৈর্য শক্তি এদেশের মানুষের রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো খেলার মধ্যে যখন কোন অন্যরকম খেলা হয়,তখন ভীষণ আপত্তি থাকে। খেলা নিয়ে যখন রাজনীতি হয়, তখন ঘোর বিপত্তি। যেকোন খেলায় এই রকম রাজনীতি যেন আর না ঘটে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
পৃথিবীর বহু দেশের মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে খেলাটির প্রসঙ্গে নানা গুণীজনের নানান মন্তব্য। অনেক ক্রিকেট তারকারাই মনে করেন বাংলাদেশের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। বাংলা দেশের অধিনায়ক মাশরাফি অঝুর ধারায় মাঠে কেঁদে ফিরেছেন এমন বিমাতাসুলভ আচরণের জন্যে। আমার জিজ্ঞাসা থাকবে খেলার মাঠে বাংলাদেশের সাথে এই বৈরিতা কেন? মানুষের কাছে ক্রিকেট এক পরিচ্ছন্ন খেলার প্রতিচ্ছবি। যদিও ক্রিকেট খেলা এখন আর তার বিতর্ক এড়াতে পারছে না। তাহলে কি বিশ্ববাসী খেলা নামে খেলার রাজনীতি দেখবে। এটাতো হয় না। এবং হতেও পারে না এমন কি হওয়াটাও উচিত নয় বলে আমি মনে করি। কারণ সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেলে, স্বার্থ ঢুকে গেলে, খেলা রাজনীতি হয়ে গেলে, মানুষ তাহলে দাঁড়াবে কোথায়?
বাংলাদেশ একটি ছোট ও উন্নয়ন মুখী দেশ বলে এবং একটি ক্রিকেট উজ্জ্বল দেশের বীর সন্তানেরা তাদের ভালো খেলার যোগ্যতাও রাখতে পারবে না! এটি কি ধরনের মানসিকতা। বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রধান কর্মকর্তা এমন কি সরকারের পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে এই সমস্ত বিতর্কিত বিষযগুলোকে জোর উচচারণে তুলে ধরা উচিত বলে আমি মনে করি। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ এগিয়েছে, এদেশের ক্রিকেট শিল্পও অনেক এগিয়েছে। সে কারণে এই ক্রিকেট শক্তিকে বিশ্বের দরবারে আমাদের ন্যার্য্য অধিকারের ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ক্রিকেট বিশ্বকে বুঝাতে হবে খেলার যোগ্যতাই আসল, দেশ ছোট কি বড়, ধনী কি গরীব সেটা বিবেচ্য নয়। ক্রিকেটকে গুটি কয়েক দেশ শাসন করতে চায়, এই মোড়লিপনা ও হীন মনোভাব ত্যাগ না করলে ক্রিকেট পিছিয়ে পড়বে। ক্রিকেট তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাবে। আমরা ক্রিকেট উজ্জ্বল বাংলা দেশ, তা চাই না। কথা একটাই, খেলা হউক আনন্দের অন্যতম স্থান। আর খেলা নামক জায়গাটি থাকুক রাজনীতি-শক্তি-প্রভাব ও কলঙ্কমুক্ত, তা হউক দেশে কিংবা বিদেশে।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের দারুণ প্রত্যাশা ছিল এবং আছে। তাই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যোগ অবশ্য সব সময় হয়না কিন্তু একটা ভালো খেলা দেখার আশা অন্তত সকালেই করতে পারে। আমার বিশ্বাস আমাদের দামাল ছেলেরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একদিন কাঙ্খিত জয় ছিনিয়ে আনবে। বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেট প্রেমি ছেলে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে নতুন বাংলাদেশ যে বাংলাদেশ কে বিশ্বকাপে অবাক বিস্ময়ে দেখেছে সবাই। শুধু তাই নয়, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক তাঁরকারাও এ নিয়ে আশাবাদী ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চ সৌম্য, সাব্বির ও তাসকিনের মতো নতুনেরা আলো ছড়িয়েছেন। আরও অনেক ক্রিকেট প্রতিভা উঠে আসছে। সাকিবের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। একই ভাবে এই আশাবাদের কথা জানিয়েছেন উইজডেন ইন্ডিয়া কে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, রুবেল ও মাহমদুল্লাহর মতো ক্রিকেট তাঁরকারাও বলেছেন এখন আমরা আগের চেয়ে বেশি ভালো মনের ও মানের খেলোয়াড় পাচ্ছি। অনেক বেশি খেলোয়াড় থেকে দল বেছে নেয়ার সুযোগ হচ্ছে। তাছাড়া তরুণেরাও দলে আসার পর ভালো খেলছেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বিশ্বকাপে সৌম্য-তাসকিন দলে আসার পর দ্রুত তাদের ভালো খেলাটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে কেউ এসে মুখে খাবার তুলে দেবে না। আসল কাজটা নিজেদেরই করতে হবে। তার সাথে যদি সমস্ত বিভাগুলোতেও আরও অবকাঠামো তৈরি করলে এবংপ্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক অজানা ক্রিকেটার কে তোলে আনা যায়, যেমন বিপিএল এর মত সূদুর প্রসারি পরিকল্পনা আরও জোরদার করা যায় তবে ক্রিকেট আরও শক্তি শালী হবে বলে আমার বিশ্বাস। তার সাথে জাতীয় ক্রিকেট দলকে আরও বেশি সফরে গিয়ে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
আরও মনে পড়ে দুই হাজার ছয় সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবের অভিষেক হয়, তখন বিষয়টি এমন ছিল যে, বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যে কোন দলকে হারাতে পারে তেমনটি প্রমান হয়েছে। তাছাড়া দুই হাজার নয় সালের জানুয়ারিতে ওয়ানডে তে প্রথম বারের মত বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডার নির্বাচিত হলেন সাকিব আল হাসান। পুরো বিশ্ব তখন থেকে বুঝতে শিখলো ক্রিকেট আমরা ও পারি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সুতরাং তারা দি টাইগার নামেও বিশ্বের কাছে পরিচিত। আমি শুধু একজন বাঙালি টাইগার সমর্থক হিসেবে নয়, একজন ক্রিকেট প্রেমী হিসেবেও বলতে চাই উনিশ মার্চ দুই হাজার পনেরো তে ক্রিকেট ইতিহাসে যে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে তা যেন ভবিষ্যতে আর কোন খেলায় রচিত না হয়। এই কামনাই করি। বাংলাদেশকে সমীহ করে না বিশ্ব ক্রিকেটে এমন দেশ হয়তো এখন আর নেই। যা এদেশের ক্রিকেট প্রশাসনসহ সমস্ত জাতির জন্য গর্বের বিষয়। তাই আমি ও আমাদের সবার আকুল আবেদন থাকবে ক্রিকেট প্রশাসন সহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবিন্দের প্রতি, বাংলার উজ্জ্বল ক্রিকেট যেন রাজনীতির বাহিরে থাকে। আমি বলতে বাধ্য হলাম এই জন্য যে,আমাদের দেশের রাজনীতি সর্বত্র বিরাজমান। তাই আমার অনুরোধ মাত্র। আর এটাই যদি আমরা মেনে চলতে পারি তবেই ক্রিকেট উজ্জ্বলের সাথে সাথে দেশটাও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দেখা পাবে বলে আমার ও আমাদের সবার বিশ্বাস। বাংলাদেশের অনেক প্রতিভাবান তরুণ যারা নিজেদের আগমনী বার্তা বিশ্ব ক্রিকটে জানান দেবার অপেক্ষায় আছে। যেমন নাঈম, মোস্তাফিজ, মেহেদী, লিমন, সজীব আরও নাম না জানা কত নাম অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট উজ্জ্বল লিস্টে। শুধু ক্রিকেট প্রশাসন বিপিএল এর মতো আরও কার্যকরী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
এক সময় ক্রিকেট স্টার ব্রায়ান লারার শেষ জিজ্ঞাসা ছিল ‘ডিড আই এন্টারটেইন্ড ইউ’ এটাই যেন শেষ পর্যন্ত সত্য হলো। দিন শেষে ক্রিকেট কোন জীবন মরণের ব্যাপার নয়। ক্রিকেট একটা খেলা যার সাথে উচ্চারিত হয় স্পিরিট অব ক্রিকেট। যার সাথে জড়িত আছে নির্মল বিনোদন আর তুখোড় স্কিল এর প্রদর্শনী। ক্রিকেট ছিল, আছে, থাকবে। অপেক্ষায় আছি ক্রিকেটে বাংলাদেশ একদিন বিশ্ব সেরা হবে সেই দিনের। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন আর হাঁটার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন একটি রেসের ঘোড়া যার দৌড় শুরু হয়েছে মাত্র যেতে হবে আরও বহু দূর একথা সবার মাথায় রেখে দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে থাকতে হবে। তবেই জয় নিশ্চিত। আর এই নিশ্চিত কে চিনিয়ে আনতে চাই টিম ওয়ার্ক তার সাথে আত্মবিশ্বাস।
দুই হাজার পনেরো সালের অধিনায়ক মাশরাফির শুরুটাই ছিল গৌরবের। শুরুতেই চ্যালেঞ্জ অস্টেলিয়া নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ান্ডে বিশ্ব কাপ। অধিনায়ক মাশরাফির দল চমকে দিল বিশ্বকে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইন্যালে খেললো টাইগারেরা। তাও ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। এই আসরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ দু’টি বল করে নায়ক হয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগে অখ্যাত নায়িকা হেপির সঙ্গে বিতর্কে জড়ানো রোবেল হোসেন। এই বছরেই অভিষেকে ব্যাট হাতে আস্থার মান রাখেন তরুণ সৌম্য সরকারও। তাছাড়া সেই আসরেই পরপর দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাহমুদুল্লাহ জ্বলজ্বল তারা হয়ে রইলেন। দেশে ফিরে এ যেন অন্য রকম এক বাংলাদেশ। তাছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ষোল বছর পর ওয়ান ডে জয় দিয়ে শুরু আর যার শেষ হলো তাদের হোয়াইট ওয়াশ দিয়ে। এর পর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ান্ডে সিরিজ জয়। বছর টি দলের জন্য কাটে রূপকথার মতোই। কারণ ওয়ান ডে র্যাংকিয়ে এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওযেষ্টইন্ডিজ কে টপকে সাত নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। টেস্টেও খারাপ নয়, এই বছরই ক্রিকেটে সর্বাধিক চার ড্র। দেশের হয়ে তামিমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে ইমরুলকে নিয়ে ওপেনিংয়ে তিনশত বারো রানের ইতিহাস গড়া জুটি। তাছাড়া পাঁচটি টি ম্যাচ খেলে সারা বছরে দুই জয়ের একটি আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাই টেস্ট ও ওয়ান্ডের তুলনায় টি টুয়েন্টি যেন মিটি মিটি আলোর তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট আঁধার কাটিয়ে আলোর পথে ছুটে চলা যেন এক দ্রুতগামী রকেট। যেখানে শেষ ছয় মাসে চমকের পর চমক দেখিয়ে যুক্ত হয়েছেন গতি বালক মুস্তাফিজ। বিশ্বকাপ থেকে ছুটে চলার ফুয়েল টুয়েন্টি ফিফটিন এ বাংলাদেশ দল ছুটে চলার রকেটের ফুয়েল পেরেছিল ওয়ান্ডে বিশ্বকাপ থেকে। যা দেশের মাটিতে ছুটে চলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল দ্বিগুণ। মনে হচ্ছে টুয়েন্টি ফিফটিন ছিল টাইগারদের দখলে।
পরিশেষে আমি বলতে চাই। ব্যক্তি কোন্দল, সামাজিক কোন্দল, রাজনৈতিক কোন্দল, পারিবারিক কোন্দল এবং দলীয় কোন্দল সবকিছু কে আলতো করে পিছনের দরজা দিয়ে ঠেলে দিয়ে সামনের দরজা দিয়ে এগিয়ে যান এবং টিম ওয়ার্ক কে শক্তিশালী করুন ইনসাআল্লাহ আপনাদের কঠোর পরিশ্রমে ক্রিকেট ভবিষ্যৎ একদিন বিশ্ব জয়ের মুখ দেখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তার সাথে সাথে সকল মিডিয়া কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা বাংলা দেশের ক্রিকেট কে তুলে ধরেছেন ঠিকই কিন্তু আমার ও আমাদের দাবি থাকবে এটাকে আরও বৃহৎ আকারে তুলে ধরবেন তা দেশে কিংবা বিদেশে। আর তাতে করে আমাদের ক্রিকেটাররা যেমন উৎসাহ পাবে তেমনটি দেশ ও জাতির ক্রিকেটের প্রচার হবে সারা বিশ্বে। যা ক্রিকেটের জয়কে ছিনিয়ে আনতে লাঘব হবে। সর্বোপরি আমার ও দেশের মানুষের দোয়া থাকবে আপনাদের সাথে। এগিয়ে যান শক্ত মনোবল নিয়ে, মনে রাখবেন এখন আর পিছন ফিরে তাকানোর সময় নয়। ইনশা-আল্লাহ জয় হবে নিশ্চয়। ষোলো কোটি মানুষের দোয়া তো আছেই। ‘ক্রিকেট দলটা যেন একটি সুখী পরিবার হয়’।
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ‘সাবাস ক্রিকেট টিম’ সাবাস। ভূলেও ভেবোনা তোমরা শুধু একা। মনে রেখো তোমরাই ষোলো কোটি মানুষের গর্বের অহঙ্কার।
পৃথিবীর বহু দেশের মানুষের মুখে মুখে ঘুরে ফিরছে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে খেলাটির প্রসঙ্গে নানা গুণীজনের নানান মন্তব্য। অনেক ক্রিকেট তারকারাই মনে করেন বাংলাদেশের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়েছে। বাংলা দেশের অধিনায়ক মাশরাফি অঝুর ধারায় মাঠে কেঁদে ফিরেছেন এমন বিমাতাসুলভ আচরণের জন্যে। আমার জিজ্ঞাসা থাকবে খেলার মাঠে বাংলাদেশের সাথে এই বৈরিতা কেন? মানুষের কাছে ক্রিকেট এক পরিচ্ছন্ন খেলার প্রতিচ্ছবি। যদিও ক্রিকেট খেলা এখন আর তার বিতর্ক এড়াতে পারছে না। তাহলে কি বিশ্ববাসী খেলা নামে খেলার রাজনীতি দেখবে। এটাতো হয় না। এবং হতেও পারে না এমন কি হওয়াটাও উচিত নয় বলে আমি মনে করি। কারণ সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গেলে, স্বার্থ ঢুকে গেলে, খেলা রাজনীতি হয়ে গেলে, মানুষ তাহলে দাঁড়াবে কোথায়?
বাংলাদেশ একটি ছোট ও উন্নয়ন মুখী দেশ বলে এবং একটি ক্রিকেট উজ্জ্বল দেশের বীর সন্তানেরা তাদের ভালো খেলার যোগ্যতাও রাখতে পারবে না! এটি কি ধরনের মানসিকতা। বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রধান কর্মকর্তা এমন কি সরকারের পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে এই সমস্ত বিতর্কিত বিষযগুলোকে জোর উচচারণে তুলে ধরা উচিত বলে আমি মনে করি। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ এগিয়েছে, এদেশের ক্রিকেট শিল্পও অনেক এগিয়েছে। সে কারণে এই ক্রিকেট শক্তিকে বিশ্বের দরবারে আমাদের ন্যার্য্য অধিকারের ভিত্তিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ক্রিকেট বিশ্বকে বুঝাতে হবে খেলার যোগ্যতাই আসল, দেশ ছোট কি বড়, ধনী কি গরীব সেটা বিবেচ্য নয়। ক্রিকেটকে গুটি কয়েক দেশ শাসন করতে চায়, এই মোড়লিপনা ও হীন মনোভাব ত্যাগ না করলে ক্রিকেট পিছিয়ে পড়বে। ক্রিকেট তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাবে। আমরা ক্রিকেট উজ্জ্বল বাংলা দেশ, তা চাই না। কথা একটাই, খেলা হউক আনন্দের অন্যতম স্থান। আর খেলা নামক জায়গাটি থাকুক রাজনীতি-শক্তি-প্রভাব ও কলঙ্কমুক্ত, তা হউক দেশে কিংবা বিদেশে।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের দারুণ প্রত্যাশা ছিল এবং আছে। তাই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যোগ অবশ্য সব সময় হয়না কিন্তু একটা ভালো খেলা দেখার আশা অন্তত সকালেই করতে পারে। আমার বিশ্বাস আমাদের দামাল ছেলেরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একদিন কাঙ্খিত জয় ছিনিয়ে আনবে। বাংলাদেশের উদীয়মান ক্রিকেট প্রেমি ছেলে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে নতুন বাংলাদেশ যে বাংলাদেশ কে বিশ্বকাপে অবাক বিস্ময়ে দেখেছে সবাই। শুধু তাই নয়, সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক তাঁরকারাও এ নিয়ে আশাবাদী ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাছাড়া বিশ্বকাপের মঞ্চ সৌম্য, সাব্বির ও তাসকিনের মতো নতুনেরা আলো ছড়িয়েছেন। আরও অনেক ক্রিকেট প্রতিভা উঠে আসছে। সাকিবের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। একই ভাবে এই আশাবাদের কথা জানিয়েছেন উইজডেন ইন্ডিয়া কে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফি, রুবেল ও মাহমদুল্লাহর মতো ক্রিকেট তাঁরকারাও বলেছেন এখন আমরা আগের চেয়ে বেশি ভালো মনের ও মানের খেলোয়াড় পাচ্ছি। অনেক বেশি খেলোয়াড় থেকে দল বেছে নেয়ার সুযোগ হচ্ছে। তাছাড়া তরুণেরাও দলে আসার পর ভালো খেলছেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বিশ্বকাপে সৌম্য-তাসকিন দলে আসার পর দ্রুত তাদের ভালো খেলাটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে কেউ এসে মুখে খাবার তুলে দেবে না। আসল কাজটা নিজেদেরই করতে হবে। তার সাথে যদি সমস্ত বিভাগুলোতেও আরও অবকাঠামো তৈরি করলে এবংপ্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক অজানা ক্রিকেটার কে তোলে আনা যায়, যেমন বিপিএল এর মত সূদুর প্রসারি পরিকল্পনা আরও জোরদার করা যায় তবে ক্রিকেট আরও শক্তি শালী হবে বলে আমার বিশ্বাস। তার সাথে জাতীয় ক্রিকেট দলকে আরও বেশি সফরে গিয়ে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
আরও মনে পড়ে দুই হাজার ছয় সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবের অভিষেক হয়, তখন বিষয়টি এমন ছিল যে, বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যে কোন দলকে হারাতে পারে তেমনটি প্রমান হয়েছে। তাছাড়া দুই হাজার নয় সালের জানুয়ারিতে ওয়ানডে তে প্রথম বারের মত বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডার নির্বাচিত হলেন সাকিব আল হাসান। পুরো বিশ্ব তখন থেকে বুঝতে শিখলো ক্রিকেট আমরা ও পারি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সুতরাং তারা দি টাইগার নামেও বিশ্বের কাছে পরিচিত। আমি শুধু একজন বাঙালি টাইগার সমর্থক হিসেবে নয়, একজন ক্রিকেট প্রেমী হিসেবেও বলতে চাই উনিশ মার্চ দুই হাজার পনেরো তে ক্রিকেট ইতিহাসে যে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে তা যেন ভবিষ্যতে আর কোন খেলায় রচিত না হয়। এই কামনাই করি। বাংলাদেশকে সমীহ করে না বিশ্ব ক্রিকেটে এমন দেশ হয়তো এখন আর নেই। যা এদেশের ক্রিকেট প্রশাসনসহ সমস্ত জাতির জন্য গর্বের বিষয়। তাই আমি ও আমাদের সবার আকুল আবেদন থাকবে ক্রিকেট প্রশাসন সহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবিন্দের প্রতি, বাংলার উজ্জ্বল ক্রিকেট যেন রাজনীতির বাহিরে থাকে। আমি বলতে বাধ্য হলাম এই জন্য যে,আমাদের দেশের রাজনীতি সর্বত্র বিরাজমান। তাই আমার অনুরোধ মাত্র। আর এটাই যদি আমরা মেনে চলতে পারি তবেই ক্রিকেট উজ্জ্বলের সাথে সাথে দেশটাও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দেখা পাবে বলে আমার ও আমাদের সবার বিশ্বাস। বাংলাদেশের অনেক প্রতিভাবান তরুণ যারা নিজেদের আগমনী বার্তা বিশ্ব ক্রিকটে জানান দেবার অপেক্ষায় আছে। যেমন নাঈম, মোস্তাফিজ, মেহেদী, লিমন, সজীব আরও নাম না জানা কত নাম অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট উজ্জ্বল লিস্টে। শুধু ক্রিকেট প্রশাসন বিপিএল এর মতো আরও কার্যকরী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
এক সময় ক্রিকেট স্টার ব্রায়ান লারার শেষ জিজ্ঞাসা ছিল ‘ডিড আই এন্টারটেইন্ড ইউ’ এটাই যেন শেষ পর্যন্ত সত্য হলো। দিন শেষে ক্রিকেট কোন জীবন মরণের ব্যাপার নয়। ক্রিকেট একটা খেলা যার সাথে উচ্চারিত হয় স্পিরিট অব ক্রিকেট। যার সাথে জড়িত আছে নির্মল বিনোদন আর তুখোড় স্কিল এর প্রদর্শনী। ক্রিকেট ছিল, আছে, থাকবে। অপেক্ষায় আছি ক্রিকেটে বাংলাদেশ একদিন বিশ্ব সেরা হবে সেই দিনের। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন আর হাঁটার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন একটি রেসের ঘোড়া যার দৌড় শুরু হয়েছে মাত্র যেতে হবে আরও বহু দূর একথা সবার মাথায় রেখে দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে থাকতে হবে। তবেই জয় নিশ্চিত। আর এই নিশ্চিত কে চিনিয়ে আনতে চাই টিম ওয়ার্ক তার সাথে আত্মবিশ্বাস।
দুই হাজার পনেরো সালের অধিনায়ক মাশরাফির শুরুটাই ছিল গৌরবের। শুরুতেই চ্যালেঞ্জ অস্টেলিয়া নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ান্ডে বিশ্ব কাপ। অধিনায়ক মাশরাফির দল চমকে দিল বিশ্বকে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইন্যালে খেললো টাইগারেরা। তাও ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তি ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। এই আসরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ দু’টি বল করে নায়ক হয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগে অখ্যাত নায়িকা হেপির সঙ্গে বিতর্কে জড়ানো রোবেল হোসেন। এই বছরেই অভিষেকে ব্যাট হাতে আস্থার মান রাখেন তরুণ সৌম্য সরকারও। তাছাড়া সেই আসরেই পরপর দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাহমুদুল্লাহ জ্বলজ্বল তারা হয়ে রইলেন। দেশে ফিরে এ যেন অন্য রকম এক বাংলাদেশ। তাছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ষোল বছর পর ওয়ান ডে জয় দিয়ে শুরু আর যার শেষ হলো তাদের হোয়াইট ওয়াশ দিয়ে। এর পর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ান্ডে সিরিজ জয়। বছর টি দলের জন্য কাটে রূপকথার মতোই। কারণ ওয়ান ডে র্যাংকিয়ে এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওযেষ্টইন্ডিজ কে টপকে সাত নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। টেস্টেও খারাপ নয়, এই বছরই ক্রিকেটে সর্বাধিক চার ড্র। দেশের হয়ে তামিমের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে ইমরুলকে নিয়ে ওপেনিংয়ে তিনশত বারো রানের ইতিহাস গড়া জুটি। তাছাড়া পাঁচটি টি ম্যাচ খেলে সারা বছরে দুই জয়ের একটি আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। তাই টেস্ট ও ওয়ান্ডের তুলনায় টি টুয়েন্টি যেন মিটি মিটি আলোর তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট আঁধার কাটিয়ে আলোর পথে ছুটে চলা যেন এক দ্রুতগামী রকেট। যেখানে শেষ ছয় মাসে চমকের পর চমক দেখিয়ে যুক্ত হয়েছেন গতি বালক মুস্তাফিজ। বিশ্বকাপ থেকে ছুটে চলার ফুয়েল টুয়েন্টি ফিফটিন এ বাংলাদেশ দল ছুটে চলার রকেটের ফুয়েল পেরেছিল ওয়ান্ডে বিশ্বকাপ থেকে। যা দেশের মাটিতে ছুটে চলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছিল দ্বিগুণ। মনে হচ্ছে টুয়েন্টি ফিফটিন ছিল টাইগারদের দখলে।
পরিশেষে আমি বলতে চাই। ব্যক্তি কোন্দল, সামাজিক কোন্দল, রাজনৈতিক কোন্দল, পারিবারিক কোন্দল এবং দলীয় কোন্দল সবকিছু কে আলতো করে পিছনের দরজা দিয়ে ঠেলে দিয়ে সামনের দরজা দিয়ে এগিয়ে যান এবং টিম ওয়ার্ক কে শক্তিশালী করুন ইনসাআল্লাহ আপনাদের কঠোর পরিশ্রমে ক্রিকেট ভবিষ্যৎ একদিন বিশ্ব জয়ের মুখ দেখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তার সাথে সাথে সকল মিডিয়া কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনারা বাংলা দেশের ক্রিকেট কে তুলে ধরেছেন ঠিকই কিন্তু আমার ও আমাদের দাবি থাকবে এটাকে আরও বৃহৎ আকারে তুলে ধরবেন তা দেশে কিংবা বিদেশে। আর তাতে করে আমাদের ক্রিকেটাররা যেমন উৎসাহ পাবে তেমনটি দেশ ও জাতির ক্রিকেটের প্রচার হবে সারা বিশ্বে। যা ক্রিকেটের জয়কে ছিনিয়ে আনতে লাঘব হবে। সর্বোপরি আমার ও দেশের মানুষের দোয়া থাকবে আপনাদের সাথে। এগিয়ে যান শক্ত মনোবল নিয়ে, মনে রাখবেন এখন আর পিছন ফিরে তাকানোর সময় নয়। ইনশা-আল্লাহ জয় হবে নিশ্চয়। ষোলো কোটি মানুষের দোয়া তো আছেই। ‘ক্রিকেট দলটা যেন একটি সুখী পরিবার হয়’।
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ‘সাবাস ক্রিকেট টিম’ সাবাস। ভূলেও ভেবোনা তোমরা শুধু একা। মনে রেখো তোমরাই ষোলো কোটি মানুষের গর্বের অহঙ্কার।
No comments